লকডাউনের 'সুফল' ভারতের বাতাসে কমছে এরোসলের মাত্রা, জানিয়েছে নাসা


লকডাউনের কারণে পরিচ্ছন্ন হচ্ছে ভারতের বাতাস
বাতাসে কমছে এরোসলের পরিমাণ
জানিয়েছে নাসা
একই ছবি উত্তর ও দক্ষিণ ভারতে

Asianet News Bangla | Published : Apr 23, 2020 8:10 AM IST

গত ২০ বছরের আর কখনও এত পরিষ্কার হয়নি উত্তর ভারতের আকাশ বাতাশ। ২০ বছরের ভারতের গাঙ্গেয় উপত্যকায় দূষণের মাত্রা সবথেকে কম। জানিয়েছিলেন আমেরিকার স্পেস রিসার্চ এজেন্সি নাসা। এই নাসার বিজ্ঞানী পবন গুপ্ত জানিয়েছেন, ভারতে যথন লকডাউন ঘোষণা করা হয় তখনই তাঁরা ধরে নিয়েছিলেন যে ভারতের দূষণের মাত্রা অনেকটাই কমে যাবে। সেই মতই তাঁরা পর্যবেক্ষণ চালিয়ে গিয়েছিলেন। আর তাতেই ধরা পড়েছে বর্তমান উত্তর ভারতের বায়ুমণ্ডলী অন্যান্য বছরগুলির থেকে যথেষ্ট পরিষ্কার। পবন গুপ্তর কথায় গাঙ্গেয় সমভূমি এলাকায় এয়ারসোলের মান এত কম গত ২০ বছরে তা ধরা পড়েনি। 

নাসার প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ২০১৬ থেকে ২০১৯ সালে বায়ুতে গড় এরোসল অপটিক্যালের পরিমাণ ২০২০ সালের থেকে অনেকটাই কম। এই তথ্য স্পষ্ট হয়েছে নাসার টেরার উপগ্রহের মাধ্যমে পাঠান একাধিক তথ্য থেকে। লকডাউন ঘোষণার কয়েক দিন পর থেকেই এই ছবি সামনে আসতে শুরু করে বলেও জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। গত ২৭ মার্চ প্রবল বৃষ্টি হয় উত্তর  ভারতের বিস্তীর্ণ এলাকায়। তারপরেও দেখা যায় এরোসলের ঘনত্ব অনেকটাই কমে গেছে। কিন্তু দুষণ থাকলে এরোসলের ঘনত্ব আরও বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। 

এরোসল হল অতি ক্ষুদ্র ও তরল কনা। যা বাতাসে থাকে। এই কনার কারণেই কমে যায় দৃশ্যমানতা। এই কনা মানুষের ফুসফুস আর হার্ট যন্ত্রের প্রবল ক্ষতি করে। 

শুধু উত্তর ভারত নয়। স্যাটেলাইট ডেটায় দেখা গেছে দক্ষিণ ভারতের বাতাসেও কমেছে এরোসলের মাত্রা। গত চার বছরের তুলনায় এই বছর এরোসলের মাত্রা অনেকটাই কম বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 

করোনাভাইরাস সংক্রমণ রুখতে গত ২৫ মার্চ থেকেই গোটা দেশ জুড়ে চলছে লকডাউন। দেশের অধিকাংশ মানুষই গৃহবন্দি। বন্ধ রয়েছে কলকারখানা। ট্রেন ও বিমান পরিষেবা বন্ধ। সড়ক পথে যোগাযোগও প্রায় বন্ধ। প্রতিবছর মানুষের তৈরি দুষণই বাতাসে এয়ারসোলের পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যা অত্যান্ত অস্বাস্থ্যকর। এবার লকডাউনের কারণে সেই এরোসলের মাত্রাও অনেকটাই হ্রাস পেয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। 
 

Share this article
click me!