অজিত ডোভাল তাঁর ভাষণে সংঘর্ষের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে।
ইউক্রেন যুদ্ধের শান্তিপূর্ণ সমাধানেপ জন্য আলাপ-আলোচনা প্রয়োজন। কূটনীতি সমস্যা সমাধানের একমাত্র পথ। রাশিয়া-ইউক্রেন সংকট নিয়ে এমনটাই বার্তা দিয়েছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল। পাশাপাশি তিনি সমস্ত দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার ওপরও জোর দিয়েছেন। সৌদির প্রিন্স মহম্মদ সালমনের উদ্যোগে আয়োজিত দুই দিমের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন অজিত ডোভাল। এই বৈঠকে ছিলেম মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা দ্যাক সুলিভাল ও ইউরেশিয় বিষয়ক চিনের দূত লি হুই। ৪০টি দেশে এই আলোচনাসভায় উপস্থিত ছিলেন। তবে রাশিয়াকে আমন্ত্রণ জানান হয়নি।
অজিত ডোভাল তাঁর ভাষণে সংঘর্ষের প্রভাবের কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, সমগ্র বিশ্ব বিশেষ করে গ্লোবাল সাউথ রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে রীতিমত ধাক্কা খেয়েছে। তিনি বলেন,সংঘাতের শুরু থেকে ভারত নিয়মিতভাবে রাশিয়া ও ইউক্রেনের সঙ্গে সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিস্তারিত কথাবার্তা বলেছে। নতুন দিল্লি রাষ্ট্রসংঘের সনদ ও আন্তর্জাতিক আইনে অন্তর্ভুক্ত নীতির ভিত্তিতে একটি বিশ্ব ব্যবস্থাকে সমর্থন করার করা স্পষ্ট করে বারবার জানিয়েছে।জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জোর দিয়েছিলেন, সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা অবশ্যই ব্যতিক্রম ছাড়াই সকল রাষ্ট্রকে সমুন্নত রাখাতে হবে।
ডোভাল আরও বলেছিলেন যে সমস্ত স্টেকহোল্ডারদের জড়িত সমস্ত শান্তি প্রচেষ্টা অবশ্যই সংঘাতের একটি ন্যায্য এবং স্থায়ী সমাধান খুঁজে বের করতে হবে এবং এই চেতনায় ভারত জেদ্দায় বৈঠকে অংশ নিয়েছিল। তিনি বলেছেন যে নয়াদিল্লির দৃষ্টিভঙ্গি সংলাপ এবং কূটনীতিকে উন্নীত করার জন্য ছিল এবং সবসময় থাকবে, যোগ করে শান্তির জন্য এটিই একমাত্র পথ।
ইন্ডিয়া জোটের পরবর্তী বৈঠকে কবে আর কী কর্মসূচি? জানতে ক্লিক করুন এখানে
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জানিয়েছেন, ভারত ইউক্রেনকে মানবিক সাহায্য ও গ্লোবাল সাউথের প্রতিবেশীদের অর্থনৈতিক সাহায্য উভয়ই দিচ্ছে। ইউক্রেনের প্রস্তাবিত ফর্মুলার ওপর দৃষ্টি আকর্ষণ করে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। ইউক্রেনের রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির জেলেনস্কি যুদ্ধাপরাধের জন্য দায়ীদের শাস্ত্র প্রদান, ইউক্রেন থেকে সমস্ত রাশিয়ান সৈন্য প্রত্যাহার ও দেশের আঞ্চলিক অখণ্ডতা পুরনুদ্ধার-সহ প্রায় ১০ দফায় শান্তি পরিকল্পনা পেশ করেছিলেন। পরিকল্পনার আওতায় তিনি জ্বালানি নিরাপত্তা, খাদ্য নিরাপত্তা ও পারমাণবিক নিরাপত্তার নিশ্চিত করার আহ্বান জানান। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বৃহস্পতিবার বলেছেন, বৈঠকে ভারতের অংশগ্রহণ তার দীর্ঘস্থায়ী অবস্থানের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে- তখনই যথন ইউক্রেন ও রাশিয়ার সমস্যা আলোচনা আর কূটনীতির মাধ্যমে সমাধান করা যাবে। মে মাসে, হিরোশিমাতে G7 শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে মোদি জেলেনস্কির সাথে ব্যক্তিগতভাবে আলোচনা করেছিলেন। সেখানেও তিনি সমস্যা সমাধানকেই গুরুত্ব দিয়েছিলেন।
বাংলাদেশে ভয়াবহ আকার নিয়েছে ডেঙ্গু, শনিবার পর্যন্ত অতীতের রেকর্ড ভেঙে মৃত ৩০০