টানা বৃষ্টির কারণে কার্যত বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে অসমে। সূত্রের খবর, বন্যার জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৬ জনের। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন প্রায় ৮ লক্ষ মানুষ। রাজ্যে বন্যার জল ক্রমশই বাড়ছে বলে খবর। অসমের ব্রহ্মপুত্র নদ ছাড়াও আরও পাঁচটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বলে খবর। অসমের প্রায় ২১ টি জেলা বন্যার জেরে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
আবহাওয়া দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহের শেষের দিকে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অসমের প্রশাসনিক সূত্রে খবর, প্রবল বৃষ্টিপাতের জেরে নদীগুলি বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ার কারণে বন্ধ রাখা হয়েছে ফেরি পারাপার। বন্যার জেরে ইতিমধ্যেই ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেড়েছে। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, প্রায় ২৭ হাজার কৃষিজমি বন্যার জলে ডুবে গিয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে সারারাজ্য জুড়ে প্রায় ৬৮টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে এবং তাঁদের পক্ষ থেকে প্রায় সাত হাজারেরও বেশি মানুষকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।
সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে অসমের উপরিভাগের ঢেমাজি এবং লখিমপুর অঞ্চল এবং নিম্নভাগের বনগাইগাঁও এবং বারপেটা অঞ্চল। প্রশাসনিক সূত্রে জানা গিয়েছে যে, অসমের উঁচু এলাকা থেকে বন্যার জল প্রবাহিত হয়ে তা ছাপিয়ে যেতে পারে উপত্যকা অঞ্চলগুলিতে। আর তার ফলে অসমের নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়ঙ্কর আকার ধারন করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বারপেটা এলাকায় মাথার ওপরের ছাদ হারিয়েছেন প্রায় ৮৫ হাজার মানুষ।
১৮৮ ফুট উঁচু থেকে নায়াগ্রা জলপ্রপাতে পড়ে গেলেন এক ব্যক্তি! কী হল তারপর
বন্যার জল থেকে রেহাই পায়নি কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যানও। একশৃঙ্গ গন্ডারের জন্য বিখ্যাত এই জাতীয় উদ্যানে পশুদেরও নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করার জন্য অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনওয়াল ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বন্যা কবলিত জেলার প্রশাসকের সঙ্গে কথা বলেন। একেই বন্যা,তারওপর আবার এনসেফালাইটিস-এর প্রাদুর্ভাব। গোটা পরিস্থিতিকে সামাল দেওয়ার জন্য স্বাস্থ্য দফতরের সব ছুটি সেপ্টেম্বর পর্যন্ত বাতিল করা হয়েছে।