শুক্রবার বিকেলে রুটিন প্রেস বিফে স্বাস্থ্যমন্ত্রক জানিয়েছিল গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণের শিকার হয়েছিলেন ১,৬৮৪ জন। একদিনে আক্রান্ত হওয়ার নিরিখে যা এদেশে ছিল সর্বোচ্চ। শনিবার সকালে অবশ্য পরিস্থিতি কিছুটা বদলালো। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যানে জানানো হল, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে সংক্রমণের শিকার হয়েছেন ১,৪২৯ জন। তবে আক্রান্তের সংখ্যার গ্রাফে বজায় থাকল উর্দ্ধগতি। এখনও পর্যন্ত দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সরকারি ভাবে ২৪,৫০৬। যার মধ্যে সক্রিয় কেস রয়েছে ১৮,৬৬৮।
শিথিল হল লকডাউনের নিয়ম, দেশে খুলছে অত্যাবশ্যকীয় ছাড়াও সব দোকানপাট
সামাজিক দূরত্বের বিধি মানতে হবে ২০২২ পর্যন্ত, আগামী শীতে ফের মাথাচাড়া দেবে ভাইরাস
পরীক্ষায় ব্যর্থ করোনা রুখতে প্রথম নির্মিত ওষুধ 'রেমডেসিভির', 'হু'-এর রিপোর্ট ঘিরে শোরগোল
এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড ১৯ প্রাণ কেড়েছে ৫৭ জনের। ফলে ভারতে করোনা সংক্রমণে মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭৭৫। তবে এর মধ্যেও আশার খবর শুনিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রক। দেশে করোনা যুদ্ধে জয়ী হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫০৬৩ জন।
এর মাঝেই একটি পরিসংখ্যান সামনে এনেছে ভারত সরকার। যাতে জানান হয়েছে দেশে করোনাভাইরাসের সম্ভাব্য আক্রান্ত হিসাবে ন্টিগ্রেটেড ডিজিজ সার্ভিল্যান্স প্রোগ্রামের (আইডিএসপি) আওতায় প্রায় ৯ লক্ষ ৪৫ হাজার লোকের উপর নজরদারি চালান হচ্ছে।
এদেশে প্রথম করোনা সংক্রমণ ধরা পড়েছিল কেরলে, গত জানুয়ারি মাসে। উহান ফেরত এক ডাক্তারি পড়ুয়া শিকার হয়েছিলেন করোনাভাইরাস সংক্রমণের। কেন্দ্র বলছে, গত জানুয়ারির মাসে ২৩ তারিখ দেশে করোনা আক্রান্ত সন্দেহে ১৩ জনের উপর নজরদারি চালান হয়েছিল। গত ১৯ মার্চ সেই সংখ্যাটা বেড়ে হয় ৯০ হাজার ৪৫৯ জন। তাঁদের কোভিড ১৯ টেস্টের রেজাল্ট না পাওয়া পর্যন্ত আইসোলেশনে রাখা হয়। বর্তমানে সেই সংখ্যাটাই প্রায় ১০ লক্ষ ছুঁতে চলেছে।