যুগান্তকারী না অন্ধকারময়, দুই কক্ষেই সিএবি পাসের পরও জারি বিতর্ক

  • কেউ বলছেন যুগান্তকারী দিন
  • আবার কারোর প্রতিক্রিয়া অন্ধকারময় দিন
  • রাজ্যসভায় সিএবি ২০১৯ পাস হওয়ার পরও জারি বিতর্ক
  • মোদী, গান্ধীরা কে কী বললেন

 

লোকসভার পর রাজ্যসভাতেও পাস হল নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল। লোকসভায় ৩১১-৮০ ভোটে বিলটি পাস হয়েছিল। তবে রাজ্যসভায় নরেন্দ্র মোদী সরকারের সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল না। তা সত্ত্বেও ১২৫-১০৫ ভোটে পাস হল সিএবি ২০১৯ বিল। এরপর বিলটি পাঠানো হবে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দের কাছে। দুই কক্ষেই সম্মতি পেয়েছে এমন কোনও বিল রাষ্ট্রপতি সাধারণত আটকান না। কাজেই এই বিল আইনে পরিণত হওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা বলা যেতে পারে। তবে এই বিল নিয়ে বিতর্কের কিন্তু অবসান এখনও হয়নি। শাসক শিবির যেমন এই বিল পাসের দিনটিকে একটি 'যুগান্তকারী দিন' হিসেবে তুলে ধরছে, বিরোধীরা তেমনই বলছেন 'অন্ধকারময় দিন'।

আরও পড়ুন - '৪৭-এর পর আরও এক স্বাধীনতার রাত, সদ্যজাত পাক হিন্দুর নাম হল 'নাগরিকতা'

Latest Videos

আরও পড়ুন - বন্ধ ইন্টারনেট, জারি কার্ফু, নামছে সেনা, সিএবি বিরোধী বিক্ষোভে রণক্ষেত্র অসম-ত্রিপুরা

আরও পড়ুন - ঐতিহাসিক মুহূর্ত, দ্বিতীয় বাধাও টপকালো নাগরিকত্ব বিল, রইল বাকি রাষ্ট্রপতির সম্মতি

আরও দেখুন - ভারতমাতার জয়ধ্বনি, ঢাকঢোল থেকে মিষ্টিমুখ, নাগরিকত্বের উচ্ছ্বাস পাক হিন্দুদের

বিলটি রাজ্যসভায় পাস হওয়ার পরই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে টুইট করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি বলেন, এটা ভারত ও আমাদের জাতির সহানুভূতি ও ভ্রাতৃত্বের জন্য একটি যুগান্তকারী দিন। জানান, সিএবি ২০১৯ রাজ্যসভায় পাস হওয়ায় তিনি অত্যন্ত খুশি। যে সাংসদরা এই বিলের পক্ষে ভোট দিয়েছেন তাঁদের প্রধানমন্ত্রী কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। মোদী আরও বলেন, আসন্ন এই নাগরিকত্ব আইন, বছরের পর বছর ধরে অত্যাচারের শিকার হওয়া বহু মানুষের দুর্দশা লাঘব করবে।

কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ লোকসভায় ১২ ঘন্টা ও এদিন রাজ্যসভায় আট ঘন্টা লড়াই করে এই বিল পাস করিয়েছেন। এদিন রাতে তিনি টুইট করে বলেছেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ সংসদে পাস হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোটি কোটি বঞ্চিত ও ক্ষতিগ্রস্থ মানুষের স্বপ্ন আজ সত্যি হয়েছে। নিপীড়িত এই ব্যক্তিদের মর্যাদা ও সুরক্ষা নিশ্চিত করার যে সংকল্প নরেন্দ্র মোদী দেখিয়েছেন তার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে তিনি কৃতজ্ঞ বলে জানান অমিত শাহ।

অন্যদিকে কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভানেত্রী সনিয়া গান্ধীর মতে সিএবি ২০১৯ পাস হওয়ার দিনটি ভারতের সাংবিধানিক ইতিহাসে একটি অন্ধকারময় দিন। তিনি বলেন, নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল ২০১৯ পাস হওয়া ভারতের বহুত্ত্ববাদের বিরুদ্ধে সংকীর্ণমনা ও ধর্মান্ধ শক্তির জয় হয়েছে।

নাগরিকত্ব বিলের তীব্র বিরোধী তৃণমূল কংগ্রেসও। এদিন রাজ্যসভার অধিবেশন শেষে তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ওব্রায়ান বলেছেন, নরেন্দ্র মোদী সরকার শুধু বড় বড় প্রতিশ্রুতি দেয়, কিন্তু কোনও প্রতিশ্রুতিই রাখতে পারে না। তিনি জানান, পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি বা সিএবি কোনওটাই প্রয়োগ করতে দেওয়া হবে না। কাজেই সিএবি বিল হলেও কিছু আসে যায় না।

Share this article
click me!

Latest Videos

Daily Horoscope: ২৬ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার এই ব্যক্তিদের দিনটি ভালো যাবে, জেনে নিন আজকের রাশিফল
২৬-এ Mamata Banerjee-কে বিদায়! মমতাকে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বানানোর শপথ Suvendu Adhikari-র
Narendra Modi : বড়দিনের অনুষ্ঠানে মাতলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, সকলকে জানালেন শুভেচ্ছা
Suvendu Adhikari Live : কোলাঘাটের মঞ্চে বিস্ফোরক ভাষণ শুভেন্দু অধিকারীর, সরাসরি | Bangla News
বড়দিনের সন্ধ্যায় কলকাতার পার্ক স্ট্রিটে জনজোয়ার | Park Street Christmas | Kolkata News