সম্প্রীতির সঙ্গে কোনও আপোষ নয়- দেশ জুড়ে সাম্প্রদায়িক হিংসার আবহে বার্তা মোদীর

প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ করা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং সংঘর্ষের বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে।

Parna Sengupta | Published : Apr 21, 2022 9:58 AM IST

দেশ জুড়ে হনুমান জয়ন্তীর দিন থেকে ঘটে চলেছে একের পর এক সাম্প্রদায়িক হিংসার ঘটনা। সম্প্রতি দিল্লির জাহাঙ্গিরপুরীর ঘটনা নাড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনকে। এবার এই পরিস্থিতিতে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বৃহস্পতিবার ১৫তম সিভিল সার্ভিস দিবসে একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় মোদী বলেন যে দেশের অখণ্ডতা এবং একতার সাথে কোনও আপস করা হবে না। 

ভারতের সর্দার প্যাটেলের দৃষ্টিভঙ্গির কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, "আমরা একটি গণতান্ত্রিক জাতি এবং আমাদের সামনে তিনটি প্রধান স্তম্ভ - সমতা, বিশ্বায়ন এবং ভারতের ঐক্য। আমরা কখনই ভারতের ঐক্যের সাথে আপস করতে পারি না, এটি আমাদের প্রথম এবং প্রধান দায়িত্ব।"

প্রধানমন্ত্রীর এই বিবৃতিতে নির্দিষ্ট কোনও ঘটনার উল্লেখ করা হয়নি। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে সাম্প্রদায়িক হিংসা এবং সংঘর্ষের বেশ কয়েকটি ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে। এৎ মধ্যে সবচেয়ে সাম্প্রতিক এবং বিতর্কিত হল দিল্লির জাহাঙ্গীরপুর হনুমান জয়ন্তী দাঙ্গা।

যদিও প্রধানমন্ত্রী মোদী এই ঘটনার প্রত্যক্ষ কোনো উল্লেখ করেননি, তিনি আশাপ্রকাশ করেছেন যে দেশের ঐক্য কোনো মূল্যেই আপস করা হবে না। উল্লেখ্য, ১৬ এপ্রিল হনুমান জয়ন্তী উপলক্ষে একটি মিছিল চলাকালীন উত্তর দিল্লির জাহাঙ্গীরপুরী এলাকায় দুটি ভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক অশান্তি শুরু হয়। এই সংঘর্ষে আহত হন সাতজন পুলিশ কর্মী। 

ঘটনার তদন্ত শুরু করা হয়েছে এবং প্রধান অভিযুক্ত আনসার সহ বেশ কয়েকজন অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বিনা অনুমতিতে মিছিল করার জন্য বিশ্ব হিন্দু পরিষদ ও বজরং দলের বিরুদ্ধেও মামলা করা হয়েছে।

এদিকে, সিভিল সার্ভিস দিবসে জনপ্রশাসনে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য পুরস্কার প্রদান করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। সাধারণ নাগরিকদের কল্যাণে জেলা ইউনিট এবং কেন্দ্রীয়/রাজ্য সংস্থাগুলির দ্বারা করা অসাধারণ এবং উদ্ভাবনী কাজের স্বীকৃতি দেওয়ার লক্ষ্যে জনপ্রশাসনে শ্রেষ্ঠত্বের জন্য প্রধানমন্ত্রীর পুরস্কারগুলি চালু করা হয়েছে।

হনুমান জয়ন্তীর মিছিলকে ঘিরে শনিবার সন্ধ্যায় দুই ধর্মীয় সম্প্রদায়ের সংঘর্ষ শুরু হয়। সেই ঘটনার পর এখনও রীতিমত থমথমে দিল্লির জাহাঙ্গীপুরী এলাকা। গোটা এলাকায় মোতায়েন রয়েছে ব়্যাফ। টহল দিচ্ছে পুলিশ। আহতের সংখ্যা ৯। যারমধ্যে ৮ জনই পুলিশ কর্মী। দিল্লি পুলিশের সাব ইন্সপেক্টর মাধহালাল মিনার হাতে গুলি লেগেছে। যা থেকে স্পষ্ট হনুমান জয়ন্তীর মিছিলে গুলি চলেছে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি মিছিল ঘিরে সংঘর্ষের সময় এক ব্যক্তি গুলি চালিয়েছে। যে ব্যক্তিকে পুলিশ কাঠগড়ায় তুলেছে সেই ব্যক্তি নাবালক বলেও দাবি করেছে অভিযুক্তের পরিবার। 

শুভ ধাতু সোনার ৮টি উপকারিতা, সব গ্রহের সঙ্গে যুক্ত এই ধাতু কাটিয়ে দিতে পারে একাধিক বিপদ

সাম্প্রদায়িক হিংসায় প্রধানমন্ত্রী নীরব কেন? বিবৃতি দিয়ে প্রশ্ন মমতা-সনিয়াসহ ১৩ বিরোধীর

হনুমান জয়ন্তীর মিছিলকে কেন্দ্র করে রণক্ষেত্র দিল্লি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে হস্তক্ষেপ অমিত শাহর

Share this article
click me!