শূন্য টাকার নোট প্রচলিত রয়েছে ভারতে, কখনও হাতে পেয়েছেন

Published : Sep 19, 2021, 01:47 PM ISTUpdated : Sep 19, 2021, 02:05 PM IST
শূন্য টাকার নোট প্রচলিত রয়েছে ভারতে, কখনও হাতে পেয়েছেন

সংক্ষিপ্ত

এই নোটকে বলা হয় ‘জিরো রুপি নোট’। এটি এমন একটি নোট যার কোনও মূল্য নেই। ২০০৭ সালে পঞ্চম পিলার নামে একটি অলাভজনক সংস্থা এই নোট বাজারে আনে।

১০, ২০, ৫০, ১০০ টাকার মতো শূন্য মূল্যের নোটও প্রচলিত রয়েছে ভারতে। এই নোট দেখতে অবিকল ৫০ টাকার নোটের মতোই। এক ঝলকে দেখলে বুঝতে পারবেন না কেউই। তবে এই নোটের কোনও মূল্য নেই। এর বিনিময় কিছুই করতে পারবেন না আপনি। কিন্তু, বাজারে এর মূল্য না থাকলেও এই নোট এক মহৎ উদ্দেশ্যে ব্যবহৃত হয়। কিছু মানুষকে শিক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে এই নোটের জুরি মেলা ভার। 

এই নোটকে বলা হয় ‘জিরো রুপি নোট’। এটি এমন একটি নোট যার কোনও মূল্য নেই। ২০০৭ সালে পঞ্চম পিলার নামে একটি অলাভজনক সংস্থা এই নোট বাজারে আনে। নোটটি দেখতে একেবারে ৫০ টাকার নোটের মতোই। রং থেকে শুরু করে আকার সবই একরকম। এক ঝলকে দেখলে কেউ ধরতে পারবেন না। কিন্তু, একটু খুঁটিয়ে দেখলেই বিষয়টি বোঝা যাবে। 

মূলত এই নোট ছাপার উদ্দেশ্য ছিল দুর্নীতি দূর করা ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে মানুষকে সচেতন করে তোলা। সরকারি বিভিন্ন স্তরে দুর্নীতি বা ঘুষ দেওয়া-নেওয়া বন্ধ করার জন্যই এই পদক্ষেপ করেছিল সংস্থাটি। কোনও সরকারি অফিসার যদি কাজের জন্য ঘুষ চান, তাহলে এই নোট দিয়ে তাঁকে অনায়াসেই বোকা বানানো যাবে। পাশাপাশি তাঁকে লজ্জাতেও ফেলা যাবে। এর ফলে দ্বিতীয়বার আর ঘুষ নেওয়ার সাহস দেখাবেন না তিনি। 

আরও পড়ুন- মোদীর জন্মদিন উপলক্ষ্যে ই-নিলাম, আপনিও কিনতে পারেন সোনা জয়ী নীরজ চোপড়ার ব্যবহৃত জিনিস

পঞ্চাশ টাকার নোটের উপরের দিকে যেখানে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া লেখা থাকে, সেই জায়গায় এই নোটের উপর লেখা রয়েছে 'এলিমিনেট করাপশন অ্যাট অল লেভেল' অর্থাৎ সর্বস্তর থেকে দুর্নীতি দূর করুন। ৫০ টাকার নোটের যে অংশে লেখা থাকে ‘বাহককে আমি ৫০ টাকা দিতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ’, এই নোটে সেই অংশে লেখা রয়েছে ‘প্রতিজ্ঞা করছি কখনও ঘুষ দেব না এবং নেব না।’ আইনত যাতে কোনও ভুল না থাকে, তাই এই নোটের মধ্যে কোথাও ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের উল্লেখ করা হয়নি।

আরও পড়ুন- চলতি আইপিএল-এর শেষেই সামনে আসবে দুই নতুন দল, কবে হচ্ছে দর হাঁকাহাঁকি-নিলাম

আরও পড়ুন- একধাক্কায় এতটা গরীব কেউ হননি, দেখুন কোথা থেকে কোথায় নামলেন এই চিনা ধনকুবের

সতীন্দ্রমোহন ভগবত নামে এক শিক্ষক এই নোটের পরিকল্পনা করেছিলেন। গোটা দেশের মধ্যে দুর্নীতি ছড়িয়ে পড়তে দেখে পঞ্চম পিলার নামে ওই সংস্থাকে এই নোটের কথা বলেছিলেন তিনি। তারপরই বিপুল পরিমাণ জিরো রুপির নোট ছাপায় পঞ্চম পিলার। দেশের বিভিন্ন অংশে তা ছড়িয়ে দেওয়া হয়। তবে শুধুমাত্র ভারতেই নয়, পঞ্চম পিলার থেকে এই ভাবনা ধার নিয়েছে নেপাল, মেক্সিকো, ইয়েমেন, ঘানার মতো দেশও। দুর্নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এই নোটকে বেছে নিয়েছেন তাঁরা। 

PREV
click me!

Recommended Stories

News Round Up: বঙ্গে জাঁকিয়ে ঠান্ডা থেকে সিরিজ থেকে ছিটকে গেলেন অজি পেশার, সারাদিনের খবর এক ক্লিকে
AI প্রযুক্তির উন্নতিতে জোর, ভারতকে ১৭.৫ বিলিয়ন ডলার সাহায্যের প্রস্তাব মাইক্রোসফট সিইও-র