দেশে লকডাউন চললেও ঘরে বসে কাজ করার সুযোগ নেই সাংবাদিকদের। মানুষের কাছে সত্য খবর তুলে ধরতে অল-গলি-রাজপথে ঘুরে বেড়াতে হয় তাঁদের। হাসপাতাল থেকে কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্র, প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে সবখানেই দৌঁড়চ্ছেন তাঁরা। আর মানুষের কাছে খবর তুলে দিতে গিয়েই করোনা সংক্রমণের শিকার হচ্ছেন একের পর এক সংবাদকর্মী। এবার তাই সাংবাদিকদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা নিয়ে এল হরিয়ানা সরকার।
আশঙ্কাই সত্যি হল , করোনার ধাক্কায় বর্ধিত ডিএ দেড় বছরের জন্য স্থগিত করল কেন্দ্র
ষড়যন্ত্র করে আমেরিকার উপর করোনা হামলা, অভিবাসন বন্ধ করে তোপ দাগলেন ট্রাম্প
করোনা থেকে রেহাই মিলল না পোষ্যেরও, মারণ ভাইরাসে আক্রান্ত গৃহপালিত বিড়াল
সম্প্রতি মুম্বইতে ৫৩ জন সাংবাদিকের করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। একইরকম ভাবে চেন্নাইতেও মারণ ভাইরাসের সংক্রমণের শিকার জনের বেশি সাংবাদিক। এই অবস্থায় ময়দানে নেমে কাজ করছেন যেসব সাংবাদিক তাঁদের প্রত্যেকের জন্য ১০ লক্ষ টাকা করে বিমা ঘোষণা করলেন হরিয়ানার মুখ্যমন্ত্রী মনোহর লাল খাট্টার।
যেভাবে দেশে করোনা সংক্রমণ ছড়াচ্ছে তাতে প্রতিটি রাজ্য সরকারের কাছেই সাংবাদিকরা নিজেদের কোভিড ১৯ পরীক্ষার দাবি জানিয়েছেন। সেই মত বুধবরাই রাজধানীর সমস্ত সাংবাদিরদের করোনা পরীক্ষা করা হবে বলে ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল। একই পথে এগিয়েছে কর্ণাটক সরকারও। ইতিমধ্যে প্রশাসনের তরফে জারি করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিও। কেন্দ্রীও সরকারও সাংবাদিকদের স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তিত।
কেন্দ্রের তরফে প্রকাশ করা বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, "দেশের নির্দিষ্ট কিছু এলাকায় খবর করতে গিয়ে সাংবাদিকদের একটা বড় অংশ কোভিড ১৯ রোগের শিকার হয়েছে, এই অবস্থায় প্রতিটি সাংবাদিককে নিজের স্বাস্থ্যের বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করতে বলা হচ্ছে।"
করোনা যুদ্ধে প্রথম সারির সৈনিক স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বিমা করেছে কেন্দ্র। একাধিক রাজ্য সরকারও আলদা ভাবে স্বাস্থ্যকর্মী ও পুলিশের জন্য স্বাস্থ্য বিমা করেছে। পশ্চিমবঙ্গে আগেই স্বাস্থ্য বিমার আওতায় আনা হয়েছে সাংবাদিকদের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, অ্যাক্রিডেটেশন কার্ড আছে যাঁদের সেই সাংবাদিকরা এই সুবিধা পাবেন। জেলার সাংবাদিকদেরও বিমার আওতায় আনা হয়েছে।