
বিয়ের পর ৬ মাসও পার করতে পারল না। স্বামীর কাছ থেকে এমন ব্যবহার আর সহ্য করতে না পেরে চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে বসলেন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার স্ত্রী। অভিযোগ, টাকার জন্য স্বামীর লাগাতার চাপ দিত ৩৫ বছর বয়সি দেবিকাকে, তার সেই অত্যাচার সহ্য করতে না পেরেই আত্মঘাতী বধূ। ছয় মাস আগেই গোয়ায় এই দম্পতি জমকালো অনুষ্ঠান করে বিয়ে করে সাড়া ফেলে দিয়েছিলেন। ৬ মাস পেরোতে না পেরোতেই কি পরিণতি হল যুবতীর, প্রশ্ন পরিবারের।
যুবতীর পরিবারের অভিযোগ,পণের দাবিতে মানসিক নির্যাতন করতেন স্বামী। বিয়ের মাত্র ছয় মাসের মধ্যে হায়দরাবাদের সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার যুবতীর এই মৃত্যুর ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের প্রাথমিকভাবে অনুমান, দেবিকা তাঁর হায়দরাবাদের বাড়িতে আত্মহত্যা করেছেন। দেহ উদ্ধার করে পাঠানো হয়েছে ময়নাতদন্তের জন্য। দেবিকার পরিবারের দাবি, তাঁদের মেয়েকে খুন করা হয়েছে। নগদ এবং সোনা দেওয়া হয়েছিল বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে। পরিবারের আরও অভিযোগ, তারপরও সতীশ জোরাজুরি করতেন দেবিকার পরিবারের নামে থাকা ফ্ল্যাটটা তাঁর নাম করে দেওয়ার জন্য। জানা গেছে দেবিকার স্বামী সতীশ আইআইটি খড়্গপুরের প্রাক্তনী।
হায়দরাবাদের বাসিন্দা দেবিকার ৬ মাস আগে ধুমধাম করে বিয়ে হয়েছিল। পেশায় দেবিকা একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, একসঙ্গে এক অফিসে কাজ করতেন দেবিকা আর সতীশ । সেখানেই তাদের দুজেনের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। শেষমেশ তাঁরা দু'জনে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিলে দুই পরিবার তাতে সম্মতি জানায়। জানা যায়, গত বছরের অগস্টের শেষের দিকে বিয়ে হয় এই সফ্টওয়ার ইঞ্জিনিয়ার দম্পতির।
বিয়ের ৬ মাসের মধ্যে কী এমন ঘটল, যার জেরে দেবিকাকে পথ বেছে নিতে হল এই পথ? এই প্রশ্ন জোরাল হতেই বিষয়টি অনুসন্ধান করছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে তদন্তকারীরা। তবে দেবিকার স্বামী সতীশ দাবি করেছেন, দেবিকা আত্মহত্যা করেছেন । অন্যদিকে দেবিকার পরিবার জানিয়েছে, আত্মহত্যা নয়, খুন করা হয়েছে দেবিকাকে। বিয়ের পর থেকেই মেয়ের উপর অতিরিক্ত চাহিদা মেটাতে অমানবিক অত্যাচার করতেন সতীশ। পরিবারে মেয়ের সঙ্গে নিত্য অশান্তি লেগেছিল। এমনকী পণের জন্য মারধরের অভিযোগ মৃতার পরিবারের। গোটা ঘটনা তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।