চিনা যুদ্ধ বিমান লাইন অব কন্ট্রোলের কাছেই , সিকিমের পর এবার লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা

সিকিমের পর এবার লাদাখে
সীমান্ত ঘেঁসে অবস্থান চিনের যুদ্ধ বিমানের
টহল বাড়িয়েছে ভারতীয় সেনা 

Asianet News Bangla | Published : May 12, 2020 10:26 AM IST

লাদাখে ভারত-চিন সীমান্ত বেশ কয়েকটি  চিনা যুদ্ধ বিমান উড়ে দেখা গিয়েছিল। লাইন অব অ্যাকচুয়াল কন্ট্রোলের খুব কাছেই চিনা যুদ্ধ বিমানের গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করেছিল ভারতীয় সেনা বাহিনী। সেনা সূত্র জানা গেছে ভারতীয় সীমান্তের খুব সংলগ্ন এলাকা দিয়ে উড়ছিল চিনের যুদ্ধবিমানগুলি। এরপরই ওই এলাকায় নাজরদারী বাড়ান হয়েছে। টহল দিচ্ছে ভারতীয় যুদ্ধ বিমানও। 

এই ঘটনা এই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিকবার লক্ষ্য করা গেছে যে লাদাখ সেক্টরে চিনের যুদ্ধ বিমানগুলি ইচ্ছে করেই সামান্ত লঙ্ঘন করেছে। একই সঙ্গে ভারতীয় সীমানায় ঢুকে নিজের এলাকা বলে দাবিও করেছে। কিন্তু লাদাখে অবস্থায় ভারতী বিমান ঘাঁটি থেকে পুরো বিষয়টি সম্পূর্ণ রূপে নজর রাখা হচ্ছে বলেও সেনাবাহিনী সূত্রের খবর। লে হল লাদাখে অবস্থিত ভারতীয় বিমান বাহিনীর একটি মূল ঘাঁটি। তবে সেখানে স্থায়ীভাবে কোনও যুদ্ধ বিমান মোতায়েন করা হয় না। যুদ্ধ বিমানের স্কোয়াড্রনগুল সারা বছরই সক্রিয় রাখে ভারতীয় সেনা। এই এলাকা থেকে প্রয়শই সুখোই ৩০এমকেআই যুদ্ধ বিমান ওড়ান হয়। সূত্রের খবর ভারতীয় বিমান বাহিনী পরিস্থিতির দিকে সম্পূর্ণ নজর রেখেছে ।

আরও পড়ুনঃ এয়ার ইন্ডিয়ায় আবারও করোনা হামলা, তামিলনাড়ুতে অভিযুক্তকে পাড়াও করায় সিল করতে হল থানা ... 

গত রবিবারই  সিকিমের নাকুলা পাস সীমান্তে চাইনিস পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সঙ্গে ভারতী সেনা বাহিনীর সদস্যরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল। দুই দেশের সেনা সংঘর্ষে  ভারতের ৪ সৈন্য জখমও হয়েছিল। সূত্রের খবর, সীমান্ত সমস্যাকে কেন্দ্র করেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছিল ভারতীয় ও চিনা সৈন্যরা। 

আরও পড়ুনঃ মৃত্যুপুরী আমেরিকায় জীবনের গল্প শোনালেন দুজন, একজন মৃত আর অন্যজন লড়ছেন করোনার সঙ্গে

ভারতীয় সেনা বাহিনী সূত্রের খবর,  অস্ত্র বিরতি চুক্ত লঙ্ঘন করে প্রায় জম্মু ও কাশ্মীর সীমান্ত গুলি বর্ষণ করছে পাকিস্তান। বেশ কিছু এলাকায় রাতের দিকে টহল বাড়িয়ে  দিয়েছে ভারতীয় সেনা। একটি সূত্র মনে করছে চিনের অগ্রাসনের নীতির কারণে এই ঘটনা। কারণ করোনা সংকটের জন্য কিছুটা হলে দেশে জনপ্রিয়তা কমছে প্রেসিডেন্ট সি জিংপিং-এর। আর সেই কারণেই সেনাকে ব্যবহার করা হচ্ছে। দক্ষিণ চিন সাগরে শক্তি বাড়াতেই এই নীতি গ্রহণ করা হয়েছে বলেও মনে করছে সমর বিশেষজ্ঞরা। 

আরও পড়ুনঃ করোনাই কি হবে আগামী মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের অন্যতম ইস্যু, তেমনই বার্তা ওবামার কণ্ঠে ...

Share this article
click me!