রাজনৈতিক জগতের পাশাপাশি বলিউডের সঙ্গেও ঘনিষ্ঠ যোগাযোগ ছিল বাবা সিদ্দিকির। তাঁর এই ভয়ঙ্কর পরিণতিতে রাজনীতি ও অভিনয় জগতে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
দশেরা উপলক্ষে শনিবার রাতে আতসবাজি পোড়াচ্ছিলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মন্ত্রী, অজিত পাওয়ারের নেতৃত্বাধীন এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকি। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ হঠাৎ একটি গাড়ি এসে দাঁড়া। গাড়ি থেকে নেমে এল তিনজন। তাদের মুখ রুমাল দিয়ে ঢাকা। হাতে উদ্যত ৯.৯ এম এম পিস্তল। কেউ কিছু বুঝে ওঠার আগেই সেই পিস্তল গর্জে উঠল। তিন রাউন্ড গুলি চলল। সিদ্দিকির বুকে-পেটে গুলি লাগল। না, কোনও বলিউড থ্রিলার বা ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্য নয়, বাস্তবে এই ঘটনা ঘটেছে। মুম্বইয়ে রাম মন্দিরের কাছেই খুন হলেন সিদ্দিকি। ৬৬ বছর বয়সি এই রাজনীতিবিদ গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর রাস্তায় থাকা লোকজন তাঁকে লীলাবতি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু চিকিৎসকদের পক্ষে সিদ্দিদিকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সন্দেহে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে মুম্বই পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন উত্তরপ্রদেশের বাসিন্দা এবং অপরজন হরিয়ানার বাসিন্দা।
কী কারণে সিদ্দিদিকে খুন?
সিদ্দিকিকে কেন এভাবে খুন করা হল, তার কারণ এখনও জানা যায়নি। তৃতীয় আততায়ী পলাতক। তার খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের উপর চাপ বেড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিণ্ডে বলেছেন, ‘দুই অভিযুক্ত গ্রেফতার হয়েছে। একজন সন্দেহভাজন এখনও পলাতক। কেউ আইন-শৃঙ্খলা নিজের হাতে নিতে পারে না। এই ঘটনার জন্য যারা দায়ী, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মুম্বই পুলিশকে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
মহারাষ্ট্র সরকারকে আক্রমণ বিরোধীদের
সিদ্দিকির খুনের ঘটনায় শোকপ্রকাশ করে মহারাষ্ট্র সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেছেন কংগ্রেস নেতা কে সি বেনুগোপাল। তাঁর দাবি, মহারাষ্ট্রে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়েছে।
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
পটাশপুরে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুন, গণপিটুনিতে মৃত্যু অভিযুক্ত প্রৌঢর
তিলজলায় শিশুর উপর যৌন নির্যাতনের পর খুন, মৃত্যুদণ্ডের রায় আলিপুর আদালতের