ভারতেও তৈরি হতে পারে শিশুদের করোনাভাইরাসের ভ্যাক্সিন। কোভ্যাক্সিন বিকাশকারী সংস্থা ভারত বায়োটেক জানিয়েছে আগামী তিন থেকে চার মাসের মধ্যেই তারা ২-১২ বছর বয়সী শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের টিকা তৈরি করতে পারে। বর্তমানে ভ্যাক্সিনগুলি কেবলমাত্র ১৬ বছরের বেশি বয়স্কোদেরই দেওয়া যেতে পারে। হায়দরাবাদভিত্তিক দেশীয় সংস্থাটি তাই এই পদক্ষেপ গ্রহণ করছে বলেও জানান হয়েছে। বর্তমানে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ের জন্য ১২ বছর বা তারও কমবয়সী শিশুদের ওপর প্রয়োগ করা হচ্ছে একমাত্র কোভ্যাক্সিন।
ভারত বায়োটেকের চেয়ারম্যান ও এমডি ডক্টর কৃষ্ণা এল্লা বলেছেন, পুরো বিষয়টি পরীক্ষা নিরীক্ষা পর্বে রয়েছে। এখনও তিন থেকে চার মাস সময় লাগবে। যদি নিয়ামক সংস্থা দ্রুত অনুমতি দেয় তবে সংস্থাটি দ্রুততার সঙ্গে ক্লিনিক্যাল শুরু করতে পারে ভারত বায়োটেক। তিনি আরও বলেন তাঁদের সংস্থা ২-১২ বছর বয়েস্কোদের ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রস্তুতি নিচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি সংস্থাটি এসংক্রান্ত একটি প্রস্তাব কেন্দ্রীয় নিয়ামক সংস্থার কাছে জমা দেবে।
করোনাভাইরাসের নতুন প্রজাতির কাঁটা, আটকে দিলে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ...
করোনা-টিকাকরণ সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় ১০টি তথ্য, বাধ্যতামূলক করা হয়েছে আধারকার্ড ...
ভারত বায়োটেকের পক্ষ থেকে এল্লা জানিয়েছেন, তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল চালাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি তা সম্পন্ন করা হবে। সেইসঙ্গে ১২ বছরের কম বয়সী শিশুদের ওপর ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চালানোর জন্য একটি প্রোটোকল উপস্থাপন করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, ১৬ বছরের কম বয়সীদের শিশুদের শুধুমাত্র নিস্ক্রীয় টিকা দেওয়া যেতে পারে। এইজাতীয় টিকাই শিশুদের ক্ষেত্রে দুর্দান্ত প্ল্যাফর্ম। অন্য প্ল্যাটফর্মগুলি শিশুদের ক্ষেত্র উপযুক্ত নাও হতে পারে। তিনি আরও জানিয়েছেন দেশীয় পদ্ধতিতে তৈরি করোনা টিকার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল চলবে ২ বছরের শিশুদের ওপর। ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিক্যাল রিসার্চ ও ন্যাশানাল ইনস্টিউট অব ভাইরোলজির সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে ভারত বায়োটেক তৈরি করেছে করোনাভাইরাসের টিকা কোভ্যাক্সিন। দেশীয় প্রযুক্ততিতে বিকাশ করা এটি প্রথম টিকা ভারতের।