সরকারি কেরানির বাড়ি থেকে উদ্ধার ৮৫লক্ষ, জেরা থেকে বাঁচতে 'বিষ' খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা

মধ্য প্রদেশ পুলিশ বুধবার সরকারের একজন কেরানির বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা। সেই ব্যক্তির আয়ের সঙ্গে এই টাকা কোনও ভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। রাজ্যের ইকোনমিক অফেন্সস ইউং একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদের মামলার তদন্তে নামে। তাতেই উদ্ধার হয়েছে এই লক্ষ লক্ষ টাকা।

Saborni Mitra | Published : Aug 3, 2022 6:15 PM IST

পার্থ চট্টোপাধ্যায় অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের পর কলকাতা থেকেই ঝাড়খণ্ডের তিন সাংসদের গাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল প্রচুর নগদ টাকা। এবার স্থান বিজেপি শাসিত মধ্য প্রদেশ। এক সরকারি ক্লার্কের বাড়িতে পুলিশ রেড করার সময় উদ্ধার হয়েছে নগদ ৮৫ লক্ষ টাকা। কোথা থেকে আসছে এই লক্ষ কোটি টাকা নদগ। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।  

যাইহোক, মধ্য প্রদেশ পুলিশ বুধবার সরকারের একজন কেরানির বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে প্রায় ৮৫ লক্ষ টাকা। সেই ব্যক্তির আয়ের সঙ্গে এই টাকা কোনও ভাবেই সংগতিপূর্ণ নয়। রাজ্যের ইকোনমিক অফেন্সস ইউং একটি অসামঞ্জস্যপূর্ণ সম্পদের মামলার তদন্তে নামে। তাতেই উদ্ধার হয়েছে এই লক্ষ লক্ষ টাকা। 

বুধবার ইওডাব্লিউ অধিকারিকরা রাজ্যের চিকিৎসা শিক্ষা বিভাগের কেরনা হিরো কেশওয়ানির বাড়িতে হানা দেয়। সেখান থেকেই উদ্ধার হয়েছে এই টাকা। এদিকে ইওডাব্লু তল্লাশি চালাতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছানোর পরই তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অসুস্থতার কারণে কর্মকর্তারা কেশওয়ানিকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেননি। যদিও তদন্তকারীদের সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী তাঁর বাড়িতে পুলিশ ঢোকার পরই তিনি বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। মনে করা হচ্ছে তিনি বাথরুম পরিষ্কার করার লিকুইড খেয়ে নিয়েছিলেন।  হিরো কেশওয়ানি চাকরি শুরুর সময় মাসিক বেতন ছিল ৪ হাজার টাকায বর্তমানে তাঁর মাসের বেতন ৫০ হাজার টাকা। 

হিরো কেশওয়ানি বর্তমানে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। তবে এই ঘটনার তদন্ত চলবে বলে জানিয়েছে মধ্য প্রদেশ পুলিশ। আগামী দিনে তিনি সুস্থ হয়ে উঠলে তাঁকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। পুলিশের অনুমান এই ঘটনায় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের হাত রয়েছে। বুধবার গভীর রাত পর্যন্ত অনুসন্ধান অভিযান অব্যাহত ছিল এবং বৈরাগড় এলাকায় অবস্থিত তার বাড়িতে পাওয়া নগদ টাকার সঠিক মূল্য গণনা করার জন্য একটি নোট গণনা মেশিন আনা হয়েছিল। তদন্তকারীদের অনুমান তিনি প্রায় চার কোটি টাকা সম্পত্তির মালিক। 

কেশওয়ানির পরিবারের সদস্যদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে লক্ষ লক্ষ টাকা জমা পাওয়া গেছে। তিনি তার স্ত্রীর নামে বেশিরভাগ সম্পত্তি কিনেছিলেন বলে দাবি তদন্তকারীদের। পাশাপাশি তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন এত সম্পত্তি কেনার মত আয়ের কোনও উৎস কেশওয়ানির নেই। তদন্তকারীরা আরও জানিয়েছেন যে পরিমাণ সম্পত্তির উদ্ধার হয়েছে যা কতটা বৈধ তা নথি যাচাইয়ের পরই জানা যাবে।

অপা ইউটিলিটির ১০০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার পার্থ-অর্পিতা, ক্রমশই লম্বা হচ্ছে তাদের সম্পত্তির তালিকা

প্রধানমন্ত্রী মোদীর কথা শুনলেন রাহুল গান্ধী, করলেন এই বিশেষ কাজটি

আরও ২ দিনের ইডি হেফজতের নির্দেশ পার্থ-অর্পিতাকে, দেখা করা নিয়েও দর কষাকষি আদালতে

Share this article
click me!