নির্ভয়াকাণ্ডের আসামিরাও কি কোভিড-১৯ আক্রান্ত, তিহার-এ নেওয়া হল বিশেষ ব্যবস্থা

কোভিড-১৯ রোগে কি আক্রান্ত নির্ভয়া কাণ্ডের আসামিরাও

আইনি লড়াই ফুরোবার পর ফাঁসি ঠেকাতে করোনাভাইরাসকেই কি তারা অস্ত্র করছে

তিহার জেলে আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরির পর এই প্রশ্নই ঘুরছে

এদিন অন্যতম আসামি মুকেশের আবেদন অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে দিল্লি হাইকোর্ট

 

Asianet News Bangla | Published : Mar 16, 2020 10:58 AM IST / Updated: Mar 16 2020, 07:06 PM IST

নির্ভয়া কাণ্ডের মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরাও কি কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত? করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে তিহার কেন্দ্রীয় কারাগার-এ বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণের পর বহু মানুষের মনে এই প্রশ্নটাই ঘুরছে। এর আগে নানান আইনি প্যাঁচে তিন-তিনবার ফাঁসি কার্যকর হওয়া ঠেকিয়েছে ২০১২ সালের গণধর্ষণ ও হত্য়া মামলার এই চার আসামি। সব আইনি লড়াই ফুরিয়ে যাওয়ার পরও মুকেশ নতুন করে আইনি প্রক্রিয়া শুরুর আবেদন করেছিল। সেই আবেদনও সোমবার খারিজ হয়ে গিয়েছে। এবার কি তাহলে করোনা দিয়ে ফাঁসি ঠেকাবে তারা?

আরও পড়ুন - নির্ভয়া মামলা এবার আন্তর্জাতিক আদালত-এ, ১৭ তারিখ আসছেন পবন জল্লাদ

তিন-তিনবার ফাঁসি পিছিয়ে দেওয়ার পর হাতে যখন আর কোনও আইনি লড়াই বাকি নেই, সেই সময়ই অন্যতম আসামি মুকেশ দাবি করেছিল, তাকে তার আগের আইনজীবী ভুল বুঝিয়েছিল। তাই সে সমস্ত আইনি প্রতিকার ফেরত চায়। এদিন সেই আবেদন খারিজ করে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। রবিবার আবার এই চার আসামির পরিবার রাষ্ট্রপতির কাছে তাদের স্বেচ্ছামৃত্যুর আবেদন জানিয়েছেন। কিন্তু, অনেকেই এখন মনে করছেন করোনাভাইরাস সংক্রমণকে তারা শেষ অস্ত্র হিসাবে খাড়া করতে পারে। একবার যদি কোনওবাবে অসুস্থ প্রমাণ করা যায়, তাহলে নিশ্চিতভাবে সেড়ে না ওঠা পর্যন্ত পিছিয়ে যাবে ফাঁসি।

আরও পড়ুন - আইসোলেশন ওয়ার্ড আদতে কি জেলখানা, বিচ্ছিন্ন জীবন নিয়ে মুখ খুললেন করোনা-জয়ী

রবিবারই তিহার জেলে করোনাভাইরাস আক্রান্ত জেলবন্দিদের রাখার জন্য একটি আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। এতে করে এই জল্পনা আরও পালে বাতাস পেয়েছে। তবে তিহার জেল কর্তৃপক্ষ সাফ জানিয়েছে, নির্ভয়াকাণ্ডের কোনও আসামি কোভিড-১৯'এ আক্রান্ত নয়। বস্তুত, তিহার জেলের ১৭৫০০ ন বন্দির মধ্যে কারোর দেহেই করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ এখনও দেখা যায়নি। তবে সাবধানের মার নেই। সেই কারণেই এই পৃথক বিচ্ছিনতা ওয়ার্ড তৈরি করা হয়েছে। কারোর দেহে করোনাভাইরাসের উপসর্গ দেখা গেলে তাকে ওই ওয়ার্ডে অন্তত তিনদিন রেখে পরীক্ষা করা হবে। কেউ আক্রান্ত প্রমাণিত হলে তাকে প্রয়োজনে হাসপাতালেও ভর্তি করা হতে পাারে।

আরও পড়ুন - বন্ধ সব সেক্স ক্লাব, 'করোনা-আতঙ্কে' লম্বা লাইন গাঁজা-চরসের দোকানের বাইরে

Share this article
click me!