যদিও এই ছবি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় সরব হয়েছেন অনেকেই। অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ড ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। পাশাপাশি ট্রেন্ডিং হচ্ছে #BoycottBollywood ও #PallaviJoshi।
এই মুহূর্তে গোটা দেশেই 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস' ছবি নিয়ে বিতর্ক চলছেই। এই ছবি নিয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন অনেকেই। ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’ (The Kashmir Files) নিয়ে গোটা দেশেই উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতারা। এমনকী, এই ছবির প্রশংসায় পঞ্চমুখ খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও (Narendra Modi)। যদিও এই ছবি নিয়ে রাজনীতি করা হচ্ছে বলে সোশ্যাল মিডিয়ায় (Social Media) সরব হয়েছেন অনেকেই। অনেকেই তীব্র প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় এখন ট্রেন্ড ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস’। পাশাপাশি ট্রেন্ডিং হচ্ছে #BoycottBollywood ও #PallaviJoshi। অনেকেরই বক্তব্য, এই সিনেমায় যে সত্যিটা দেখানো হয়েছে তা থেকে অনেকেই পালাতে চাইছেন। আবার অনেকে বিধানসভা নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গে যে হিংসা হয়েছে তার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছেন।
টুইটারে একাধিক মন্তব্য সামনে এসেছে। একাধিক নেটিজেন একাধিক মন্তব্য করেছেন। এক নজরে দেখে নেওয়া যাক নেটিজেনদের মন্তব্যগুলি...
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন- বিশ্বব্যাপী পিকে ফিল্মের জন্য ৪ হাজার ৮৪৪টি থিয়েটার আর দ্য কাশ্মীর ফাইলস মুভির জন্য ২ হাজার ৭০০টি প্রেক্ষাগৃহ! ঠিক এইরকম ৫ পান্ডব এবং ১০০ কৌরব! কৃষ্ণ সবসময় দুর্বল সংখ্যার পক্ষে।
সিদ্দু চেরুকুরি নামে এক টুইটার ব্যবহারকারী লিখেছেন-#PowerOfThePeople "৩২ বছরের অবিচার" শুভকামনা বিবেক অগ্নিহোত্রী। বিষাক্ত এবং সাম্প্রদায়িক মানুষ #kashmifiles-এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছেন।
আরও পড়ুন- 'কাশ্মীর ফাইলসের মতো লখিমপুর ফাইলস নিয়েও ছবি তৈরি হওয়া উচিত', বিজেপিকে খোঁচা
রচিত ত্যাগী টুইটারে লেখেন–আপনি বক্স অফিস এবং আইএমবিডি পরিসংখ্যান উদ্ধৃত করতে পারেন, তবে ছবিটি যেখানে প্রয়োজন ছিল সেখানে হিট করেছে। কি দারুণ কাজ!!
দীক্ষা ম্যাঙ্গালোর (@DMangaloree) লিখেছেন – ছবির মর্মান্তিক মুহূর্ত! একজন হিন্দু মহিলাকে তাঁর শ্বশুর ও সন্তানদের বাঁচাতে স্বামীর রক্ত দিয়ে মাখা ভাত খেতে বলা হয়। হিন্দু নারীদের পোশাক ছিঁড়ে জনসমক্ষে দাঁড় করানো হয়।
মোহিত পান্ডে টুইট করেছেন– কাশ্মীর ফাইলস কেবল একটি চলচ্চিত্র নয়, কাশ্মীরি হিন্দুদের হৃদয় বিদারক আর্তনাদ, যার ব্যথা সমগ্র ভারতবর্ষের অনুভব করা উচিত, যাতে ভারত ভারতই থাকে।
সাংপু চ্যাংসান (@_sangpuchangsan) নামের একজন টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন– দ্য কাশ্মীর ফাইলস, বিবেক অগ্নিহোত্রী পরিচালিত, 1990 সালে কাশ্মীর বিদ্রোহের সময় কাশ্মীরি পণ্ডিতদের জীবনের উপর ভিত্তি করে একটি সত্য ঘটনা এবং এটি ভারতের কাশ্মীর রাজ্যে শুট করা হয়েছে।
আরও পড়ুন- 'বাকস্বাধীনতার ধ্বজাধারী জামাতরা ক্ষেপে রয়েছে', 'দ্য কাশ্মীর ফাইলস'-এর প্রশংসা মোদীর মুখে
গৌরব মহাজন লেখেন– উদারপন্থী জামাতরা বলছে যে ভারতীয়রা শান্তিপ্রিয় গণহত্যার সাথে জড়িত ছিল না, শুধুমাত্র সন্ত্রাসীরা। আজ যদি এই অবস্থা হয়, তাহলে নব্বইয়ের দশকে কী অবস্থা হত তা বোঝার জন্য খুব বেশি কল্পনার প্রয়োজন নেই।
সিমরান বিষ্ট নামের ব্যবহারকারী রীতিমতো বিরক্তিপ্রকাশ করেছেন। তিনি লেখেন– হিন্দুরা ঈশ্বরপুরে #TheKashmirFiles স্ক্রিনিংয়ের দাবি করেছে। এটা সত্যিই দুঃখজনক যে হিন্দুদের এমন একটি চলচ্চিত্রের দাবি করতে হচ্ছে যাতে হিন্দু গণহত্যার সত্যতা দেখানো হবে! মিডিয়া কীভাবে সক্রিয়ভাবে হিন্দুদের উপর নৃশংসতাকে দমন করছে তার একটি উদাহরণ। #বয়কটবলিউড
শশী নামে একজন টুইটারে লিখেছেন (@shashi_talk)- ২০২১ সালে "বাংলার সত্য" সম্প্রতি বেরিয়ে এসেছে। তার জন্য সিদ্ধান্ত নিতে ৩ দশক অপেক্ষা করবেন না। বর্তমান সরকারের ভূমিকা এখানে; নীরবতা কি ১৯৯০ এর #KashmirFilesTruth এর পুনরাবৃত্তি?