সিনিয়র পুলিশ অফিসার জানিয়েছেন, বিএসএফ জওয়ানকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং দুই জন মহিলা।
নিজের মেয়ের অশালীন ভিডিও ইন্টারনেটে ভাইরাল করার প্রতিবাদ করেছিলেন এক বিএসএফ জওয়ান। সেই প্রতিবাদের জেরেই পিটিয়ে মারতে মারতে খুন করে ফেলা হল তাঁকে। গুজরাতের নাদিয়াদ জেলার চাকলাসি গ্রামের বাসিন্দা ওই বিএসএফ জওয়ানের নাম মেলজিভাই ভাঘেলা। ঘটনার তদন্তে নেমে ৭ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মেলজিভাই ভাঘেলার মেয়ে চাকলাসি গ্রামেরই এক স্কুলের ছাত্রী। সেই স্কুলেরই এক সহপাঠী ছাত্রের সঙ্গে তাঁর মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সম্প্রতি এই জওয়ানের মেয়ের একটি অশ্লীল ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়ে পড়ে। এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পিছনে ১৫ বছরের ওই কিশোরের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি।
এরপর ছুটিতে বাড়ি ফিরে গত শনিবার মেয়ের সহপাঠী কিশোরের বাড়িতে গিয়ে ওই অশ্লীল ভিডিওর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেন তিনি। সঙ্গে গিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী, দুই ছেলে ও ভাইপো। তখনই ওই নাবালক ছাত্রের পরিবারের লোকজনের সঙ্গে তাঁর কথা কাটাকাটি শুরু হয়। বচসা চরমে উঠলে তা পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। এরপরেই ওই কিশোর এবং তার পরিবারের লোকজনেরা তাঁকে ঘিরে ধরে ব্যাপকভাবে মারধর শুরু করেন। সবাই মিলে তাঁকে এতটাই মারতে থাকেন যে, ঘটনাস্থলেই প্রচণ্ড আঘাতে তাঁর প্রাণ চলে যায়।
ঘটনার পরেই সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অফিসারকে খুনের কাণ্ডে স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ। তারপর এই ঘটনার তদন্ত শুরু হয়। সিনিয়র পুলিশ অফিসার ভি.আর বাজপাই নিশ্চিত করেছেন, বিএসএফ জওয়ানকে পিটিয়ে খুন করার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের মধ্যে পাঁচ জন পুরুষ এবং দুই জন মহিলা।
আরও পড়ুন-
জানুয়ারি মাসেই ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করবে কোভিড, চিন নিয়ে আশঙ্কায় স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ফোন করলেন ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জ়েলেনস্কি, আলোচনায় রইল শান্তির বার্তা
‘সাইবার অপরাধের রাজধানী’ জামতাড়ায় এবার ‘পুলিস কি পাঠশালা’, পিছিয়ে পড়াদের হাত ধরলেন আইএএস আইপিএস-রা