বৃহস্পতিবার, গোয়ার এক সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছিল নিখোঁজ এক তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে যৌন নিপীড়ন বা ধর্ষণের প্রমাণ না মেলায় বাড়ল রহস্য।
গত বুধবার, ১১ অগাস্ট কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ১৯ বছরের তরুণী মেয়েটি। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিল তার পরিবার। বৃহস্পতিবার, সকালে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছিল তার অর্ধনগ্ন দেহ। শুক্রবার, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পুলিশ দাবি করেছে, কোনও ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়নি সে। তাহলে কীকরে তার মৃত্যু হল? ঘনাচ্ছে রহস্য।
গত বুধবার, ১১ অগাস্ট কাজে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল ১৯ বছরের তরুণী মেয়েটি। তারপর থেকেই তার আর কোনও খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পুলিশে অভিযোগও জানিয়েছিল তার পরিবার। বৃহস্পতিবার, সকালে সমুদ্র সৈকতে ভেসে এসেছিল তার অর্ধনগ্ন দেহ। শুক্রবার, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর পুলিশ দাবি করেছে, কোনও ধর্ষণ বা যৌন নিপীড়নের শিকার হয়নি সে। তাহলে কীকরে তার মৃত্যু হল? ঘনাচ্ছে রহস্য।
বৃহস্পতিবার সকালে গোয়ার ক্যালানগুট সৈকতে, এক তরুণীর অর্ধনগ্ন দেহ উদ্ধারকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। স্থানীয়রা, তাকে নিকটস্থ একটি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গিয়েছিলেন। চিকিৎসকরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। এরপরই, পুলিশে খবর দেওয়া হয়েছিল। এদিকে তার আগেরদিনই ওই তরুণীর বাবা পুলিশের কাছে মেয়ের নিখোজ হয়ে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছিলেন। ক্যালানগুট সৈকতে পাওয়া দেহটি তারই কিনা, তা সনাক্ত করার জন্য ওই তরুণীর বাড়িতে খবর দিয়েছিল পুলিশ। পরিবারের পক্ষ থেকে নিশ্চিত করার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছিল।
শুক্রবার গোয়া পুলিশ জানিয়েছে, পোস্টমর্টেম রিপোর্টে স্পষ্ট করে জানানো হয়েছে যুবতীর মৃত্যুর কারণ জলে ডুবে যাওয়া। উত্তর গোয়ার পুলিশ সুপার শোবিত সাক্সেনা বলেছেন, 'পোস্টমর্টেম রিপোর্টে বলা হয়েছে, সে ডুবে মারা গিয়েছে এবং তার মৃত্যুর আগে যৌন নিপীড়ন বা কোনও হামলার প্রমাণ মেলেনি। তাই আমরা তার ধর্ষণ বা তার উপর কোনও হামলার হয়নি বলে ধরে নিচ্ছি। কিন্তু, কোন পরিস্থিতিতে তার মৃত্যু হল, সেই বিষয়ে তদন্ত করছি'।
আরও পড়ুন - 'তারা ছুঁতে চেয়েছিলাম' - অনুপ্রেরণার আরেক নাম ক্যাপ্টেন জোয়া আগরওয়াল, গড়লেন আরও এক নজির
আরও পড়ুন - Kashmir - কতজন হিন্দু পণ্ডিত ফিরে পেয়েছেন পৈত্রিক ঘরবাড়ি, কী জানালো মোদী সরকার
বস্তুত, ময়না তদন্তের রিপোর্টে কোনও ধর্ষণ, যৌন নিপীড়ন বা শারীরিক হামলার চিহ্ন না পাওয়া যাওয়ায়, ই মামলায় রহস্য আরও গাঢ় হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, তরুণীর বাবার যে নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছেন, সেখানে তিনি জানিয়েছেন, ১৯ বছরের মেয়েটিকে তার পরিবার শেষ দেখেছিল বুধবার সকালে। শহরের একটি দোকানে বিক্রয়কর্মী হিসেবে কাজ করত সে। ওইদিনও দোকানে যাওয়ার জন্যই বাড়ি থেকে বেরিয়েছিল। তার বাবা তাকে বাস স্টপেজে নামিয়ে দিয়েছিলেন। সেখান থেকে তার বাস ধরে কাজে যাওয়ার কথা ছিল। অনেক রাত হয়ে গেলেও সেদিন সে বাড়ি ফিরে আসেনি। এদিক ওদিক খোজখবর নিয়েও তার কোনও সন্ধান না পেয়ে মপুসা থানায় নিখোঁজের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন তার বাবা।
কাজের জায়গা থেকে সে কীভাবে সমুদ্র সৈকতে চলে গেল? কীভাবে সে ডুবে গেল? তার সঙ্গে আর কেউ ছিল কি? প্রশ্নগুলোর উত্তর খুজছে পুলিশ।