ইন্ডিয়া গেট থেকেঃ রাজনৈতিক মহলে প্রকাশ্যে যেমন অনেক কিছু ঘটে তেমনই পর্দার আড়ালেও অনেক ঘটনা ঘটে যায়। মতামত প্রকাশ থেকে ক্ষমতা দখলের খেলা- যার একটি রাজৈনিক ভিত্তি থাকে। এশিয়ানেট নিউজ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেই জাতীয় খবরগুলি আমরা আপনাদের সামনে তুলে ধরি।
ভারতের রাজনীতির অন্তরমহলে প্রতি সপ্তাহেই অনেক ঘটনা ঘটে। তারই কয়েকটা পাঠকের কাছে পেশ করার চেষ্টা করে এশিয়ানেট নিউজ বাংলা। এবারও From The india gate এর ৩৬ তম এপিসোডে রইল তেমন কিছু টানাপোড়েনর কথা।
তীর্থযাত্রীদের অগ্রগতি
কেরলের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চাণ্ডি মারা গেছে দেখতে দেখতে তিন সপ্তাহ হয়ে গেল। তবে এখনও তাঁর কর্টেজ অয়াডিংয়ের দৃশ্য এখনও সোস্যাল মিডিয়ায় রয়েছে। তবে আরও স্পর্শকাতর হল কাজের দিনেও তাঁর কবরস্থানে সাধারণ মানুষের ভিড় এখনও হচ্ছে। শ্রদ্ধা জানাতে এখনও সন্ধ্যে পর্যন্ত কেরলের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মানুষ আসছেন। সেখানেই তারা নীরবে শ্রদ্ধা জানাচ্ছেন। কিন্তু সেখানেই কিছু সংখ্যাগরিষ্ঠ জননেত্রীর আভায় তারা আকৃষ্ট হচ্ছেনয
একটি ব্যবসার সুযোগ অনুধাবন করে, তিরুবন্তপুরমের একজন ট্যুর অপারেটর কোট্টায়াম জেলার পুথুপন্নিতিকে চান্ডির সমাধি দেখার জন্য একটি প্যাকেজ ট্যুর চারু করেছে। এই সফরসূচির অন্তর্গত রয়েছে স্থানীয় একটি গির্জা ভ্রমণও। দুই দিনের প্যাকেজ ট্যুর এটি।
মজার বিষয় হল ট্যুর প্যাকেজের জন্য তালিকাভুক্ত যেকোনও ব্যক্তিকে দেওয়া আইটেমগুলির তালিকায় সমাধিতে মোমবাতি জ্বালানো আর শ্রদ্ধা জানানোর জন্য ফুল দেওয়ার ব্যবস্থাও করাহয়েছে। মনে করা হচ্ছে এই ট্যুর অপারেটরকে দেখে আরও অনেকেই অকৃষ্ট হবে।
লাল ডায়েরি
রাজস্থানের লাল ডায়েরি আর শুধুমাত্র রাজস্থানে সীমাবদ্ধ নেই । গোটা ভরতেরই ছড়িয়ে পড়েছে লাল ডায়েরির কথা। যাইহোক রাজস্থান সরকার লাল ডায়েরিকে চিরকালের জন্য চুপ করাতে রাজেন্দ্র গুঢ়ার ওপর চাপ তৈরি করছে। এই পদক্ষেপনি একটি সাধারণ অতঙ্ক থেকে তৈরি হয়েছে। যা বর্তমানে গোটা কংগ্রেস দলকেই আঁকড়ে ধরেছে। কারণ ধীরে ধীরে সামনে আসছে মুখ্যমন্ত্রীর আত্মীয়দের নামও।
যদিও ট্রেলারে প্রকাসটি চাঞ্চল্যকর কিছু নয়, কংগ্রেস ডায়েরির পুরোটা প্রকাশের পর আরও ক্ষতির আশঙ্কা করছে। সূত্রের খবর, গেহলট সরকার গুধা ও তার ডায়েরিকে আটকানোর জন্য আইনি পদক্ষেপ নিতে প্রস্তুত। সমস্ত চোখ এখন ক্ষমতাচ্যুত নেতার দিকে রয়েছে। কারণ রাজস্থানের রাজনীতিতে ফিরে আসার জন্য কংগ্রেস এখন নেতা, ডায়েরি রহস্যের ওপরই বাজি ধরেছে।
প্রশান্তের ইউ-টার্ন
জ্যোতিষীদের থেকে কিছুটা আলাদা, একজন মনস্তত্ত্ববিদ নির্বাচনের পথের ভবিষ্যদ্বাণী করতে মাটিতে নেমে কাজ করে। তাদের মূল ট্যাগগুলি সঠিক বার্তা পৌঁছে দেওয়া। এমনভাবে তথ্য দেওয়া যা রাজনীতিক দলগুলিতে ভোট বাড়াতে সাহায্য করে।
রাজনীতিবিদরা মানুষের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার জন্য তাদের নিজস্ব দক্ষতার চেয়ে সিফোলজির উপর বেশি আস্থা রাখতে পারে। এমন অনেক রাষ্ট্রবিজ্ঞানী রয়েছে, যারা এই সম্ভাবনায় ডুবেগেছে। কিন্তু পিকে বা প্রশান্ত কিশোর এদের থেকে অনেকটাই আলাদা। কারণে অনেকেরই সিফোলজি সম্পর্কে বৈজ্ঞানীক ধারনা খুবও কম বা শূন্য। প্রশান্ত কিশোর এদের থেকে এগিয়ে রয়েছে।
তাদের অধিকাংশই একটু উপসংহারে পৌঁছানোর জন্য ভোটের হাওয়া পড়তে শুরু করে। যা সর্বদাই একজন ভোটারের মত থেকে অনেক দূরে অবস্থান করে। কিন্তু সাম্প্রতিক নির্বাচমে হেরে যাওয়া এক বিজেপি নেতা এই সত্যের প্রমাণে দেবে য গাণিতিক সূত্র ও জাত সমীকরণে দিয়ে তৈরি কোনও ভবিষ্যদ্বানী তিনি বিশ্বাস করেন না। পরামর্শ দেওয়ার জন্য তার ১০ জন পিকে ছিল। কিন্তু তারা সকলেই একটি হালকা আভাস দিয়েছিল। তবে নির্বাচনের ফল কিন্তু সবকিছুকে ভুল প্রমাণ করেছে। মজার বিষয় হল কেন তাদের ভবিষ্যদ্বানী ভুল হয়েছিল- তার ন্যায্যতা দেওয়ার জন্য তাদের সকলের কাছে অজুহাতের একটি তালিকা ছিল। কারণগুলির মধ্যে রয়েছে মুখ্যমন্ত্রী প্রার্থীর প্রোফাইল থেকে শুরু করে শেষ মুহূর্তের ইউ-টার্ন। তবে কেউ কখনই বলেননি, দুঃখিত আমি ভুল করেছি।
আরও পড়ুনঃ
সার্বভৌম্য ও অখণ্ডতায় জোর, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শেষের পথ বাতলালেন অজিত ডোভাল
কুকি-মেইতি সংঘর্ষে নতুন করে অগ্নিগর্ভ মণিপুর, বিষ্ণুপুরে তিন জনের মৃত্য়ু- মাথায় গুলি সেনা কর্মীর