সম্প্রতি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাতে মাদ্রাসার 'ঐতিহাসিক ভূমিকা' ও শিশুদের শিক্ষার অধিকার ও তার প্রভাব নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে।
মাদ্রাসাগুলিকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করে দেওয় হোক। পরামর্শ দিল জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তেমনই বলছে সম্প্রতি প্রকাশিত একটি রিপোর্ট। রিপোর্টে বলা হয়েছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যসচিব ও কেন্দ্র শাসিত অঞ্চলের প্রশাসনিক আধিকারিককে চিঠি দিয়ে বিষয়টি জানান হয়েছে। কেনো আথির সাহায্য বন্ধ করতে বলা হয়েছে তারও ব্যাখ্যা দিয়েছে কমিশন। সবমিলিয়ে ১১টি অধ্যায়ের একটি রিপোর্ট পেশ করেছে এনসিপিসিআর।
সম্প্রতি মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠান সম্পর্কিত একটি রিপোর্ট তৈরি করেছে জাতীয় শিশু অধিকার রক্ষা কমিশন। তাতে মাদ্রাসার 'ঐতিহাসিক ভূমিকা' ও শিশুদের শিক্ষার অধিকার ও তার প্রভাব নিয়ে তথ্য দেওয়া হয়েছে। ১১ অধ্যায়ের রিপোর্টে মূল কথাই হল রাজ্যে যত মাদ্রাসা রয়েছে সেখানে দ্রুত আর্থিক সাহায্য দেওয়া বন্ধ করা। পাশাপাশি মাদ্রাসাগুলি বন্ধ করে দেওয়ারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। রিপোর্টে বলা হয়েছে মাদ্রায় শিশুদের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয় না। বৈষম্য তৈরি হয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান প্রিয়াঙ্কা কানুনগো শিশু শিক্ষার গুরুত্ব নিয়ে মন্তব্য করেন। সেখানে তিনি বলেছেন, 'শিক্ষার অধিকার আইনের (আরটিই ২০০৯) লক্ষ্য হল সমতা, সামাজিক ন্যায় এবং গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠা। কিন্তু তার পরেও একটি বিপরীতধর্মী চিত্র দেখা যাচ্ছে। সেখানে শিশুদের মৌলিক অধিকার এবং সংখ্যালঘুদের অধিকারের মধ্যে দ্বন্দ্ব দেখা যাচ্ছে।' রিপোর্টে তিনি আরও বলেছেন, মাদ্রাসাগুলি শিক্ষার অধিকার সংক্রান্ত আইন মানছে তেমনটা নয়। রিপোর্ট তিনি একাধিক উদাহরণ দিয়েছেন। বলেছেন, মুসলিম সম্প্রদায়ের শিশুদের মাদ্রাসায় না পড়িয়ে অন্যত্র পড়াশুনা করানো উচিৎ।
তবে এই রিপোর্ট কতটা গ্রাহ্য করা হবে না নিয়ে কেন্দ্র ও রাজ্য কেউই এখনও পর্যন্ত কোনও মন্তব্য করেনি। রিপোর্টে শিক্ষা প্রসারের ক্ষেত্রে মাদ্রাসাগুলির ভূমিকাও যথাযথ নয় বলে মন্তব্য করা হয়েছে বলেও সূত্রের খবর।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।