চন্দ্রযান ২, সোমবারই মূল মহাকাশযানটি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে ল্যান্ডার বিক্রম। বাকি অংশটি যখন চাঁদের চারপাশে প্রদক্ষিণ করতে থাকবে, তখন এই ল্যান্ডার বিক্রমই নেমে আসবে চাঁদের বুকে। আর সেই মুহূর্তেরই চলছে প্রতীক্ষা। বিজ্ঞান-প্রযুক্তির ওপর ভরসা করে চাঁদের রহস্য উন্মোচনে যখন চলছে জোরদার প্রচেষ্টা, ঠিক তখনই ঘটল এক অভাবনীয় কাণ্ড। বেঙ্গালুরুর রাস্তায় নেমে এল চাঁদ, যার বুকে হাঁটা চলা করতে দেখা গেল এক মহাকাশচারীকে। অবাক হচ্ছেন তো... রইল খবরের ভিতরের খবর।
সোশ্যাল মিডিয়া থেকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে ইতিমধ্যেই একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি মহাকাশচারীর বেশে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ৫৬ সেকেন্ডের এই ভিডিওর প্রথম অংশটুকু দেখে আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়, চাঁদের বুকেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন এক মহাকাশচারী। কিন্তু ভিডিও ক্লিপিংসটি যতই এগিয়ে যায় ততোই বিষয়টি আরও স্পষ্ট হয়ে উঠতে থাকে। হঠাই দেখা যায় মহাকাশচারীর পাশ দিয়ে হুশ করে চলে যাচ্ছে একটি অটো-রিক্সা। এবং তারপরে অন্যান্য গাড়ি-ঘোড়া যেতেও বাদ নেই। কী কাণ্ড বলুন তো! আর এখানেই যত মজা। শিল্পীর হাতের জাদুতে রাস্তার বেহাল অবস্থা উঠে এসেছে ঠিক এভাবেই।
আরও পড়ুন- চাঁদে নামতে তৈরি 'ল্যান্ডার বিক্রম', ছাড়াছাড়ি হল চন্দ্রযান ২-এর সঙ্গে, এরপর কী
চিত্রশিল্পী বাদল নানজুদাস্বামীর ম্যাজিকে বেঙ্গালুরু রাস্তার খানা-খন্দ ম্যাজিকের মতো রূপ নিয়ে হয়ে গিয়েছে যেন চাঁদের মাটি। যেখানে মহাকাশচারী তার নিজস্ব ছন্দে হাঁটাচলা করে চলেছেন। যদিও কিছুপরেই বাস্তব ছবিটা ধরা পড়েছে কঠোরভাবেই। মহাকাশচারীর পাশ দিয়ে হু হু করে ছুটে চলেছে ব্যস্ত সব যানবাহন।
ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার সময় নানজুনদাস্বামী ক্যাপশন দেন 'হ্যালো বিবিএমপি কমিশনার'। ভিডিওটি ভাইরাল হতে বেশি সময় নেয়নি। চার ঘন্টার মধ্যেই তাঁর পোস্টটি ৫০,০০০-এর বেশি ভিউ হয়, ১৪০০ লাইক এবং প্রায় ২৫০০ বার শেয়ার হয়। ভিডিওটি দেখে অনেকেই যেখানে অবাক হয়েছেন, সেখানে অনেকেই সরকারের নজর আকৃষ্ট করার জন্য এই প্রচেষ্টার প্রশংসা করেছেন।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম নয়, এর আগেও চিত্রশিল্পী নানজুনদাস্বামী এমন উদ্যোগ নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর রাস্তা নিয়ে। জুন মাসে তিনি রাস্তার মাঝে একটি প্রমাণ সাইজের কুমির এঁকেছিলেন। ২০১৮ সালে মাকড়সার জালও এঁকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি।