আবার তৈরী ঘূর্ণিঝড়। এই ঝড়টির নাম দেওয়া হয়েছে শাহীন। মৎসজীবীদের সুমুদ্রে যেতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।
সাইক্লোন (Cyclone) আতঙ্ক কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না এই দেশে। তাউতে, ইয়াস, গুলাবের পর আবার তৈরী ঘূর্ণিঝড়। সম্প্রতি গুলাবের ধাক্কা কাটিয়ে উঠেছে ওড়িশা ও অন্ধ্রপ্রদেশ। এর মধ্যে আবার প্রস্তুত সাইক্লোন 'শাহীন' (Shahin)। ইতিমধ্যেই আরব সাগরে শক্তি সঞ্চয় করতে শুরু করেছে এই ঘূর্ণিঝড়টি। আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে এই হয় আরও শক্তিশালী আকার ধারণ করবে বলে জানা গেছে। মূলত উত্তর পূর্ব আরব সাগর ও তার সংলগ্ন এলাকাতেই এই জহুরের দাপট শুরু হবে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে। আবহাওয়াবিদদের মতে, ৯৬ থেকে ১২০ কিলোমিটারের গতিতে বয়ে যেতে পারে এই ঝড়।
আরও পড়ুন- বন্যা পরিস্থিতির জেরে ঘাটালে হুড়মুড়িয়ে ভেঙে পড়ল বাড়ি, জলে ডুবে মৃত্যু নাবালকের
মৌসম ভবন সূত্রে জানানো হয়েছে যে, আগামী ২৪ ঘন্টার মধ্যে গভীর নিম্নচাপ সৃষ্টি হতে চলেছে আরব সাগরে (Arabian Sea)। কীভাবে এই ঝড়ের সৃষ্টি সেই প্রসঙ্গে মৌসম ভবনের তরফে একটি বিবৃতি বলে হয়েছে যে যে সকল এলাকাগুলিতে গুলাবের (Gulab) ফলে কম চাপের সৃষ্টি হয়েছিল, গুজরাট উপকূল ও উত্তর পূর্ব আরব সাগরে তা ঘনীভূত হয়ে ৩০ সেপ্টেম্বর নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে এবং ১লা অক্টোবর এই নিম্নচাপ সাইক্লোনে রূপান্তরিত হবে।
আরও পড়ুন- টানা ভারী বৃষ্টি, বন্যা পরিস্থিতি পুরুলিয়া জেলার একাধিক ব্লকে, দেখুন ছবি
প্রথমে নিম্নচাপ থেকে সৃষ্টি হওয়া এই ঝড় ক্রমশ উত্তর-পশ্চিম দিকে অগ্রসর হবে যা পরবর্তী ২৪ ঘন্ট মধ্যে ঘূর্ণিঝড়ে (Cyclone) পরিণত হবে। এরপর ভারতীয় উপকূল থেকে পাকিস্তান-মাকরান উপকূলের দিকে সরে যাওয়ার সম্ভাবনা এই ঝড়ের। ইতিমধ্যেই গুজরাট ও মহারাষ্ট্র উপকূলের মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।
প্রতক্ষ্য না হলেও পরোক্ষ প্রভাব পড়তে পারে বাংলায় (West bengal)। এই ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে আগামী ৩রা অক্টোবর পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা জারি করা হয়েছে পশ্চিমবঙ্গসহ গুজরাট, বিহার ও সিকিমে। একইসঙ্গে আগামী ৪ঠা অক্টোবর পর্যন্ত ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা তামিলনাড়ু, কর্ণাটক ও কেরলে ও।