সংক্ষিপ্ত

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটা করে প্রতি বছর জলের ট্যাঙ্ক রং করা হয়। কিন্তু, বিশুদ্ধ পানীয় জল পান না এলাকার মানুষ। এতেই ক্ষোভ জমে রয়েছে স্থানীয়দের মনে। 

করোনা পরিস্থিতির মধ্য়েই আবার সঙ্গী হয়েছে বন্যা পরিস্থিতি। জলমগ্ন একাধিক এলাকা। এই দুয়ের মধ্যে মুর্শিদাবাদবাসীর কাছে গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে আর্সেনিক মিশ্রিত জল। তাই এবার আর্সেনিক মুক্ত জলের দাবিতে সরব হয়েছেন বাসিন্দারা। এর জেরে বিভিন্ন জায়গায় রোগের সৃষ্টি হচ্ছে। যার মধ্যে ভগবানগোলা অন্যতম। তাই নিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন গ্রামবাসীরা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, ঘটা করে প্রতি বছর জলের ট্যাঙ্ক রং করা হয়। কিন্তু, বিশুদ্ধ পানীয় জল পান না এলাকার মানুষ। এতেই ক্ষোভ জমে রয়েছে স্থানীয়দের মনে। এ প্রসঙ্গে বিডিও পুলক কান্তি মজুমদার বলেন, "কিছু টেকনিকাল কারণে ওই ট্যাঙ্কের মাধ্যমে এলাকার মানুষের মধ্যে আর্সেনিকমুক্ত জল সরবরাহ করা যাচ্ছে না। তবে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে যাতে দ্রুত সবাইকে পরিশুদ্ধ পানীয় জল দেওয়া যায়।" 

আরও পড়ুন- নামী চাটার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট হলেও কলমের জোরে বিখ্যাত হয়েছিলেন, বুদ্ধদেব গুহর সেরা ১০ উপন্যাস

আরও পড়ুন- মঙ্গলবার রাজ্যজুড়ে পেট্রোল পাম্প ধর্মঘট, বন্ধ থাকবে কয়েক হাজার পাম্প

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মুর্শিদাবাদের আর্সেনিক প্রবণ এলাকা হিসেবে চিহ্নিত হাবাসপুর। এই এলাকার আজমতপুর, আসানপাড়া, দুই জালিবাগিচা সহ একাধিক গ্রামে প্রচুর পরিমাণে আর্সেনিকের নমুনা পাওয়া যায়। ফলে ওই এলাকার মানুষকে বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করতে কান্তনগর মৌজার দিয়াড় জালিবাগিচা এলাকায় জন স্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ২০০৪ সালে একটি জলের ট্যাঙ্ক স্থাপন করেছিল। মোট ২ লক্ষ ৭০ হাজার জল ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন ওই ট্যাঙ্ক থেকে এলাকার ১০ থেকে ১৫টি গ্রামের মানুষকে জল সরবরাহ করার কথা। অভিযোগ প্রতি বছর জল ট্যাঙ্ক রং করা হয়, আর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয় যে কিছু দিনের মধ্যেই পরিশুদ্ধ পানীয় জল দেওয়া হবে। কিন্তু, দেড় দশক পেরিয়ে যাওয়ার পর আজও আর্সেনিক মুক্ত পরিশুদ্ধ জল পেলেন না স্থানীয়রা। ফলে বাধ্য হয়ে বিষাক্ত জল পান করতে হচ্ছে তাঁদের। 

আরও পড়ুন- মোবাইল না পেয়ে বাবার উপর 'অভিমান', আত্মঘাতী কিশোরী

আরও পড়ুন- মা-বোনকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা, ভয়ঙ্কর ঘটনার সাক্ষী কলকাতা

এর ফলে শিশু থেকে শুরু করে প্রাপ্ত বয়স্ক সবাই আর্সেনিকের প্রভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। এ ব্যাপারে স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের নির্বাচিত সদস্য জান্নাতুন ফিরদৌস বলেন, "মানুষ যাতে বিশুদ্ধ পানীয় জল পায় তার জন্য আমি বিভিন্ন সময় বিডিও সাহেব ও পিএইচই কর্তাদের বলেছি। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল দেওয়া গেল না।" এনিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, "ভোট এলেই নেতাদের প্রতিশ্রুতি মেলে কিন্তু কাজের কাজ হয় না। এদিকে ট্যাঙ্ক থেকে আর্সেনিকমুক্ত জলের একফোঁটাও মেলে না বছর এর পর বছর।"

YouTube video player