রেল পরিষেবা স্বচ্ছল করে তোলার জন্য ভারত সরকারের প্রশংসা করে তাঁর বক্তব্য, “ভারতীয় রেলের সংস্কৃতি বদলে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিক পরিষেবাযুক্ত হাইস্পীড ট্রেনের দিকে এগোচ্ছে।”
হাওড়া স্টেশনে এসে পৌঁছেছে দেশের সপ্তম ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’। আজ ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সেই সেমি হাই স্পিড গতির বিলাসবহুল ট্রেনের উদ্বোধন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যাত্রাপথ সহজ হওয়ার পাশাপাশি এই ট্রেনের আগমনে নতুন দিশা পেল বাংলার পর্যটনশিল্পও। দক্ষিণবঙ্গ থেকে সোজা উত্তরবঙ্গ পর্যন্ত লম্বা রাস্তাটি অতি কম সময়ের মধ্যে সহজতর করে দিল দেশের রেল পরিষেবা। এই ট্রেনকে ঘিরেই এবার কেন্দ্র সরকারের প্রভূত প্রশংসা করলেন রাজ্যের বিজেপি সাংসদ তথা গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
শুক্রবার সকালেই নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের ছবি দিয়ে আনন্দ প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা। ট্রেনের ভিতরেই হাসিমুখে দেখা যায় তাঁকে। প্রকাশ পায় ট্রেনের ভেতরকার বিলাসবহুল কামরার ছবি, নীল রঙের সিটের ওপর রয়েছে মালপত্র রাখার যথেষ্ট জায়গা। বিশেষভাবে লেখা রয়েছে স্টেশনের নাম বা যাত্রীদের জানার জন্য জরুরি তথ্যও।
বিজেপি সাংসদ দিলীপ ঘোষের পোস্ট করা ‘বন্দে ভারত’ সংক্রান্ত অপর একটি ছবিতে দেখা যায় ভারতের রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবকেও। যাত্রীদের উদ্দেশে হাসিমুখে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাতে দেখা যায় রেল মন্ত্রীকে। ওপর আরেকটি ছবিতে দিলীপ ঘোষের সঙ্গে হাজির ছিলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও। ট্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে এক সঙ্গে আলোচনা করতে দেখা যায় পদ্ম শিবিরের দুই গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় জনসাধারণের উদ্দেশে এই ছবিগুলি পোস্ট করে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি লেখেন, “নতুন ভারত মানে গতিময় ভারত।” এর পাশাপাশি, রেল পরিষেবা স্বচ্ছল করে তোলার জন্য ভারত সরকারের প্রশংসা করে তাঁর বক্তব্য, “ভারতীয় রেলের সংস্কৃতি বদলে দিয়ে কেন্দ্রীয় সরকার আধুনিক পরিষেবাযুক্ত হাইস্পীড ট্রেনের দিকে এগোচ্ছে। তারই একটি ধাপ বন্দে ভারত ট্রেন। আজ হাওড়া স্টেশনে সেই ট্রেনের উদ্বোধন ক্ষণে থেকে এক নতুন অধ্যায়ের সূচনার সাক্ষী থাকলাম।” সাথে হ্যাশট্যাগ দিয়ে লেখা ‘বন্দে ভারত, হাওড়া থেকে শিলিগুড়ি।’
উল্লেখ্য, শুক্রবার ‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ উদ্বোধন হওয়ার আগে থেকেই বাংলার বিভিন্ন স্টেশনে জাতীয় পতাকা হাতে ভিড় করতে দেখা যায় বহু বিজেপি সমর্থকদের। হাওড়া স্টেশনে হাজির ছিলেন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতারাও। তবে, বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে ট্রেন উদ্বোধন হওয়ার সময়ে বহু বিজেপি সমর্থকদের ‘জয় শ্রী রাম’ স্লোগান দিতে শোনা যায়। পালটা রাজ্যের শাসকদলের সমর্থকরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান তুললে পরিস্থিতি প্রশাসনিক কাজের জায়গার বদলে অনেকখানি রাজনৈতিক ক্ষেত্রে পরিণত হয়ে ওঠে।
আরও পড়ুন-
‘বন্দে ভারত এক্সপ্রেস’ নিয়ে অশান্ত শান্তিনিকেতন, গোটা বোলপুর স্টেশন চত্বরে ব্যাপক ধুন্ধুমার
স্বাস্থ্যসাথীর নিয়মে বড়সড় বদল, বেসরকারি হাসপাতালগুলির কারচুপি রুখতে কড়া পশ্চিমবঙ্গ সরকার