সংক্ষিপ্ত
দেবীপক্ষ শুরু হয়েছে। কয়েকদিন পরেই শুরু দুর্গাপুজো। কিন্তু এই উৎসবের সময়ও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে মহিলাদের উপর নৃশংস অত্যাচারের ঘটনা বেড়েই চলেছে।
পুলিশের উপর কি ভরসা হারিয়ে ফেলেছেন সাধারণ মানুষ? বিচার ব্যবস্থার উপরেও কি ভরসা নেই? পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরের ঘটনায় এই প্রশ্ন জোরালো হয়েছে। গৃহবধূকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় অভিযুক্ত প্রৌঢ়কে যেভাবে পিটিয়ে মারলেন গ্রামের মানুষ, তাতে আইনের উপর তাঁদের অনাস্থা স্পষ্ট। পুলিশ সূত্রে খবর, গণপিটুনির ফলে প্রাণ হারানো ব্যক্তির নাম সুখচাঁদ মাইতি। তাঁর বিরুদ্ধে পাশের বাড়ির মহিলাকে ধর্ষণের পর কীটনাশক খাইয়ে মেরে ফেলার অভিযোগ ওঠে। গ্রামের মহিলারা এই প্রৌঢ়কে বাড়ি থেকে টেনে বাইরে নিয়ে যান। রাস্তায় ফেলে মারধর করা হয়। একদল গ্রামবাসী এক ঘণ্টা ধরে মারধর চালান। এরপর পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে কোনওরকমে ওই ব্যক্তিকে উদ্ধার করে এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।
জোড়া মামলা দায়ের পুলিশের
গত শুক্রবার সুখচাঁদের বিরুদ্ধে প্রতিবেশী মহিলাকে ধর্ষণের পর কীটনাশক খাইয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে। তমলুকের এক বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলেও ওই মহিলাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। ওই মহিলার মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন গ্রামবাসীরা। সুখচাঁদকে বাড়ি থেকে টেনে বের করে প্রচণ্ড মারধর করা হয়। তাতেই তাঁর মৃত্যু হয়। ধর্ষণ ও খুনের পাশাপাশি গণপিটুনিতে মৃত্যুর মামলাও দায়ের করেছে পুলিশ। দুই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
গণপিটুনির ঘটনায় ময়নাতদন্ত
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ময়নাতদন্তের জন্য সুখচাঁদের দেহ এগরা সুপার স্পেশ্যালিটি হাসপাতাল থেকে কাঁথি মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। জেলা পুলিশ সুপার পুলিশ সুপার সৌম্যদ্বীপ ভট্টাচার্য জানিয়েছেন, 'অত্যন্ত স্পর্শকাতর বিষয়। আইনি প্রক্রিয়া মেনে ইতিমধ্যে মহিলার মৃত্যুর ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। আজ দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। গণপিটুনিতে মৃত ব্যক্তির দেহও ময়নাতদন্তে পাঠানোর পাশাপাশি তদন্ত শুরু হয়েছে।'
আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।
আরও পড়ুন-
'একবার বডি লোপাট করে শান্তি হয়নি!' পুলিশকে এইভাবেই ধমকালেন সিপিএম নেত্রী দীস্পিতা ধর
আরজি কর কাণ্ডের ধাঁচেই জয়নগরে বিক্ষোভ স্থানীয়দের, পুলিশের বিরুদ্ধে উঠল স্লোগান