শিশুমনে ক্রমেই বেড়ে চলেছে হিংসা ও অপরাধপ্রবণতা। সাম্প্রতিক বিভিন্ন সমীক্ষায় এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে আসছে। সম্প্রতি ত্রিপুরার এক স্কুল ছাত্রীকে লোকোচুরি খেলার নাম করে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে কয়েকজন নাবালক। এবার মধ্যপ্রদেশ স্বাক্ষী থাকল আরও এক চমকে দেওয়া ঘটনার। ১০ বছরের এক স্কুল ছাত্রীকে খুন হতে হল ১১ বছরের নাবালকের হাতে।
মোবাইল ফোনে অনলাইন গেমে বারবার হেরে যাওয়ার কারণে পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রীটিকে মাথা থেঁতলে খুন করল ১১ বছরের নাবালক। অনলাইন গেমের আসক্তি মানুষকে কোন পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারে তার জ্বলন্ত উদাহরণ এই ঘটনা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১০ বছরের বালিকা ১১ বছরের ওই নাবালকের খেলার সঙ্গী ছিল। অনলাইন গেম খেলার শখ ছিল দু’জনেরই। নাবালিকা বারবার ভিডিও গেমে জিতে যেত যা একেবারেই সহ্য হচ্ছিল না ১১ বছরের ওই নাবালকের। তাই নাবালিকাকে একেবারে খুন করার পরিকল্পনা করে ফেলে সে। সেইমত পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার নাবালিকাকে বাড়ি থেকে ডেকে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে সেখানে পাথর দিয়ে ক্রমাগত আঘাত করে ওই ছাত্রীর মাথা থেঁতলে দেয় সে। ঘটনাটি ঘটেছে ইন্দোর শহরের লাসুডিয়া এলাকায়।
ডেপুটি ইন্সপেক্টর অব পুলিশ (ডিআইজি) এইচসি মিশ্রা জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ওই বালিকার। প্রথমে পুলিশের কাছে অনলাইন গেমে হেরে যাওয়ার কারণে খুনের কথা অবশ্য স্বীকার করেনি ওই নাবালক। দাবি করে, ওই বালিকা তার পোষ্যকে চুরি করে পালিয়েছিল। তবে অল্প সময়ের মধ্যেই পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে নাবালক। আপাতত তাকে স্থানীয় জুভেনাইল হোমে আইসোলেশনে রাখা হয়েছে। আগে তার করোনা পরীক্ষা করানো হবে। তারপর নেওয়া হবে পরবর্তী পদক্ষেপ।
ঘটনার দিন অনেকক্ষণ ধরে নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় তার খোঁজ শুরু হয়। স্থানীয়দের একজন ১০ বছরের বালিকার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। নাবালিকার বাড়ির চারপাশের এলাকায় জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে। জানা যায়, ১১ বছরের কিশোর নাবালিকার সর্বক্ষণের খেলার সঙ্গী ছিল। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে শুরু করে পুলিশ। তারপরেই বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর স্বীকারোক্তি। এদিকে খুনের আগে নাবালক ওই বালিকাকে ধর্ষণও করে থাকতে পারে বলে আশঙ্কা করছে পুলিশ। বালিকার দেহ ইতিমধ্যে ময়নাতদন্তে পাঠান হয়েছে। তদন্ত রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করছে পুলিশ।