বিয়ের সাতদিনের মধ্যেই বিষ খেয়ে আত্মঘাতি উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) এক ব্যক্তি। তাঁর বোনের অভিযোগ তাঁর স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে।
বিয়ের পর শ্বশুরবাড়ির গঞ্জনা সহ্য করতে না পেরে আত্মঘাতী (Suicide) হচ্ছে বধু, একবিংশ শতকের ভারতেও এই ঘটনা অত্যন্ত সাধারণ। কিন্তু, কখনও কখনও উল্টোটাও ঘটে। শ্বশুরবাড়িতে অপমানিত হতে হয় স্বামীকেও। অনেকেই মাথায় রাখে না, মহিলাদের মতো পুরুষদেরও একটা নরম মন আছে। যেখানে আঘাত লাগলে সেও কোনও চরম সিদ্ধান্ত নিয়ে নিতে পারে। এরকমই এক ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটল উত্তরপ্রদেশের মুজফ্ফরনগরে (Muzaffarnagar, Uttar Pradesh)। অভিযোগ, স্ত্রী এবং শ্যালকের হাতে হয়রানি সহ্য করতে না পেরে বিষ খেয়েছে স্বামী।
ঘটনাটি ঘটেছে, মুজফ্ফরনগরের বাবরি থানা এলাকায়। শনিবার স্থানীয় থানার পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ওই ব্যক্তির নাম প্রয়াস, বয়স মাত্র ২৩ বছর। গত ১৪ নভেম্বর, শামলি (Shamli) জেলার চুনসা গ্রামের, কোমল নামে এক মহিলার সঙ্গে তাঁর বিবাহ হয়েছিল। কিন্তু, তারপর এক সপ্তাহও কাটল না। শুক্রবার, ১৯ নভেম্বর, চুনসা গ্রামে শ্বশুরবাড়িতেই কোন বিষাক্ত পদার্থ খেয়ে আত্মহত্যা করেছে প্রয়াস। এদিকে, তাঁর মৃত্যুর পরই, তাঁর স্ত্রী ও শ্যালকের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ এনেছে প্রয়াসের বোন সীমা।
আরও পড়ুন - Astrological News- রাশি অনুযায়ী এই চার রাশির ছেলেরাই হয় Best Husband
আরও পড়ুন - International Men's Day : জীবনের বিশেষ দুই পুরুষকে ভালবাসা উজাড় দেবলীনার, চিনে নিন
পুলিশের কাছে এই বিষয়ে তিনি লিখিত অভিযোগে দায়ের করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, তাঁর ভাইয়ের উপর তাঁর সদ্য বিবাহিতা স্ত্রী কোমল এবং শ্যালক নিতিন কুমার চরম মানসিক নির্যাতন চালাচ্ছিল। তা সহ্য করতে না পেরেই এই চরম পদক্ষেপ নিয়েছেন প্রয়াস। পুলিশ শুধু জানিয়েছে, প্রয়াস বিষ পান করেছিলেন, ই তথ্য ছাড়া কোনও কিছুই এখনও তাঁদের কাছে স্পষ্ট নয়। প্রয়াসের মৃত্যুর পিছনে তাঁর স্ত্রী ও শ্যালকের কী ভূমিকা ছিল, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এই বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তদন্ত শেষ না হলে, কে ঠিক বলছে, আর কে ভুল, তা জানা যাবে না। প্রয়াস কোনও সুইসাইড নোটও লিখে যায়নি।
শুক্রবার মুজফ্ফরনগরে অবশ্য আরও এক পুরুষ আত্মহত্যা করেছেন। এই ঘটনাটি ঘটেছে চার্থওয়াল থানা এলাকায়। মৃত ব্যক্তির নাম মদন কুমার, বয়স ৫৫ বছর। তাঁর বাড়ি গয়ানা মাজরা গ্রামে। জানা গিয়েছে, শুক্রবার তিনি পারিবারিক বিরোধের জেরে গায়ে আগুন ধরিয়ে দেন। এরপর, গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে, চিকিত্সকরা জানান, তাঁকে আনার আগেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে।