আহত ৬ জনকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছনোর পরেই একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় চতুর্থ ব্যক্তির।
দেশের রাজধানীতে তাঁদের ছিল না মাথাগোঁজার ঠাঁই, রাস্তার ডিভাইডারের ওপরেই রাতে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন ৬ জন ফুটপাথবাসী। তাঁদের ঘুমন্ত অবস্থাতেই ক্ষিপ্র গতিতে এসে পিষে দিয়ে পালিয়ে গেল দ্রুতগামী একটি ট্রাক। নয়াদিল্লির রাস্তায় মঙ্গলবার রাতের বীভৎস ঘটনায় প্রাণ হারালেন ৪ জন। তাঁদের মধ্যে ২ জনের মৃত্যু হয় ঘটনাস্থলেই। তৃতীয় জন মারা যান হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে। আরও এক জন হাসপাতালে চিকিৎসা চলাকালীন মারা গিয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আরও ২ জন ফুটপাথবাসীর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাঁরাও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
মঙ্গলবার রাত দেড়টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে দিল্লি পরিবহণ সেবা নিগম দফতর লাগোয়া সীমাপুরী এলাকায়। সেখানেই রাস্তার ডিভাইডারে লাইন দিয়ে শুয়ে রাতে ঘুমোচ্ছিলেন কয়েকজন ফুটপাথবাসী। দিল্লি পুলিশ এলাকার সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে জানিয়েছে, ঠিক রাত ১টা ৫১ মিনিটে সীমাপুরীর ডিটিসি ডিপো রেডলাইটের কাছে ঘটনাটি ঘটে। তীব্র গতিতে ধেয়ে আসা একটি ট্রাক পিষে দিয়ে চলে যায় ঘুমন্ত ফুটপাথবাসীদের। দুর্ঘটনা ঘটিয়ে মুহূর্তের জন্যেও ট্রাকটি সেখানে দাঁড়ায়নি। একই গতি বজায় রেখে সোজা ওই এলাকা ছেড়ে পালায় ট্রাকটি। সেটির ধাক্কায় উপড়ে পড়ে যায় একটি বিদ্যুতের খুঁটিও। রক্তাক্ত শরীরগুলির পাশেই পড়ে ছিল বিদ্যুতের খুঁটি। ২১ সেপ্টেম্বর, বুধবার সকালে বিষয়টি নজরে আসে স্থানীয় মানুষদের।
আহত ৬ জনকে জিটিবি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে পৌঁছনোর পরেই একজনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। চিকিৎসা চলাকালীন মৃত্যু হয় চতুর্থ ব্যক্তির। বাকি ২জন এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তবে, তাঁদের অবস্থা অত্যন্ত সঙ্কটজনক। মৃতদের ৫২ বছর বয়সি করিম, ২৫ বছর বয়সি ছোটে খান, ৩৮ বছর বয়সি শাহ আলম সীমাপুরি এলাকারই বাসিন্দা এবং ৪৫ বছর বয়সি রাহুল উত্তরপ্রদেশের শাহিবাবাদের শালিমার গার্ডেনের বাসিন্দা বলে জানিয়েছে পুলিশ। আহতদের শনাক্ত করা গিয়েছে উত্তরপ্রদেশের শাহিবাবাদের ১৬ বছর বয়সি মণীশ এবং তাহিরপুরের ৩০ বছর বয়সি প্রদীপ নামে।
নিয়ন্ত্রণ হারানোর ফলেই কি লরিটি ডিভাইডারে উঠে পড়েছিল, নাকি চালক মত্ত অবস্থায় ছিলেন, তা বিস্তারিত খতিয়ে দেখার চেষ্টা করছে দিল্লি পুলিশ। ঘাতক ট্রাকটিকে খুঁজে বের করতে চিরুনিতল্লাশি শুরু হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে দিল্লির সীমানায় থাকা রাজ্যগুলিকেও। প্রত্যেক সীমানায় কড়া চেকিং চলছে। অনেকগুলি তল্লাশি দল তৈরি করে নিখোঁজ ট্রাকটির খোঁজ শুরু হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন-
বাংলায় রেকর্ড বৃদ্ধি পেল ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা, দৈনিক সংক্রমণ হাজারের দোরগোড়ায়
“এ রাজ্যের অভাব যাবে না”, গ্রাম বাংলার ভাদু গান ফেসবুকে পোস্ট করে শাসকদলকে খোঁচা বিজেপির
ডুরান্ড কাপ জেতালেন সুনীল ছেত্রী, অথচ তাঁকেই ছবি তোলার সময় ঠেলে সরিয়ে দিলেন রাজ্যপাল লা গণেশন!