লাদাখ সীমান্তে ভারী হচ্ছে লাল ফৌজের বুটের আওয়াজ, আরও অস্ত্র জড়ো করছে বলে সূত্রের খবর

  • লাদাখ সীমান্তে আবারও অস্ত্র জড়ো হচ্ছে
  • সমরযান নিয়ে এসেছেন চিন
  • সামরিক মহড়ার সময়ই অস্ত্র জড়ো হয়েছে 
  • মে মাসের পর আবারও অস্ত্র জড়ো করা হচ্ছে 
     

Asianet News Bangla | Published : Sep 7, 2020 4:13 PM IST

পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা বরাবার আবারও আস্ত্র সজ্জা বাড়াচ্ছে চিন। উপগ্রহ চিত্র ও গোয়েন্দা সূত্রে পাওয়ার খবর তেমনই ইঙ্গিত করছে। গত ২৪ অগাস্ট সামরিক মহড়ার সময় চিনের পিপিলস লিবারেশ আর্মির প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ সীমারেখা  বরাবর নতুন করে সাঁজোয়া গাড়ি ও সমরযান মোতায়েন করেছে। এর আগে অস্ত্র নিয়ে আসা হয়েছিল মে মাসে সীমান্ত উত্তেজনার আগে। 

সূত্রের খবর গত এপ্রিল মাসে চিন পূর্ব লাদাখ সীমান্তের মধ্যবর্তী এলাকায় সেনা ও অস্ত্র মোতায়েন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছিল। ভারতের সঙ্গে সংঘাতে যাওয়ার আগেই সীমান্তে নিজেদের শক্তি কয়েকগুণ বাড়িয়ে নিয়েছিল চিন। আবারও সেই একই উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছিল সর্বশেষ সেনা মহড়ায়। একটি সূত্র বলছে সর্বশেষ সেনা মহড়াটি পরিচালনা করেছিল জিনজিংয়া মিলেটারি কমান্ডো।তারই কিছু ছবি হাতে পেয়ে তা বিশ্লেষণ করে বিশেষজ্ঞরা মনে করেছেন, এই সময়ই সমর যান আর যুদ্ধের সরঞ্জাম জড়ো করেছে চিন। একটি সূত্র দাবি করছে চিন ভারতীয় সীমান্তে নিয়ে এসেছে জেডবিডি০৪ এ রিকনোয়েন্স ভেহিকল। এই গাড়িতে থাকে বৈদ্যুতিন অপটিক্যাল সেন্সর ও ব়্যাডার। যুদ্ধক্ষেত্র নজরদারি চালাতে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। 

গোয়েন্দা তথ্য অনুযায়ী মনে করা হচ্ছে সীমান্তে মোতায়েন করা হয়েছে অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট আর্টিলারি। এটি পাঁচ ধরনের গোলাবারুদ চালাতে পারে। এটি স্বচালিত অ্যান্টি এয়ারক্র্যাফ্ট আর্টিলারি। এক সমর বিশেষজ্ঞ দাবি করছেন, এটির ট্র্যাকিং ব়্যাডার, নজরদারি ব়্যাডার, নাইটভিশন ক্যামেরা আর লেজার রেঞ্জফাইন্ডারের মাধ্যমে বৈদ্যুতিন অপটিক্যাল রেনফাইন্ডার সিস্টেম। চিন বেশ কয়েকটি টাইপ ১৫ হালকা ট্যাঙ্কও জড়ো করেছে। এইগুলি পার্বত্য এলাকায় যুদ্ধক্ষেত্রে  রীতিমত চিনা সেনার ভরসার কেন্দ্র।২০১৯ সালে সামরিক দিবসের কুচকাওয়াজে এগুলি প্রদর্শন করা হয়েছিল। এছাড়াও আরও একাধিক অস্ত্র মোতায়েন করা হচ্ছে। যা দেখে মনে করা হচ্ছে পূর্ব লাদাখ সীমান্তে রীতিমত যুদ্ধের দামামা বাজাচ্ছে চিন। আর সীমান্ত উত্তাপ নিয়ে আলোচনা কী তাহলে লোকদেখানে? ইতিমধ্যেই সেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। 

"

Share this article
click me!