বর্ণ শুমারির ধারণাকে সমর্থন করে কংগ্রেস। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। আমাদের এখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী বসে আছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা রাজস্থান, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশেও জাতি শুমারিতে সাহায্য করবেন।
সোমবার দুপুর ১২টায় গুরুত্বপূর্ণ সাংবাদিক সম্মেলন করেছে নির্বাচন কমিশন। এই সময়ের মধ্যে পাঁচটি রাজ্যে নির্বাচনের ঘোষণা করা হয়। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং মিজোরাম বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন। সব রাজ্যের নির্বাচনের ফল জানা যাবে ৩ ডিসেম্বর। এদিকে, এআইসিসি অফিসে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির (সিডব্লিউসি) একটি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে বক্তব্য রাখেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী।
রাহুল গান্ধী বলেন, "আমরা জাতি শুমারি নিয়ে চার ঘণ্টা ধরে আলোচনা করেছি। কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি একটি ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং এটি সর্বসম্মতিক্রমে নেওয়া হয়েছে। বৈঠকে এমন একজনও ছিলেন না যিনি এই বিষয়ে দ্বিমত পোষণ করেছেন। বর্ণ শুমারির ধারণাকে সমর্থন করে কংগ্রেস। এটা খুবই আনন্দের বিষয়। আমাদের এখানে একজন মুখ্যমন্ত্রী বসে আছেন। আমাদের মুখ্যমন্ত্রীরাও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে তারা রাজস্থান, কর্ণাটক, ছত্তিশগড়, হিমাচল প্রদেশেও জাতি শুমারিতে সাহায্য করবেন।"
এই কংগ্রেস নেতাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে 'ইন্ডিয়া' জোটের সব দল জাতিশুমারিকে সমর্থন করবে কিনা। এ বিষয়ে তিনি বলেন, “কংগ্রেস সভাপতি সিডব্লিউসি বৈঠকে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে আমরা জাত শুমারি কার্যকর করব। শুধু তাই নয়, এটাও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে আমরা বিজেপির উপর চাপ সৃষ্টি করব এবং তাদের এটা পরিচালনা করতে বাধ্য করব। আদমশুমারি। যদি তারা না করে, তবে তাদের সরে যাওয়া উচিত কারণ দেশ একটি জাতি শুমারি চায়। 'ইন্ডিয়া' জোটের অনেক দল এই সিদ্ধান্তকে সমর্থন করবে। সেটা এক বা দুটি দলই হোক।”
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, "ভারতের ভবিষ্যতের জন্য জাতি শুমারি জরুরি। বর্ণ শুমারির পর উন্নয়নের নতুন পথ খুলে যাবে। মনে রাখবেন, আমরা যখন প্রতিশ্রুতি করি, আমরা ভঙ্গ করি। এটা না।" তিনি বলেন, "আজ দুটি ভারত তৈরি হচ্ছে। একটি আদানির জন্য, অন্যটি সবার জন্য। তাই বর্ণভিত্তিক আদমশুমারির পর আমরা একটি 'অর্থনৈতিক সমীক্ষা'ও করব।"