ফ্রিজ থেকে উদ্ধার দাদুর পচাগলা দেহ। তেলাঙ্গনার ঘটনায় পুলিশের নজরে একমাত্র নাতি।
বাড়ি রেফ্রিজারেটরের মধ্যে থেকে উদ্ধার হয়েছে ৯০ বছরে এক বৃদ্ধের পচাগলা মৃত দেহ। বাড়ি থেকে প্রবল দুর্গন্ধ ছড়িয়েছিল। তাতেই প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। তাকপরই প্রতিবেশীরা বাড়িতে এসে অনেকক্ষণ খোঁজাখুঁজির পর বৃদ্ধের মৃহদেহ ফ্রিজের মধ্যে থেকে বার করে। এই ঘটনায় বৃহস্পতিবার রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে তেলাঙ্গনার ওয়ারঙ্গাল জেলার পারকালায়।
৯০ এর বেশি বয়স ছিল বালাইয়ার। পারকালায় একটি ভাড়া বাড়িতে ২৬ বছরের নাতি নিখিলের সঙ্গে থাকতেন তিনি। মাস তিনেক আগে বালাইয়ার স্ত্রী মারা যান। তারপর থেকে দাদু নাতির সংসার হয়ে যায়। নিখিল দশম শ্রেণী পর্যন্ত পড়াশুনা করেছে। তারপরই স্কুল ছেডে দেয়। বর্তমানে সে বেকার।
যোগীরাজ্যের পুলিশের অন্যরূপ, আক্রান্ত মুসলমান ব্যক্তির ভিডিও ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে পদক্ষেপ
গজনির পর কান্দাহারে পা তালিবানদের, আফগানিস্তানে ক্রমশই জমি হারাচ্ছেন আশরাফ ঘানি
প্রতিবেশীরাই পুলিশে খরব দেয়। পুলিশ এসে ফ্রিজ থেকে বৃদ্ধের দেহ উদ্ধার করে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান দিন ছয়েক আগে মৃত্যু হয়েছে বৃদ্ধের। ময়না তদন্তের জন্য দেহ পাঠান হয়েছে। প্রথমিকভাবে পুলিশ নিখিলকেও জিজ্ঞাসাবাদ করেছে। সূত্রের খবর নিখিল জানিয়েছে, সে কোনও কাজ করে না। তাই হাতে কোনও পয়সা নেই। আর সেই কারণেই দাদুর দেহ ফ্রিজের মধ্যে রেখা দিয়েছিল। অসুস্থতার কারণেই দাদুর মৃত্যু হয়েছে বলেও জানিয়েছে সে। নিখিল আরও জানিয়েছে তার দাদু তিন বছর ধরে শয্যাসায়ী। তিন মাস আগে ঠাকুমা মারা যাওয়ার আগে পর্যন্ত তিনিই সবকিছু দেখাশোনা করতেন। তারপর থেকে নিখিল কোনও রকমে দাদুর পরিচর্যা করত। ২০১৯ সালে একটি দুর্ঘটনায় নিখিলের বাবার মৃত্যু হয়। তারও ১০ বছর আগে মাকে হারিয়েছে সে।
International Lefthanders Day- বাঁহাতি ক্লাবের সেরা দশ সদস্য, তালিকায় মোদী, শচিন-সহ আর কে
তদন্তকারীদের অনুমান, নিখিল বেকার। দাদু বালাইয়ার পেনশনের টাকায় সংসার চলত। আর সেই কারণেই দাদুর দেহ দাহ না করে লুকিয়ে রেখে পেনশনের টাকা হাতানো তার লক্ষ্য ছিল। তবে বালাইয়ের শরীরে কোনও চোট বা আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তাই তাঁর মৃত্যুর সঠিক কারণ জানতে ফরেন্সিক তদন্তও করা হয়েছে। স্বাভাবিক মৃত্যু না খুন করা হয়েছে তাও তদন্ত করে দেখা হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যু মামলাও রুজু করা হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে আগেই মৃত্যু হয়েছিল বালাইয়ার। তবে দেহে পচন শুরু হওয়ার পরে তা ফ্রিজে রাখা হয়েছিল। তবে ফ্রিজে কেন দেহ রাখা হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলেও জানিয়েছে পুলিশ।