Earthquake: ফের কাঁপল অসম, ফিরল আতঙ্ক - ভোরে ভূমিকম্প রাজস্থানেও

শনিবার দুপুরে ভূমিকম্পে (Earthquake) কেঁপে উঠল অসমের (Assam) গুয়াহাটি (Guwahati) ও আশপাশের এলাকা। উৎসস্থল ছিল কামরূপ (Kamrup) জেলায়। 
 

amartya lahiri | Published : Nov 20, 2021 9:43 AM IST / Updated: Nov 20 2021, 03:38 PM IST

শনিবার দুপুরে রাজধানি গুয়াহাটি-সহ (Guwahati) কেঁপে উঠল অসমের (Assam) এক বিস্তীর্ণ অঞ্চলের মাটি। জানা গিয়েছে, রিখটার স্কেলে এই ভূমিকম্পের (Earthquake) মাত্রা ছিল ৪.১। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির (National Center for Sysmology) তথ্য অনুসারে, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল অসমের কামরুপ (Kamrup) জেলা। দুপুর ১ টা বেজে ১২ মিনিটে ভূকম্পটি আঘাত হানে উত্তর-পূর্ব ভারতের এই রাজ্যে।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজি আরও জানিয়েছে, কম্পনটি সৃষ্টি হয়েছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। কম্পনের উৎস মাটির খুব বেশি গভীরে না হওয়ায় গুয়াহাটি শহর এবং তার পার্শ্ববর্তী একটা বড় এলাকা জুড়ে ভালই কম্পন অনুভূত হয়েছে। তবে, কোনও প্রাণহানি বা সম্পত্তির বড় ক্ষয়ক্ষতির কোনো খবর এখনও পাওয়া যায়নি। ভূমিকম্পের কেন্দ্রস্থল থেকে আশপাশের পলাশবারি, সুয়ালকুচি, হাজো, গুয়াহাটি, দিসপুর, রঙ্গিয়া, এবং বরপেটায় বেশ কয়েকটি বাড়ির জানালার কাচ ভেঙে গিয়েছে। আলমারির তাক থেকে জিনিসপত্র পড়ে গিয়েছে। এর বেশি, উল্লেখযোগ্য কোনও ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন - ভোর রাতে কাঁপল মাটি, দুলে উঠল আন্দামান নিকোবর দ্বীপপুঞ্জ

আরও পড়ুন - Earthquake-সকাল থেকে একের পর এক ভূমিকম্প,কাঁপল দেশের উত্তরপূর্ব

আরও পড়ুন - Earthquake in Sikkim: রবিবার রাতে কেঁপে উঠল সিকিম, কম্পন অনুভূত পশ্চিমবঙ্গেও

উত্তর-পূর্ব ভারতের এই অঞ্চল, একটি উচ্চ মাত্রার ভূমিকম্প-প্রবণ অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। এই কারণেই অসম, মণিপুর (Manipur), মেঘালয়ে (Meghalaya) ঘন ঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে। গত,  ২৮ এপ্রিল একটি ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্প এই এলাকায় আঘাত হেনেছিল। অসম এবং উত্তর-পূর্বের বেশ কিছু অংশে জোরালো কম্পন অনুভূত হয়েছিল। ওই, ভূমিকম্পের ফলে প্রাণহানি না ঘটলেও, বেশ কয়েকটি ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।

এদিন, ভোরেই রাজস্থানের জালোরেও (Jalore, Rajasthan) একটি মধ্যম মাত্রার ভূমিকম্প আঘাত হেনেছিল। রিখটার স্কেলে সেটি ছিল ৪.৬ মাত্রার। ন্যাশনাল সেন্টার ফর সিসমোলজির তথ্য অনুসারে, এই ভূমিকম্পটি হয়, শনিবার ভোর ২টো বেজে ২৬ মিনিটে। ৭ থেকে ১২ সেকেন্ডের জন্য পালি, সিরোহি, জালোর এবং যোধপুর জেলার বেশ কয়েকটি গ্রামে কম্পন অনুভূত হয়। আতঙ্কে বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। জালোরই ছিল ওই ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল, এমনটাই জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। 

রাজস্থানও দেশের আরেকটি ভূকম্প প্রবণ এলাকার মধ্যে পড়ে। এটি রয়েছে আরাবল্লী বেল্টে।  গুজরাট সংলগ্ন চ্যুতিরেখা বরাবর টেকটোনিক প্লেটে সংঘর্ষের ফলে এই এলাকাতেও ঘনঘন ভূমিকম্প হয়ে থাকে।

পৃথিবীর দুটি টেকটোনিক প্লেট হঠাৎ করে একে অপরের উপর দিয়ে পিছলে গেলেই ভূমিকম্প সৃষ্টি হয়। তারা যে পৃষ্ঠে বরাবর পিছলে যায় তাঁকে বলে ফল্ট বা চ্যুতি। ছোট ছোট ভূমিকম্পগুলি কোনও বড় ভূমিকম্পের ইঙ্গিত বলেই মনে করা হয়। তবে, বড়মাপের ভূমিকম্পটি না হওয়া পর্যন্ত বিজ্ঞানীদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়, ছোট  মাপের ভূমিকম্পটি কোনও প্রধান ভূমিকম্প ছিল, না বড় ভূমিকম্পের আগমনবার্তা। তাই ভূমিকম্পের পূর্বাভাস দেওয়া সম্ভব নয়। 

Share this article
click me!