করোনা খুঁজতে গিয়ে বের হল নাবালিকাদের গর্ভাবস্থা-এইডস, বিতর্কে কানপুরের শেল্টার হোম

Published : Jun 22, 2020, 05:42 PM ISTUpdated : Jun 22, 2020, 05:44 PM IST
করোনা খুঁজতে গিয়ে বের হল নাবালিকাদের গর্ভাবস্থা-এইডস, বিতর্কে কানপুরের শেল্টার হোম

সংক্ষিপ্ত

অসহায় নাবালিকাদের আশ্রয় দেওয়া হয় সরকারি আশ্রয়কেন্দ্রে সেখানেই কী চলে যৌন অত্যাচার ৫৭জন নাবালিকা করোনা পজিটিভ সনাক্ত হল তাদের মধ্যে দেখা গেল ৫ জন গর্ভবতী, একজন এইডস আক্রান্ত

অসহায় নাবালিকাদের যত্নআত্তির জন্যই তৈরি সরকারি আশ্রয় বাড়ি। অথচ সেখানেই তারা যেন আরও বেশি অসহায়। উত্তরপ্রদেশের কানপুরের এক সরকারি শেল্টার হোমের ৫৭জন নাবালিকা করোনা পজিটিভ হিসাবে সনাক্ত হল। কিন্তু, তার থেকেও বড় কথা তাদের মধ্যে দেখা গেল ৫ জন গর্ভবতী। আর তাদের মধ্যে একজন আবার এইচআইভি ভাইরাসে আক্রান্ত, অর্থাৎ তার এইডস রোগে আক্রান্ত। এর বাইরেও ওই হোমে আরও দুই নাবালিকার সন্ধান পাওয়া গিয়েছে যারা কোভিড পজিটিভ নয়, তবে গর্ভবতী।

এই খবর প্রকাশ পাওয়ার পরই কানপুর শহরে এই নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বছর খানেক আগে বিহারের মুজফ্ফরপুরে এরকমই এক সরকারি হোমে নাবালিকাদের উপরর যৌন নির্যাতন চলার খবরে উত্তাল হয়েছিল গোটা দেশ। কানপুরের হোমে সেইরকমই কিছু চলছিল কিনা তাই নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।

তবে এই অভিযোগ একেবারে উড়িয়ে দিয়েছে কানপুরের পুলিশ ও প্রশাসনিক কর্তারা। কানপুরের এসএসপি জানিয়েছেন, ছয়মাস আগে আগ্রা, কনৌজ, ইটা, ফিরোজাবাদ এবং কানপুরের বিভিন্ন জায়গা থেকে ওই ৭ জন নাবালিকাকে ছয়মাস আগে উদ্ধার করে কানপুরের স্বরূপনগরের ওই সরকারি হোমে আনা হয়েছিল। পুলিশের দাবি, হোমে আনার সময়ই তারা গর্ভবতী ছিল। হোমে আনার পর কিছু হয়নি। ডিএম ব্রহ্মাদেব তিওয়ারিও জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যম বাড়াবাড়ি করছে। তথ্যের বিকৃতি ঘটাচ্ছে।

গর্ভবতী মেয়েদের মধ্যে একজন এইচআইভি আক্রান্ত বলে সনাক্ত হয়েছে, আর একজন হেপাটাইটিস সি-এ আক্রান্ত। তাদের দুজনকেই হ্যালেট হাসপাতালে পভর্তি করা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশের মহিলা কমিশনের এক সদস্য পুনম কাপুরের দাবি, হোমের এক কর্মী, দুই নাবালিকাকে নিয়ে কানপুরের এক হাসপাতালে গিয়েছিলেন। সেখান থেকেই সম্ভবত ওই হোমে করোনাভাইরাস সংক্রামিত হয়েছে।

 

PREV
click me!

Recommended Stories

যাত্রীদের সমস্যার 'ক্ষতে' ১০০০০ টাকার 'মলম'! IndiGo ভাউচার ঘোষণা করল
৭ রাজ্যে SIR প্রক্রিয়ার মেয়াদ বৃদ্ধি , কেন উত্তরপ্রদেশ বেশি সময় পেল আর বাংলা পেলই না