সংক্ষিপ্ত

করোনাভাইরাস আতঙ্কে কাঁপছে জঙ্গিরাও

স্বাস্থ্য নিয়ে সতর্কতা জারি করল আইএসআইএস-ও

করোনাধ্বস্ত দেশে না যাওয়ার নির্দেশ দেওয়া হল জঙ্গিদের

কোথাও হিন্দু মহাসভার সঙ্গে মিলে গেল তাদের সুর

 

তাদের নিয়ে একসময় আতঙ্কে থাকত গোটা বিশ্ব। আল বাগদাদির মৃত্যুর পর থেকে আইএস জঙ্গিগোষ্টীর আগের দাপট আর না থাকলেও, যে কোনও সময়, যে কোনও দেশে হামলা চালানোর ক্ষমতা রাখে তারা। কিন্তু এখন বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্কিত তারা নিজেরাই। জঙ্গিদের সংক্রমণের হাত বাঁচাতে সম্প্রতি বিভিন্ন দেশের সরকার ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের মতোই স্বাস্থ্যবিধি সংক্রান্ত পরামর্শ জারি করেছে তারা।

আরও পড়ুন - ভাইরাসের ভয়ের মধ্যেই বিকোচ্ছে কেজি প্রতি ২০০০ টাকায়, খাবেন নাকি 'করোনা' মাছ

করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঠেকাতে আইএস জঙ্গি গোষ্ঠীর পরামর্শে বলা হয়েছে -

- এই মহামারীতে ক্ষতিগ্রস্থ দেশগুলিতে যাওয়া আপাতত এড়িয়ে যেতে হবে

- সর্বদা হাত ধুতে হবে, এমনকী মধ্যরাতে ঘুম ভেঙে গেলেও

- আক্রান্তদের থেকে যতটা সম্ভব দূরে থাকতে হবে

- সর্বদা মুখ ঢেকে থাকতে হবে

- জলের বোতল বা অন্যান্য জল রাখার পাত্র ঢেকে রাখতে হবে

- খোলা জায়গায় হাঁচি-কাশি চলবে না

- হাঁচি বা কাশির সময় তাদের নাক এবং মুখ ঢাকতে হবে

আরও পড়ুন - মহামারীর জেরে বাড়িতে বসে কাজ করেছিলেন নিউটন-ও, আবিষ্কার হয়েছিল মহাকর্ষ সূত্র

আল্লার উপর বিশ্বাস

এই স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পাশাপাশি এই জঙ্গি গোষ্ঠী তাদের সদস্যদেরও আল্লার উপর বিশ্বাস রাখার পরামর্শ দিয়েছে। অনেকটা হিন্দু মহাসভার নেতাদের সুরেই আইএস জঙ্গি গোষ্ঠী দাবি করেছেন ঈশ্বর বা আল্লার ইচ্ছেতেই মহামারীটি ঘটছে। আল্লা যাদের বেছে নিয়েছেন তারাই এই রোগে আক্রান্ত হবেন। এর আগে হিন্দু মহাসভার নেতা চক্রপানি বলেছিলেন, আমিষভোজীরা নিরীহ প্রাণীদের হত্যা করে বলেই তাদের উপর ভগবানের অভিশাপ হিসেবে করোনাভাইরাস নেমে এসেছে। তিনি করোনাভাইরাসকে রোগ না বলে অবতার-ও বলেছিলেন।

আরও পড়ুন - বাতিল সেক্স পার্টি থেকে চুমুহীন মিলন - করোনাভাইরাস থাবায় কাতর যৌনজীবন

বিশ্বজুড়ে বর্তমানে কোভিড-১৯ রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে ৫০০০-এরও বেশি মানুষের। ১,৩৫,০০০-এরও বেশি মানুষ এই রোগে আক্রান্ত। ইরাক অর্থাৎ যেই দেশ-কে কেন্দ্র করে আইএস খিলাফৎ স্থাপন করতে চেয়েছিল, সেখানে এখন পর্যন্ত এই ভাইরাসঘটিত রোগে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৯ জন। চিন থেকে করোনাভাইরাস এখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে এখন আর চিন নয়, ইউরোপই কোভিড-১৯ এর নতুন কেন্দ্রস্থল।