'অটোটেম্প' তৈরি করে তাক লাগাল কেরলের ছাত্র, করোনা লড়াই সহজ হবে বলেই দাবি

করোনা লড়াই অস্ত্র তৈরি করছে কেরলের ছাত্র 
ছবি তোলা থার্মাল স্ক্যানারের নাম অটোটেম্প
সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করবে 
তৈরি করতে খরচ হয়েছে ৪ হাজার টাকা 

Asianet News Bangla | Published : Jun 22, 2020 11:09 AM IST

করোনাভাইরাসের সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াইকে আরও সহজ করে দিল কেরলের ছাত্র ডিভিনস ম্যাথু। প্রথম সারির যোদ্ধা স্বাস্থ্য কর্মীদের সহযোগিতার জন্য তৈরি করল একটি থার্মাল স্ক্যানার। ম্যাথুর তৈরি এই থার্মাল স্ক্যানারে  শরীরের উত্তাপ মাপার পাসাপাশি ছবিও তুলবে। যাতে পরবর্তীকালে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিতে চিনতে কোনও সমস্যা না হয়। ম্যাথুর তৈরি থার্মাল স্ক্যানারের নাম অটো টেম্প। 

কেরলের বাসিন্দা ম্যাথু। কাকন্দের রাজাগিরি ইঞ্জিয়ারিং কলেজের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। অ্যটো টেম্প নামের থার্মাল স্ক্যানার তৈরি করেছেন তিনি। ওই থার্নাল স্ক্যানেরে একটি বাস্ক রয়েছে, যিটি ডিভাইসের কাজ করবে। সবকরম যোগযোগের ক্ষেত্রগুলি এই বাক্সের মাধ্যমে নিয়ন্ত্রিত হবে। যেকোনও মানুষ এই অটো থার্মাল স্ক্যানারের সামনে হাত দিলে বা দাঁড়িয়ে পড়লেই তার দেহের উষ্ণতা পরিমাপ করবে। আর দেহের উত্তাপ যদি সাধারণের থেকে বেশি হয় তাহলেও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির ছবি তুলবে ওই থার্মাল স্ক্যানার। আর সেই ছবি ওয়াইফাইয়ের মাধ্যমে পাঠিয়ে সার্ভারের মূল কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে। যাতে স্বাস্থ্য় কর্মীরা প্রয়োজনীয় তথ্য তাঁদের মোবাইল ফোন বা ডেস্কটপে রাখতে পারেন। আর প্রয়োজনে তা ব্যবহার করতে পারেন। 

 

ভারতের বাজারে আসতে চলছে হালকা থেকে মাঝারি করোনা আক্রান্তদের ওষুধ, জেনেনিন নাম আর দাম ...

সোশ্যাল মিডিয়া তাঁকে 'হতাশ' করেছে, চরম পরিস্থিতি ঐক্যবদ্ধ থাকার আর্জি রতন টাটার

ম্যাথুর তৈরি এই থার্মাল স্ক্যানার ব্যাটারির সাহায্যেও ব্যবহার করা যায়। তাই এটি সঙ্গে নিয়ে ভ্রমণে খুব একটা অসুবিধে হবে না বলেই দাবি করেছেন ম্যাথু। এই ডিভাইসটি থেকে প্রয়োজনীয় তথ্যও সঙ্গে সঙ্গে পাওয়া যায়। যদি সংশ্লিষ্ট মানুষের দেহের তাপমাত্রা সাধারণের তুলনায় বেশি হয় তাহলে ডিভাসটি চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার কথা বলছে। আর যদি তা না হয় তাহলে ডিভাইসটি জানিয়ে দেবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ঠিক রয়েছেন। 

ম্যাথু এই থার্মাল স্ক্যানারটি তৈরি করেছের তাঁর কলেজের বিভাগীয় প্রধানের তত্ত্ববধানে। তিনি জানিয়েছেন, সাধারণ থার্মাল গানে যেসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয় এটিতেও সেইসব যন্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁদের ডিভাইসটি পুরোপুরি অটোমেকিট বলেও দাবি করেছেন তিনি। পাশাপাশি জানিয়েছেন এলইডি ডিসপ্লের মাধ্যমে এটি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে প্রয়োজনী তথ্য সরবরাহ করতে সক্ষম। এটি তৈরি করতে ৪ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। আর তাঁর কলেজ আগামী দিনে এটি জনগণের ব্যবহারের জন্য উৎপাদনের কথা চিন্তাভাবনা করছে। 

Share this article
click me!