চাণক্য অমিত শাহের চুটকিতে ম্যাজিক-পিনারাই বিজয়নের স্ট্র্যাটেজির জাদু- এক নজরে From The India Gate

Published : Dec 29, 2022, 10:36 PM IST
India gate

সংক্ষিপ্ত

বিজেপির বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, ঈশ্বরাপ্পার বাড়িতে শাহ তাদের দুজনের সঙ্গে দেখা করেন। দুই নেতাই শাহের দুপাশে বসেন। ছিল সম্পূর্ণ নীরবতা। শাহ কোন আলোচনায় না জড়িয়ে টিভি দেখতে থাকেন।

শাহ-বাশ

তিনি চাণক্য। তিনি বিজেপির সব সমস্যার সমাধান। তিনি অমিত শাহ। না, বিজেপির কোনও বিজ্ঞাপন এই কথা বলছে না। বলছে অমিত শাহের কাজ। কোনও কথা খরচের দরকার হয় না তাঁর। তাহলে শুনুন কর্ণাটকের সমস্যা সমাধানের কাহিনি। বিধানসভা নির্বাচনের জন্য তৈরি হচ্ছে দক্ষিণের এই রাজ্য। সেখানে আচমকা গোঁদের ওপর বিষফোঁড়ার মত গজিয়ে উঠেছিল এক সমস্যা। সে সমস্যা হল বর্ষীয়ান নেতা কে এস ঈশ্বরাপ্পা এবং প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বি এস ইয়েদিউরপ্পার মধ্যে ঠান্ডা লড়াই। একই জেলার বাসিন্দা দুই নেতার দীর্ঘদিনের লড়াই এক মিনিটে শেষ করে দেন অমিত শাহ। এজন্য কোনও হুমকি, ধমকি বা নির্দেশ পর্যন্ত দিতে হয়নি শাহকে।

তাহলে কি করলেন তিনি- বিজেপির বিশ্বস্ত সূত্রে খবর, ঈশ্বরাপ্পার বাড়িতে শাহ তাদের দুজনের সঙ্গে দেখা করেন। দুই নেতাই শাহের দুপাশে বসেন। ছিল সম্পূর্ণ নীরবতা। শাহ কোন আলোচনায় না জড়িয়ে টিভি দেখতে থাকেন।

কিন্তু তাদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি। কিছুক্ষণ পর শাহকে জানানো হয় মিডিয়া বাইরে অপেক্ষা করছে। সঙ্গে সঙ্গে টিভি বন্ধ করে উঠে পড়েন তিনি। সঙ্গে নেন ওই দুই নেতাকে। মিডিয়ার সামনে তারপর চলল এক নিখুঁত অভিনয়, যেন স্ক্রিপ্ট আগে থেকেই তৈরি করা।

তিনজনে মিডিয়ার ক্যামেরার সামনে এমন এক ফ্রেম উপহার দেন, যাতে মনে হয় সব আলোচনার শেষে সব রকম ঝামেলার অবসান ঘটিয়ে শাহ সফল সুখী বিজেপি পরিবারের ছবি উঠে আসে। সংবাদমাধ্যম পরের দিনের হেডলাইন পেয়ে যায় আর বিজেপি ফেলে স্বস্তির নিঃশ্বাস। সব মিডিয়া জানিয়ে দেয় মাত্র ১৫ মিনিটে দীর্ঘদিনের বিবাদ মিটিয়ে ফের শাহ প্রমাণ করে দেন কেন তিনি চাণক্য।

বার্থ যন্ত্রণা

কর্ণাটকে সম্ভাব্য মন্ত্রিসভা সম্প্রসারণ নিয়ে ব্যথার শেষ নেই। উচ্চাকাঙ্ক্ষী বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাইয়ের মন্ত্রকের ছয়টি খালি আসনের মধ্যে একটি যেভাবে হোক পেতে চাইছেন। তাহলে কারা পাবেন সেই ছটি আসন- তা নিয়ে ইঁদুর দৌড় শুরু হয়েছে। এই ইদুর দৌড়ের শেষ দেখতে বেশ আগ্রহী হয়ে উঠেছে আরএসএস-ও। আরএসএস মনে করে ২০২৩ সালের মে বিধানসভা নির্বাচনে কুরুবাস, গোল্লারু, গঙ্গামাতাথারু, বাল্মীকি এবং পঞ্চমশালিদের ভোটারদের আকৃষ্ট করার একটি সুযোগ। তবে শেষ হাসি হাসবেন সেই অমিত শাহই।

ওয়েদারিং আউট

কম যান না কেরালার মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন। মিডিয়ার ঘোরালো প্রশ্নের উত্তরে যেভাবে দ্বিমুখী অর্থের কথা তুলে ধরেন তিনি, তাতে রাজনৈতিক বিচক্ষণতার পরিচয় মেলে রন্ধ্রে রন্ধ্রে। পি জয়রাজন তার সহকর্মী কমরেড ই পি জয়রাজনের বিরুদ্ধে আর্থিক অভিযোগ করার পরে মিডিয়া তাকে সিপিএম-এর মধ্যে জ্বলন্ত ও গরমাগরম সমস্যাগুলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে, পিনারাই জবাব দিয়েছিলেন: "It is indeed very cold here (in Delhi)." যখন তাকে গভর্নর আরিফ মোহাম্মদ খানের সাথে চলা ঠান্ডা যুদ্ধ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, তখন পিনারাই একটি মজার স্বীকারোক্তি করেছিলেন: ''মাস্ক মুখ ঢেকে রাখতে সাহায্য করে!''

কংগ্রেস জোড়ো কোন পথে

রাহুল গান্ধীর ভারত জোড়ো যাত্রাকে স্বাগত জানানো হাসিখুশি মুখগুলিই রং বদলে ফেলেছে। নেতৃত্বের পরিবর্তনের জন্য কংগ্রেসের খোঁজ বড় পাথুরে দেওয়ালে ধাক্কা খায়। ক্রমশ বাড়ে অভ্যন্তরীণ লড়াইয়ের ফাটল। তামিলনাড়ুতে এখন হাত শিবির বেশ বেকায়দায়। কোথা থেকে আগুন ছড়ানোর সূত্রপাত জানেন! একজন ব্যবসায়ী এবং বিধায়ককে দলীয় পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া। ক্ষুব্ধ নেতারা দিল্লিতে ক্যাম্প করে এবং কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই আদেশ বাতিল করা নিশ্চিত করে। তবে ম্যারাথন আলোচনা থেকে কোনও সুস্পষ্ট নাম বেরিয়ে আসেনি। একজন মহিলা নেত্রীর নাম উঠেছিল অবশ্য, তবে সঙ্গে সঙ্গে দলের মধ্যেই তা খারিজ হয়ে যায়।

আমদানী করা নেতা

জোট পাকছে তেলেঙ্গানায়। দুই শীর্ষ নেতা - জাগগা রেড্ডি এবং ভি হনুমন্ত রাও প্রকাশ্যে রেভানাথ রেড্ডিকে পিসিসি প্রধান হিসাবে নিয়োগের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছেন। তাদের প্রধান বিরোধিতা হল রেভানাথ যে টিডিপি থেকে কংগ্রেসে ঝাঁপ দিয়েছেন। এই দেশি বনাম বিদেশি লড়াইয়ে দেখা গেছে সিনিয়র নেতা দিগ্বিজয় সিং হায়দরাবাদে কিছু জরুরি পরামর্শ দিতে ক্যাম্পিং করেছেন। একটি সমঝোতার ফর্মুলা তৈরি করা হয়েছে বলে মনে হচ্ছে তেলেঙ্গানায় পার্টি ইনচার্জের পদ থেকে মানিকম ঠাকুরকে অপসারণের ইঙ্গিত দিচ্ছে।

PREV
click me!

Recommended Stories

ভারতের এয়ারলাইনের ইতিহাসে বড় বিপর্যয়! ইন্ডিগো একদিনে তার ৪০০ ফ্লাইট বাতিল করেছে
কেন ২০ ডিসেম্বর মোদী নদিয়ার রাণাঘাটে জনসভা করবেন? জানালেন বিজেপি নেতা অনির্বাণ গঙ্গোপাধ্যায়