আগে গুপ্তচরবৃত্তি করত। ২০১৮ সালে পুলিশের জালেও পড়েছিল। কিন্তু তাতেও শিক্ষা হয়নি চিনা নাগরিক লুও সাং-এর। পুলিশের ফাঁদ থেকে বেরিয়ে এসে নাম ভাঁড়িয়ে ধীরে ধীরে হয়ে উঠেছিল হাওয়া চক্রের পাণ্ডের। তাঁর বিরুদ্ধে প্রায় ১ হাজার কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। ইতিমধ্যেই আয়কর বিভাগের আধিকারিকদের জালে আটকে পড়েছে লুও সাং।
মঙ্গলবার শুক্ত দফতেরে আধিকারিকরা বিশ্বসযোগ্য় সূত্র মারফত খবর পেয়ে দিল্লি, গাজিয়াবাদ, গুরুগ্রামের প্রায় ২১টি জায়গায় তল্লাশি চালান। আর সেই তল্লাশির সময়ই উঠে আসে চিনা নাগরিক লুও সাং এর নাম। যদিও সেই লুও সাং বর্তমানে নিজের নাম পরিবর্তন করে রেখে চার্লি পেং। কিন্তু তারপরেও তদন্তকারীদের চোখে ধুলো দিতে পারেনি। তাকে গ্রেফতার করা হয়।
কেন্দ্রীয় ট্যাক্স বোর্ডের তথ্য অনুযায়ী লাউ সাং ৮-১০টি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করছিল। ৩০০ কোটি টাকার হাওয়ালা কেলেঙ্কারির জন্য নকল চিনা সংস্থার প্রতিনিধি হিসেবে নিজের পরিচয় দিয়েছিল। আর সেই কাজে তাকে সাহায্য করেছিল ভারতীয় ব্যাঙ্কের বেশ কয়েকজন কর্মী। তাদের ওপরেও নজর রয়েছে তদন্তকারী আধিকারিদের।
স্থিতিশীল হলেও মৃত্যুর সঙ্গে লড়ছেন প্রণব মুখোপাধ্যায়, মেডিক্যাল বুলেটিনে জানাল হাসপাতাল ...
প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীদের অনুমান প্রায় ২ বছর ধরেই এই বেআইনিভাবে লেনদেন চালাচ্ছিল চিনা নাগরিক। আগে দ্বারকা থেকে কাজকর্ম পরিচালনা করতে, বর্তমানে তার কর্মক্ষেত্র ছিল গুরুগ্রাম। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও হংকং-এও হাওয়ালা কাণ্ডে জড়িয়েথাকার প্রমান পাওয়া গেছে।
আবারও কাঠগড়ায় চিনা অ্যাপ টিকটক, ১৮ মাস ধরেই 'কুনজর' ছিল ব্যবহারকারীদের ওপর ...
প্যাংগং দোপসাং ছাড়তে নারাজ লাল ফৌজরা, সীমান্ত উত্তাপ কমাতে কূটনৈতিক আলোচনার দিকে ভারত ...
আয়কর বিভাগ লুও সাংএর দুটি জাল আধার কার্ড, একটি জাল প্যান কার্ড আর একটি জাল পাসপোর্ট উদ্ধার করেছে। তার প্রথম আধার কার্ডের নাম ছিল চার্লি পেং। প্রথমে ঠিকানা ছিল দ্বারকা। পরবর্তীকালে ঠিকানা হয়ে যায় মণিপুর। গুয়াহাটির ঠিকানায় তার একটি ভারতীয় পাসপোর্টও রয়েছে। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন অভিযুক্ত ব্যক্তি চিনের নাগরিক আর তিব্বতের লাসার বাসিন্দা। তবে জাল পাসপোপ্ট তৈরির জন্য ভারতীয় এক মহিলাকে বিয়েও করেছিল লুও সাং। তার স্ত্রী মিজোরামের লুঙ্গিলির বাসিন্দা। তদন্তকারী সংস্থা স্ত্রীর পাসপোর্টও উদ্ধার করেছে।