দিন দিন খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছিল। তার সঙ্গে কমছিল শরীরের ওজনও। শুধুই ঘন ঘন বমি হচ্ছিল। বছর ১৫-র এক কিশোরীর এই অবস্থা দেখে কিছুই ভেবে পাচ্ছিলেন না পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু, চিকিৎসকের কাছে যেতেই রীতিমতো অবাক হয়ে যান তাঁরা। তাঁদের সঙ্গে সঙ্গে অবাক চিকিৎসকরা। ওই কিশোরীর পেট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে দেড় কেজি চুল। তামিলনাড়ুর ভিল্লুপুরমের ঘটনা।
আরও পড়ুন- কীভাবে এবছরের শেষের মধ্যেই ভারতের সবাই পাবে টিকা, রোডম্যাপ জমা দিল কেন্দ্র
জানা গিয়েছে, গত দু'বছর ধরে নিজের চুলই খাচ্ছিল ওই কিশোরী। ডাক্তারি পরিভাষায় এই রোগকে ব়্যাপুনজেলস সিন্ড্রোম বলা হয়। এটি একধরনের মানসিক রোগ। এর ফলে নিজের চুলই খেয়ে ফেলেন রোগীরা। ওই রোগ খুব বেশি দেখা যায় না।
ধীরে ধীরে মেয়ের শরীর খারাপ হয়ে যেতে দেখে তাকে সার্জিকাল গ্যাস্ট্রোএন্ট্রোলজিস্ট চিকিৎসক আর রাজা মহেন্দ্রনের কাছে নিয়ে গিয়েছিলেন পরিবারের সদস্যরা। সে সময় ওই কিশোরীর পেটে অসহ্য যন্ত্রণা ও বমি হচ্ছিল। এ প্রসঙ্গে রাজা মহেন্দ্রন বলেন, "কিশোরীর উপসর্গ দেখে আমরা প্রথমে ভেবেছিলাম যে পেটে সিস্ট রয়েছে। এরপর তার এন্ডোসকপি করা হয়। তখনই তার চুল খাওয়ার প্রবণতা সম্পর্কে জানা যায়। সে যে টানা দু'বছর ধরে চুল খাচ্ছে তা বাড়ির কেউ টেরই পাননি।"
আরও পড়ুন- করোনার টিকা নেবেন না, স্ত্রী-র আধার কার্ড নিয়ে গাছে চড়লেন ব্যক্তি
রোগের কারণ জানার পরই অস্ত্রোপচারের জন্য প্রস্তুত হন চিকিৎসকরা। রাজা মহেন্দ্রনের নেতৃত্বে অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে ওই কিশোরীর পেট থেকে প্রায় দেড় কেজি ওজনের চুলের বল বের করা হয়। ওই বিপুল পরিমাণ চুল পেটের অনেকটা জায়গা নিয়ে ছিল। আর তার ফলেই তার খাওয়ার ইচ্ছেটাই চলে যাচ্ছিল। অস্ত্রোপচারের পর সেটিকে বের করা হয়। তারপর একটু সুস্থ হওয়ার পরই কিশোরীকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হয়।