৫০০-র মধ্যে সরকারের ডাক পেল ৩২টি সংগঠন, বিক্ষুব্ধ কৃষকরা আদৌ যোগ দেবেন তো

আন্দোলন করছে ৫০০টিরও বেশি সংগঠন

তাদের মধ্যে ৩২টি সংগঠনকে আলোচনায় ডাকল কেন্দ্রীয় সরকার

এই নিয়ে নতুন করে ক্ষোভ কৃষকদের মধ্যে

আদৌ আলোচনা হবে তো

 

মঙ্গলবার দুপুর ৩টেয় ৩২টি কৃষক সংগঠনকে আলোচনার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় কৃষিমন্ত্রী নরেন্দ্র তোমর। সেই বৈঠকে উপস্থিত থাকতে পরেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তবে শেষ পর্যন্ত কৃষক সংগঠনগুলি এই ব২বৈঠকে যোগ দেবে কিনা, তাই নিয়েই প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে আলোচনাকর মধ্য দিয়ে কোনও সমাধান সূত্র আদৌ বের হবে কিনা, সেই বিষয়েও সংশয় রয়েছে। কারণ নিজেদের দাবি থেকে এক পা সরতে রাজি নয়, আন্দোলনরত কৃষকরা।

কেন্দ্রের নতুন তিনটি কৃষি আইন নিয়ে গত ৫ দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন দেশের কৃষকরা। নেতৃত্বে পঞ্জাবের কৃষকরাই থাকলেও, তাঁদের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশের অসংখ্য কৃষকও। সারা দেশের প্রায় ৫০০টিরও বেশি কৃষক সংগঠন এই আন্দোলনকে সমর্থন করছে বলে জানা গিয়েছে। এই অবস্থায় হরিয়ানা-দিল্লির সিংঘু সীমান্তে পঞ্জাব কিষান সংঘর্ষ কমিটির যুগ্ম-সচিব সুখবিন্দর এস সাভরান বলেছেন, সরকার কৃষকদের ঐক্য ভাঙতে চাইছে। যতক্ষণ পর্যন্ত সরকার আন্দোলনরত সমস্ত সংগঠনগুলিকে আলোচনায় না ডাকবে, ততক্ষণ পর্যন্ত প্রতিবাদী কৃষকরা সরকারের সঙ্গে কোনও আলোচনায় বসবেন না।  

Latest Videos

এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার ক্রান্তিকারি কিষাণ ইউনিয়ন, ভারতীয় কিষাণ সভা, কুল সহিন্দ কিষাণ সভা, কৃতি কিষাণ ইউনিয়ন, পঞ্জাব কিষাণ ইউনিয়ন-এর মতো বৈঠকে ডাক পাওয়া ৩০ টিরও বেশি কৃষক ,সংগঠনের নেতারা জরুরি বৈঠক ডেকেছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের আলোচনার আমন্ত্রণে সাড়া দেওয়া হবে কিনা, দিলে সেখানে গিয়ে কী বলা হবে - এইসব বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে নিতে চাইছেন তাঁরা।

আরও পড়ুন - শুধু ধর্ম নয়, পুরুষদের জানাতে হবে আরও বেশি কিছু - অসমে আরও কড়া 'লাভ জিহাদ' আইন

আরও পড়ুন - ডিসেম্বর পড়লেও শীত এল না কলকাতায়, সপ্তাহান্তে আরও চড়বে পারদ

আরও পড়ুন - একদিনেই নতুন সংক্রমণ কমল ২০ শতাংশ, বেড়েই চলেছে সুস্থতার হার - ভারতে ক্রমে দুর্বল করোনা

সোমবার রাতেই কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ৩২টি কৃষক সংগঠনের নেতাদের কাছে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়। আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, ৩ ডিসেম্বর কৃষিমন্ত্রী, কৃষক সংগঠনগুলির সঙ্গে আলোচনায় বসবেন। তার আগে অবশ্য সরকার নির্ধারিত স্থানে তাঁদের প্রতিবাদ তুলে নিয়ে যাওয়ার শর্ত দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, কোভিড সংক্রমণ ও উত্তরভারতের শৈত্যপ্রবাহের কারণ দেখিয়ে নির্ধারিত দিনের আগেই কৃষকদের আলোচনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, সোমবার এই বিষয়ে এক উচ্চস্তরের বৈঠকের পরই এই সিদ্ধান্ত নেয় মোদী সরকার।

প্রসঙ্গত, সোমবার রাতেই শীতের প্রকোপে এক আন্দোলনরত কৃষকের মৃত্যু হয়েছে। তবে, কৃষকদের দাবি, কোভিড বা শীত নয়, আসল কারণ চাপে পড়েছে সরকার। কৃষক সংগঠনগুলি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে, তাঁরা তাঁদের দাবিগুলি নিয়ে কোনওরকম আপোসে রাজি নন। প্রধানমন্ত্রীর মাসিক 'মন কি বাত' অনুষ্ঠান-এর কথা উল্লেখ করে তাঁরা জানিয়েছেন, সরকার একতরফা সিদ্ধান্ত না নিয়ে এবার কৃষকদের মন কি বাত শুনুক। সরকার দাবি করেছিল, নয়া কৃষি আইন কৃষিজাত পণ্যের 'এক দেশ, এক বাজার'-এর স্বপ্ন পূরণ করবে। কিন্তু, বিক্ষোভকারী কৃষকরা তা মানতে নারাজ। তাঁদের মতে নয়া আইন বরং ফসলের জন্য দুটি বাজার তৈরি করেছে। এতে কর্পোরেট সংস্থাগুলি লাভবান হবে, তাঁরা নন।

Share this article
click me!

Latest Videos

পুলিশি অভিযানে বড়সড় সাফল্য! উত্তেজনা রানাঘাটে, দেখুন | Ranaghat News Today
ইসকনের পাশে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, কড়া বার্তা দিলেন বাংলাদেশকে? Narendra Modi
অসাধ্য সাধন! যথেষ্ট পরিকাঠামো না থাকার সত্ত্বেও ৮০০ গ্রামের শিশুকে বড় করে তুলল বারাসাত মেডিক্যাল
ফের ইডির ভয়াল থাবা! মধ্যমগ্রাম কাঁপলো ইডির দুঃসাহসিক অভিযানে, দেখুন | North 24 Parganas | ED Raid
'রোহিঙ্গারা মমতার ভোট ব্যাঙ্ক তাই তিনি বিএসএফকে জমি দিচ্ছে না' বিস্ফোরক মন্তব্য অগ্নিমিত্রার