গলায় ক্যারাটের বেল্ট পেঁচিয়ে মা'কে হত্যা করল কিশোরী, চাঞ্চল্যকর ঘটনায় উঠছে গুরুতর প্রশ্ন

ক্যারাটের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করল নিজের মা'কে। নবি মুম্বইয়ের ১৫ বছরের কিশোরীটি কেন এই রাস্তা বেছে নিল? 
 

Asianet News Bangla | Published : Aug 10, 2021 10:44 AM IST / Updated: Aug 10 2021, 04:18 PM IST

পড়াশোনা নিয়ে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হত মা-মেয়ের। কিন্তু, তার পরিণতি যে এমন হতে পারে, তা কেউ ভাবতেও পারেনি। মহারাষ্ট্রের পুলিশ জানিয়েছে, এক ১৫ বছরের এক কিশোরী তার মাকে ক্যারাটের বেল্ট দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে। হত্যার পর সে এই হত্যাকে দুর্ঘটনা বলেও চালানোর চেষ্টা করেছিল। কিন্তু, শেষ রক্ষা হয়নি। 

এই চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে নবি মুম্বই-এর এয়ারোলি এলাকায়। গত ৩০ জুলাই রাবালে থানায় একটি ফোন এসেছিল। ফোনটি করেছিল ওই ৫ বছরের কিশোরী। পুলিশকে সে জানিয়েছিল, তার মায়ের মৃত্যু হয়েছে। মৃত্যুর কারণ হিসাবে সে দাবি করেছিল, বেকায়দায় পড়ে গিয়ে চোট পেয়েই মৃত্যু হয়েছে তার মায়ের। প্রথমে পুলিশ তার কথাই বিশ্বাস করেছিল, কিন্তু, ময়না তদন্তের রিপোর্ট পুরো ঘটনার মোড় ঘুরিয়ে দেয়। জানা যায়, শ্বাসরোধ করেই হত্যা করা হয়েছে ওই ৪০ বছরের মহিলাকে।
  "
এরপরই পুলিশের পক্ষ থেকে ১৫ বছরের কিশোরীটিকে জেরা করা হয়। জানা যায়, ওইদিন পড়োশোনা নিয়ে তার সঙ্গে তার মায়ের আরও একপ্রস্থ ঝগরা হয়েছিল। সেই সময়ই রাগের মাথায় সে তার মায়ের গলায় ক্যারাটের বেল্ট পেঁচিয়ে ধরেছিল। শ্বাসরুদ্ধ হয়ে ছটফট করতে করতে মৃত্যু হয় তার মায়ের। 
 আরও পড়ুন - রক্ষা পেলেন না করোনা আক্রান্তও, চিকিৎসক পরিচয় দিয়ে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে মহিলাকে ধর্ষণ

আরও পড়ুন - সুস্থ করার নামে রাতে শ্মশানে ঝাড়ফুঁক, কিশোরীকে বারবার ধর্ষণ ওঝার

আরও পড়ুন - গায়ে কাটা দাগ, মুখে চাপা বালিশ - অভিজাত আবাসনে বৃদ্ধ দম্পতির রহস্যমৃত্যু
তবে, পড়াশোনা নিয়ে মা-মেয়ের এই ঝামেলা একেবারেই নতুন ছিল না। প্রায়ই তাঁদের মধ্যে বাদানুবাদ লেগেই থাকত বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা। এমনকী, একবার তা পুলিশ পর্যন্তও গড়িয়েছিল। সংবাদ সংস্থা প্রেস ট্রাস্ট অব ইন্ডিয়াকে স্থানীয় এক পুলিশ কর্তা জানিয়েছেন, মা চাইতেন মেয়ে মেডিকেল কোর্স নিয়ে পড়াশোনা করুক। মেয়ে তা করতে চাইত না। এই নিয়ে রোজই অশান্তি লেগে থাকত। গত মাসেই ১৫ বছরের কিশোরীটি মায়ের বিরুদ্ধে পুলিশের কাছে নির্য়াতনের অভিযোগ দায়ের করেছিল। তাদের পক্ষ থেকে মা-মেয়েকে থানায় ডেকে মিটমাটও করানো হয়েছিল বলে দাবি করেছে পুলিশ। 

সোমবারই ওই কিশোরীকে আটক করা হয়েছে। ভারতীয় দণ্ডবিধি অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগে মামলা করা হয়েছে। তবে, আদালত এই মামলার কী রায় দেয়, সেটাই দেখার। বাবা-মায়ের ইচ্ছাপূরণ যে সন্তানদের উপর কতটা চাপ তৈরি করতে পারে, এই ঘটনা কিন্তু তার জ্বলন্ত উদাহরণ। কাজেই এই মামলায় আদালতের পর্যবেক্ষণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।

Share this article
click me!