ফের জম্মু-কাশ্মীরে মিলল সূড়ঙ্গ
সূড়ঙ্গটি পাকিস্তানের খনন করা বলে দাবি বিএসএফ-এর
এই নিয়ে গত ১০ দিনে ওই এলাকায় দ্বিতীয় সূড়ঙ্গ মিলল
একই জায়গায় আগেও রুখে দেওয়া হয়েছে অনুপ্রবেশের চেষ্টা
শনিবার (২৩ জানুয়ারি) জম্মু ও কাশ্মীরের কাঠুয়া জেলায় পাকিস্তানের তৈরি আরও একটি ভূগর্ভস্থ টানেল বা সূড়ঙ্গ সনাক্ত করেছে বলে দাবি করল বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (BSF)। সীমান্তরক্ষা বাহিনীর এক মুখপাত্র এদিন জানিয়েছেন, জম্মু ও কাশ্মীর (Jammu And Kashmir) অঞ্চলে সন্ত্রাসবাদীদের অনুপ্রবেশের সুবিধার্থেই পাক নিরাপত্তা আন্তর্জাতিক সীমান্ত বরাবর ওই সূড়ঙ্গটি তৈরি করেছে। হিরানগর সেক্টরের পানসর এলাকায় সীমান্ত ফাঁড়িতে একটি সূড়ঙ্গ -বিরোধী অভিযানের সময় এই সুড়ঙ্গটি আবিষ্কার করে বিএসএফ-এর জওয়ানরা।
১০ দিন আগেই এই হিরানগর সেক্টরেই বিএসএফ কর্মীরা একটি ভূগর্ভস্থ টানেল খুঁজে পেয়েছিলেন। এদিন বিএসএফ-এর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জম্মুর পানসর অঞ্চলে আরও একটি সুড়ঙ্গ খোঁড়া হয়েছে, এই বিষয়ে নির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্য পেয়েছিল তারা। সেই অনুযায়ী এদিন ভোরে ওই এলাকায় সেনা অভিযান চালানো হয়েছিল। সীমান্ত চৌকি ১৪ এবং ১৫-র মধ্যে এক স্থানে সূড়ঙ্গটি পাওয়া যায়। এই দুই চৌকির উল্টোদিকে সীমান্তের ওইপাড়ে পাক রেঞ্জারদের অভিলাল ডোগরা এবং কিংরে-দে-কোথ চৌকি রয়েছে বলে জানিয়েছে বিএসএফ।
আরও পড়ুন - 'কলকাতা কেন রাজধানী হবে না', নেতাজির জন্মদিনে বৈপ্লবিক পরিবর্তনের প্রস্তাব মমতার
আরও পড়ুন - নেতাজি ভবনে বিজেপি-কে আনতে চেয়ে বিতর্কে প্রধানমন্ত্রী, তীব্র আপত্তিতে বদলালো কর্মসূচি
এর আগে গত ১৩ জানুয়ারি, জম্মু ও কাশ্মীরের হিরানগর সেক্টরের বোবিয়ান গ্রামে একটি ১৫০ মিটার দীর্ঘ সুড়ঙ্গ সনাক্ত করেছিল বিএসএফ। এই সুড়ঙ্গটিও ১৫০ মিটার দীর্ঘ এবং ৩০ ফুট গভীর। কাজেই গত দশ দিনের মধ্যে এই নিয়ে বিএসএফ দ্বিতীয় ভূগর্ভস্থ টানেল আবিষ্কার করল। আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী আর সাম্বা ও কাঠুয়া জেলায় এই নিয়ে গত ছয় মাসে পাওয়া গেল চতুর্থটি সূড়ঙ্গ। বিএসএফ ও সেনার কর্মকর্তাদের দাবি, গত দশ বছরে এই অঞ্চলে অন্তত দশটি গোপন ভূগর্ভস্থ সূড়ঙ্গ সনাক্ত করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, হিরানগর সেক্টরের যে এলাকায় সূড়ঙ্গটি পাওয়া গিয়েছে, ওই একই এলাকায় এর আগে বেশ কয়েকবার পাক ,সেনা ও পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিদের অনুপ্রবেশের চেষ্টা রুখে দেওয়া হয়েছে। ২০২০ সালের জুন মাসেই ওই এলাকায় অস্ত্র ও গোলাবারুদ বোঝাই একটি পাকিস্তানি হেক্সাকপ্টার (এক ধরণের ড্রোন) ঢুকে পড়েছিল। গুলি করে সেটিকে মাটিতে নামিয়েছিলেন বিএসএফ-এর জওয়ানরা। আবার ২০১৯ সালের নভেম্বর মাসে ওই একই এলাকা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করেছিল পাক জঙ্গিরা। সেইবার বিএসএফ-এর একটডি টহলদার বাহিনীর নজরে ধরা পড়ে যায় তারা। তারপর অনুপ্রবেশকারীদের উপর গুলি চালিয়ে সেই চেষ্টা ব্যর্থ করে দিয়েছিল বিএসএফ।