দেশে বেড়েই চলেছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। ইতিমধ্যে ভারতের ১৫টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে মারণ কোভিড-১৯ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর সন্ধান মিলেছে বলেছে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। এরমধ্যে ওড়িশায় প্রথম খোঁজ মিলল করোনা আক্রান্তের। ইতালি থেকে সদ্য দেশে ফিরেছেন ওই ব্যক্তি। সম্প্রতি সে দিল্লি থেকে ট্রেনে করে ভুবনেশ্বরে আসেন।
এদিকে এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। রাজ্যের ৩৮ জনের শরীরে মিলিছে কোভিড-১৯ ভাইরাস। কেরলে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২২ জন। মহারাষ্ট্র ও কেরল ছাড়াও করোনা আক্রান্তের দেখা মিলেছে অন্ধ্রপ্রদেশ, দিল্লি, হরিয়ানা, কর্ণাটক, পঞ্জাব, রাজস্থান, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গনা, জম্মু ও কাশ্মীর, লাদাখ, উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড ও ওড়িশাতে।
আরও পড়ুন: সোশ্যাল মিডিয়ায় করোনা নিয়ে সচেতনতা, ট্যুইটারে মোদী তুলে ধরলেন আম আদমির কথা
দেশের যেসব রাজ্যগুলিতে এখনও করোনা সংক্রমণ ঘটেনি এই পরিস্থিতিতে তারাও সজাগ রয়েছে। রাজ্যে কোনও ব্যক্তি করোনা আক্রান্ত হলে বিহার সরকার তার চিকিৎসা খরচ বহন করবেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার। বিহার বিধানসভার অধিবেশন বন্ধ রাখা হয়েছে। এদিকে মেঘালয় সরকার আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত স্কুল, কলেজ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সবরকমের জমায়েত বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। করোনা আতঙ্কে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে শ্রীনগরের সমস্ত পার্ক এবং গার্ডেনস।
আরও পড়ুন: ইউরোপে ইতালির পর ফ্রান্সেও করোনার ভয়াল থাবা, আতঙ্কে লকডাউন গোটা স্পেনে
এদিকে করোনা আতঙ্কের মধ্যে কাজ করলেও তাদের জন্য প্রতিরক্ষামূলক সরঞ্জামের তেমন কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ তুলছেন দিল্লির এইমসের চিকিৎসকরা। এদিকে হাত ধোওয়ার জন্য নতুন ট্যাঙ্ক বসানোর ব্যবস্থা করেছে মেরঠ পুরসভা।
হিমাচলপ্রদেশ হাইকোর্টে ৩১ মার্চ পর্যন্ত জরুরী ছাড়া সমস্ত আইনি কার্যকলাপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন। এদিকে করোনা নিয়ে সচেতনতা বাড়াতে মুম্বই শহরে হোর্ডিং দিচ্ছে বিএমসি। করোনা আতঙ্কে পশ্চিমবঙ্গে বাজেট অধিবেশন মঙ্গলবারের পর বন্ধ হয়ে যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: করোনা আতঙ্কে রাজধানীতে বিয়ের অনুষ্ঠানেও কোপ, এড়িয়ে যাওয়ার পরামর্শ কেজরির
করোনা আতঙ্ক আন্দামান নিকোবার দ্বীপপুঞ্জেও। সেকারণে ২৬ মার্চ পর্যন্ত সমস্ত রকম পর্যটন বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আন্দামান প্রশাসন। মহারাষ্ট্রে সোমবার আরও এক করোনা আক্রান্তের সন্ধান পাওয়া যায়য সম্প্রতি দুবাই থেকে ওই ব্যক্তি ফিরেছেন। যার পলে মহারাষ্ট্রে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৩৮। ভারতে সবচেয়ে বেশি সংক্রমণের ঘটনা এখনও পর্যন্ত মহারাষ্ট্রেই ঘটেছে।
সর্বশেষ পাওয়া খবরে এখনও পর্যন্ত ১১৬ জন করোনা আক্রান্তের সন্ধান মিলেছে ভারতে। এই অবস্থায় সব ভিসা বাতিলের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ভারত সরকার। সংক্রমণ আটকাতে বেশিরভাগ সংস্থাই কর্মীদের বাড়ি থেকে কাজের পরামর্শ দিচ্ছে।