ভারত আর সেনাবাহিনীর জন্য তিব্বত আর সিকিমে বসল হটলাইন। যা দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে বিশ্বাসযোগ্যতা আরও বাড়িয়ে তুলবে বলেও মনে করা হচ্ছে।
ভারত-চিন দুটি দেশই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে আরও মজবুত করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে আস্থা আর সৌহাদ্যের বাতাবরণ বাড়িয়ে তুলতে একটি হটলাইন প্রতিষ্ঠা করেছে। সিকিমের কাংড়া-লাতে ভারতীয় সেনা বাহিনী আর চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির হটলাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়এছে তিব্বতে।
শনিবারই ভারত ও চিনের মধ্যে ১২তম সামরিক বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল। তার একদিন পরেই হটলাইন প্রতিষ্ঠা করা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।২০২১ সালের ১ অগাস্ট চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মি দিবস হিসেবে পালন করা হচ্ছে। সেই দিনেই এই হটলাইন প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। নতুন দিল্লি সূত্রে খবর, পূর্ব লাদাখ সেক্টরে দীর্ঘ ১৪ মাসের অস্থিরতা ধীরে ধীরে কমাতেই এজাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
Tokyo Olympic 2020- ভারতের সোনার মেয়ে পিভি সিন্ধুর অন্য ছবি, মন কেড়ে নেবে আপনারও
সেনা সূত্রের খবর এই নিয়ে ভারত ও চিনা সেনাদের জন্য ৬টি হটলাইনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। যার মধ্যে দুটি হল পূর্ব লাদাখে, ২টি অরুণাচল প্রদেশের আর দুটি সিকিমে। এজাতীয় হটলাইনগুলি দুই দেশের সেনা বাহিনী স্থানীয়ভাবে সমস্যা সমাধান আর আলোচনার জন্য ব্যবহার করে থাকে।সেনা সূত্রের খবর লাদাখ সেক্টরের হটলাইনে ২০২০ সালের মে মাস থেকে এপর্যন্ত প্রায় ১ হাজার ৪০০ বারের বেশি কথা বলা হয়েছে।
মাত্র ১ নম্বরের জন্য পিছিয়ে অর্চিষ্মান, জানুন CBSE টপারের স্বপ্ন কী
সেনা সূত্রের খবর দুই দেশের সশস্ত্র বাহিনীর গ্রাউন্ড কমান্ডার পর্যায়ে যোগাযোগে এজাতীয় হটলাইন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে। সীমান্তে শান্তি আর প্রশান্তি বজায় রাখতেও এজাতীয় হটলাইন প্রয়োজনীয়। হট স্প্রিং আর গোগরা এলাকায় এখনও চিনা সৈনা অবস্থান করছে। এলাকা খালি করার কথা বলেছে ভারত। হটলাইনের মাধ্যমে এই আলোচনা আরও দ্রুত দুই দেশকে কোনও সিদ্ধান্তে আসতে সাহায্য করতে পারে।
কাশ্মীরের 'দেশদ্রোহীদের' জব্দ করতে কড়া পুলিশ, সরকারি চাকরি ও পাসপোর্ট দিতে এবার একাধিক শর্ত
অন্যদিকে গতকাল সকাল সাড়ে ১০টি ভারত ও চিনের ১২তম সামরিক বৈঠক শুরু হয়েছিল। এই বৈঠক চলেছে প্রায় সন্ধ্যে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত। তবে সেই বৈঠকে কী কী নিয়ে আলোচনা হয়েছে বা সিদ্ধান্ত হয়ে তা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট করে জানায়নি দুই দেশ।