হরিদ্বারে চলন্ত গাড়িতে ছয় বছরের শিশুকন্যা ও মাকে গণধর্ষণ, নিগৃহীতাদের রাস্তায় ফেলে চম্পট অভিযুক্তরা

গণধর্ষণের মতো ফের নারকীয় ঘটনা। যার হাত থেকে রেহাই পেল না ছয় বছরের শিশু। পৈশাচিক এই ঘটনা দেশজুড়ে আলোড়ন ফেলেছে। গণধর্ষণের পর মা ও মেয়েকে গাড়ি থেকে রাস্তায় ছুঁড়ে ফেলে দেয় ধর্ষকরা। 
 

Web Desk - ANB | Published : Jun 27, 2022 4:02 AM IST / Updated: Jun 27 2022, 01:47 PM IST

উত্তরাখণ্ডের হরিদ্বার জেলায় ফের নারকীয় ঘটনা। চলন্ত গাড়িতে এবার চয় বছরের শিশুকন্যা এবং তার মা-কে গণধর্ষণ। শুক্রবার গভীররাতে এই ঘটনা। শনিবার পুলিশের মাধ্যমে সর্বসমক্ষে আসে। আপাতত আশঙ্কাজনক অবস্থায় রুরকি সিভিল হাসপাতালে ভর্তি। সেখানে তার চিকিৎসা চলছে। মানসিকভাবে বিপর্যস্ত শিশুকন্যার মা। তিনিও গণধর্ষণের শিকার বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

হরিদ্বার জেলার পুলিশ সুপার পরমেন্দ ডোভাল জানিয়েছেন যে, শিশুকন্যার মা এতটাই বিধ্বস্ত যে তিনি একমাত্র মূল অভিযুক্ত ছাড়া আর কারও নাম বলতে পারছেন না। ছয় বছরের মেয়েকে তাঁর চোখের সামনে গণধর্ষণ তিনি মেনে নিতে পারেননি।  তবে গণধর্ষণের শিকার ছয় বছরের শিশুর মা যিনি নিজেও একই ঘটনায় গণধর্ষণের শিকার সনু নামে মূল অভিযুক্তর কথা বলেছেন। 

জানা গিয়েছে, ছয় বছরের ওই শিশু এবং তার মা রাত সাড়ে দশটা নাগাদ কালিয়ার থেকে রুরকি আসছিলেন। প্রথমে তারা একটা রিকসা নিয়েছিলেন। কিন্তু মাঝরাস্তায় মহিলা তাঁর পরিচিত সনু নামে এক ব্যক্তিকে গাড়ি নিয়ে দেখতে পান। এরপর সনু মা ও মেয়েকে গাড়িতে লিফট দেয়। অভিযোগ, গাড়িতে ওঠার পরই সনুর সঙ্গীরা শারীরিক জবরদস্তি শুরু করে। গাড়িতে যে সনু ছাড়াও আরও কেউ আছে তা নাকি রিকসা ছেড়ে দেওয়ার সময় বুঝতে পারেননি মহিলা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে এরপর প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে মা ও মেয়ের উপরে নৃশংস পৈশাচিক অত্যাচার চালানো হয়। চলন্ত গাড়িতেই নাকি একাধিকবার ধর্ষণ করা হয় মহিলা এবং তাঁর শিশুকন্যাকে। অপরাধের শেষে রুরকির ক্যানাল রোডের ধারে মা ও মেয়েকে গাড়ি থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়।    
পুলিশ সুপার পরমেন্দ্র ডোভাল ডোভাল জানিয়েছেন, নিগৃহীতার বয়ানের ভিত্তিতে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭ নম্বর ধারায় ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পসকো ধারায় ছয় বছরের শিশুর উপর হওয়া যৌন নির্যাতনে অভিযোগ দায়ের হয়েছে। রুরকির সিভিল পুলিশ লাইনে এই অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। পুলিশ সুপার জানিয়েছেন ঘটনায় কোনও  সিসিটিভি ফুটেজ রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং সেই সঙ্গে গাড়ির নম্বর বের করে তা খোঁজার চেষ্টা চলছে। জানা গিয়েছে নিগৃহীতা এবং তাঁর মেয়ে রাতে শেল্টার হোমে থাকে এবং দিনের বেলায় ভিক্ষে করে মা।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ক্যানেল রোডে মামেয়েকে ছুঁড়ে ফেলে দেওয়ার পর পালিয়ে যায় সনু এবং তাঁর দল। এরপর মেয়েকে কোলে করে কোনও মতে পা হেঁচরাতে হেঁচরাতে কাছের থানায় যান মহিলা। সেখানে গিয়ে পুলিশের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন তিনি এবং সমস্ত ঘটনা খুলে বলেন। তবে, সনু ছাড়া কাউকে যে তিনি চেনেন না, সেটাও জানান।   
আরও পড়ুন- কলকাতার হোটেলে নিয়ে গিয়ে তরুণীকে মাদক খাইয়ে লাগাতার ধর্ষণ, ধৃত ৩ 
আরও পড়ুন- পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রীকে ধর্ষণ, বিশাল পুলিশ বাহিনীর প্রচেষ্টায় গ্রেফতার অভিযুক্ত 
আরও পড়ুন- হায়দরাবাদ গণধর্ষণকাণ্ডে নালাবক অভিযুক্তদের সাজা নিশ্চিত করতে মরিয়া পুলিশ, নিয়েছে বড় পদক্ষেপ

Share this article
click me!