তার তালিকায় এমন অনেক নাম রয়েছে, যাদের সামনে এনে শচীন পাইলটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে পারেন তিনি। সিপি যোশী ছাড়াও, রঘু শর্মা ও বিডি কাল্লার নামও উল্লেখ করা হচ্ছে। এই দুই নেতাই সিপি জোশীর মতো ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং গেহলট গোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন।
অশোক গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে রাজি হয়েছেন, কিন্তু এখনও রাজস্থানের প্রতি তার মুগ্ধতা কাটছে না। অশোক গেহলট অবশ্যই রাহুল গান্ধীর 'এক ব্যক্তি এক পদ' নিয়ম ভাঙার পক্ষপাতী নন, তবে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে যদি তাঁকে পদত্যাগ করতে হয়, সেখানে পছন্দের লোক রাখার চেষ্টা করে চলেছেন তিনি। এই সূত্র ধরেই রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী পদে শচীন পাইলটকে দেখতে চান না গেহলট। ফলে এই পদের জন্য দাবিদার হিসেবে উঠে এসেছে বিধানসভার স্পিকার সিপি জোশীর নাম। গেহলট ইতিমধ্যেই যোশীর নাম প্রস্তাব করেছেন সোনিয়া গান্ধীকে।
এছাড়াও, তার তালিকায় এমন অনেক নাম রয়েছে, যাদের সামনে এনে শচীন পাইলটের মুখ্যমন্ত্রী হওয়া ঠেকাতে পারেন তিনি। সিপি যোশী ছাড়াও, রঘু শর্মা ও বিডি কাল্লার নামও উল্লেখ করা হচ্ছে। এই দুই নেতাই সিপি জোশীর মতো ব্রাহ্মণ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন এবং গেহলট গোষ্ঠীর প্রভাবশালী নেতাদের মধ্যে রয়েছেন।
এই নেতারা ছাড়াও শান্তি লাল ধারিওয়ালের নামও আলোচনায় রয়েছে, যারা বৈশ সম্প্রদায় থেকে এসেছেন। শান্তি লাল ধারিওয়াল অশোক গেহলটের ঘনিষ্ঠ এবং একজন প্রভাবশালী নেতা। রাজ্যের রাজনীতিতে ধরিওয়ালের ভাল দখল রয়েছে এবং তার মাধ্যমে অশোক গেহলট রাজস্থানে তার আধিপত্য বজায় রাখতে চান। তবে রাজস্থান কংগ্রেসের অন্দরেও আলোচনা চলছে পরসাদী লাল মীনার নামে। এর কারণ হল রাজস্থানের জনসংখ্যার ১৩ শতাংশ উপজাতি সম্প্রদায়, দলিতদের পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম ভোটার গোষ্ঠী।
শুধু তাই নয়, এই তফশিলি বিভাগে সবচেয়ে বেশি সংখ্যা মীনা ভ্রাতৃত্বের, যা রাজ্যে সাত শতাংশ। এমন পরিস্থিতিতে সামাজিক সমীকরণ নিরসনের কথা বলতে গিয়ে অশোক গেহলটও প্রস্তাব করতে পারেন পরসাদী লাল মীনার নাম। এমনকি হাইকমান্ডও এতে আপত্তি নাও করতে পারে। তা ছাড়া শচীন পাইলট গোষ্ঠীও তাদের বিরোধিতা করতে পারবে না এবং তা করলে এসটি সম্প্রদায়ের ক্ষোভের আশঙ্কা থাকবে। অশোক গেহলটকে শচীন পাইলটের বিরোধী শিবির বলেই মনে করা হয়। এখন পর্যন্ত অশোক গেহলট শচীন পাইলটের নামে কোনও উত্তর দেওয়া এড়িয়ে গেছেন।
নেহেরু-গান্ধী পরিবারের অনুগত
৭১ বছর বয়সী এই নেতাকে গান্ধী-নেহরু পরিবারের ঘনিষ্ঠ বলে মনে করা হয়, যারা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আলোচনা করতে সোনিয়া গান্ধী বা রাহুল গান্ধীর সাথে দাঁড়ান। ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায়ও কংগ্রেস যখন রাস্তায় বিক্ষোভ দেখায়, তখন ভিড়ের মধ্যে দেখা গিয়েছিল গেহলটকে। দল তাকে গুজরাটের পর্যবেক্ষক হিসেবেও নিয়োগ দিয়েছে। এ ছাড়া গান্ধী পরিবার তাঁকে কংগ্রেস সভাপতি পদের অন্যতম দাবিদার হিসেবেও প্রজেক্ট করছে।
কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের প্রক্রিয়া কী?
আগামী ২৪ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে দলের মনোনয়ন প্রক্রিয়া, চলবে ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এরপর ১৭ অক্টোবর সভাপতি পদে ভোটগ্রহণ হবে এবং ১৯ অক্টোবর ফলাফল ঘোষণা করা হবে। বিশেষ বিষয় হল, বহুদিন পর কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি অর্থাৎ সিডব্লিউসি-তেও নির্বাচন ঘোষণা করেছে।
NIA-র সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তল্লাশি অভিযান, পপুলার ফ্রন্টের ১০০ নেতা গ্রেফতার
NIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে
'সবুজ উন্নয়ন আর সবুজের চাকরি বাড়ানোই লক্ষ্য', পরিবেশমন্ত্রীদের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী