অসমের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে সেকথা জানিয়েছেন মোদী নিজেই।
ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে। প্লাবিত একাধিক এলাকা। এর জেরে এখনও পর্যন্ত দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। রাজ্যের ২১টি জেলার প্রায় ৩ লক্ষ ৬৩ হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। অসমের এই বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে সেকথা জানিয়েছেন মোদী নিজেই।
টুইট করে প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, "অসমের বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত বিশ্ব শর্মার সঙ্গে কথা হয়েছে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রের তরফে যথা সম্ভব সাহায্যের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। দুর্গত এলাকার মানুষদের সুরক্ষা ও সুস্থতা কামনা করছি।"
গত কয়েকদিনের ভারী বৃষ্টিতে ভয়াবহ বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে অসমে। অসম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথোরিটির (এএসডিএমএ) এক আধিকারিক জানিয়েছেন, বন্যার জলে ভেসে গিয়ে মোরিগাঁও ও বারপেটা জেলার দুই শিশুর মৃত্যু হয়েছে। লখিমপুর জেলায় প্রায় ১ লক্ষ ৩০ হাজার মানুষ সমস্যায় পড়েছেন। রাজ্যের মধ্যে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ওই জেলা। এছাড়াও মাজুলির প্রায় ৬৫ হাজার, দারাংয়ের ৪১ হাজার ৪০০, বিশ্বনাথের ২৪ হাজার ৩০০, ধিমাঝির ২১ হাজার ৩০০ ও শিবাসাগরের ১৭ হাজার ৮০০ জন মানুষ সমস্যায় পড়েছেন।
আরও পড়ুন- নজরে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, আজ দিল্লিতে কেন্দ্র-রাজ্য বৈঠক
এএসডিএমএ-এর তরফে আরও বলা হয়েছে, প্রায় ৩০ হাজার ৩৩৩ হেক্টর চাষের জমি জলের তলায় চলে গিয়েছে। ফলে চাষের ক্ষেত্রেও প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। মোট ৪৪টি ত্রাণ শিবির তৈরি করা হয়েছে। করোনা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই সেখানে মহিলা, পুরুষ ও শিশুদের রাখা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- প্রতিশ্রুতিই সার, দেড় দশক পরও আর্সেনিক মুক্ত জল পাননি মুর্শিদাবাদবাসী
অসমের বাসিন্দাদের পাশাপাশি এই বন্যা পরিস্থিতির জেরে সমস্যায় পড়েছে বন্য পশুরাও। কাজিরাঙা জাতীয় উদ্যান ও ব্যাঘ্র সংরক্ষণ প্রকল্পের প্রায় ৭০ শতাংশ এলাকা প্লাবিত। তার জেরে সমস্যায় পড়েছে বন্য পশুরাও। ইতিমধ্যেই চারটি হরিণের মৃত্য়ু হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন- পুলিশের ভয় দেখিয়ে বিষ্ণুপুরের বিজেপি বিধায়ককে দলবদল করানো হয়েছে, অভিযোগ শুভেন্দুর
অসম পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, বন্যা পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এই মুহূর্তে প্লাবিত এলাকাগুলিতে ভারী যানবাহনের চলাচলের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রয়োজনে সেই গাড়িগুলিকে অন্য রাস্তা দিয়ে চালানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।