করোনা পরিস্থিতি খারাপ হচ্ছে
রেমডেসিভির বিদেশে পাঠানোর ওপর স্থগিতাদেশ
পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি
দেশে দ্বিতীয় পর্বে ক্রমশই ভয়ঙ্কর আকার নিচ্ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ। এই অবস্থায় রীতিমত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে রেমডেসিভির। সংক্রমণ রুখতে ও আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য আপাত রেমডেসিভির ইনজেকশন বিদেশে রফতানির ওপর নিষেধাজ্ঞা জানি করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। দেশের করোনা পরিস্থিতি স্থিতিশীল না হওয়া পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলেও কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানান হয়েছে। রবিবার কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে রেমডেসিভির ইনজেকশনের চাহিদা দেশে বৃদ্ধি পাচ্ছে। সেই কারণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। সূত্রের খবর ভারত বেশ কয়েকটি দেশে রেমডেসিভির রফতানি করেছে মহামারির প্রথম থেকেই।
কেন্দ্রীয় সরকার একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছে, আগামী দিনে রেমডেসিভিরের চাহিদা আরও বাড়তে পারে। যেসব ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থা এটি তৈরি করে তাদের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হবে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ওষুধ প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলিকে মজুত থাকা রেমডেসিভিরের সংখ্যা ও পরিমাণ তাদের ওয়েবসাইটে আপলোড করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছ। রেমডেসিভির বাছাই ও কালোবাজারি বন্ধ করার জন্য কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানান হয়েছে।
দেশে শুরু হয়েছে করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় তরঙ্গ। আক্রান্তের সংখ্যা ধীরে ধীরে বাড়ছে। দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা দেড় লক্ষ ছাড়িয়ে গেছে। দ্বিতীয় তরঙ্গে আক্রান্তের গড় ছাপিয়ে গেছে প্রথম তরঙ্গকেও। এই অবস্থায় দিল্লি, মহারাষ্ট্র সহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে হাসপাতালগুলি বাড়ছে রোগীর সংখ্যা। করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য গুরুত্বপূর্ণ ওষুধ হল রেমডেসিভির। বেশ কয়েকটি রাজ্যে ইতিমধ্যেই এই ওষুধ বাড়ন্ত। সূত্রের খবর দেশীয় রোগীদের চাহিদা মেটাতেই রেমডেসিভির বিদেশে পাঠানোর ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
গত সপ্তাহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী চার দিনের টিকা উৎসবের ডাক দিয়েছেন। ১১-১৪ এপ্রিল অর্থাৎ রবিবার থেকে বুধবার পর্যন্ত চলবে এই টিকা উৎসব। প্রধানমন্ত্রীর কথায় এটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় যুদ্ধ। এর মূল লক্ষ্যই হল অল্প সময়ের মধ্যে বেশি সংখ্যাক মানুষকে করোনা টিকা প্রদান করা। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী শনিবার পর্যন্ত ১০ কোটিরও বেশি মানুষকে টিকা প্রদান করা হয়েছে।
বিস্তারিত আসছে...