অচলাবস্থা সমাধানের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৩ দফা আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই হট স্প্রিংস এলাকায় রেজোলিউশনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসে এদিন।
আলোচনার মাধ্যমেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (Line of Actual Control) বরাবর সীমান্ত সমস্যা ও অচলাবস্থা মিটবে। এই পথেই ভরসা রাখছে নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক চ্যানেলের মাধ্যমে (dialogue via military and diplomatic channels) যোগাযোগ রাখতে সম্মত হয়েছে দুই দেশ, ভারত ও চিন (India and China)। সেই লক্ষ্যেই ১৪ তম রাউন্ড ভারত-চিন কর্পস কমান্ডার স্তরের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। চিনের দিকে চুশুল-মলডো সীমান্ত মিটিং পয়েন্টে অনুষ্ঠিত হয়েছিল। বৈঠকে দুই দেশের প্রতিরক্ষা ও বিদেশমন্ত্রকের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রায় ১৩ ঘন্টা ধরে আলোচনা চলে দুই দেশের মধ্যে। নয়াদিল্লি এবং বেজিং পূর্ব লাদাখ এলাকায় এলএসি নিয়ে আলোচনায় বসেছে এর আগেও। অচলাবস্থা সমাধানের জন্য এখনও পর্যন্ত ১৩ দফা আলোচনা হয়েছে। দুই পক্ষই হট স্প্রিংস এলাকায় রেজোলিউশনের লক্ষ্যে বৈঠকে বসে এদিন। গত বছর ভারত চিন সংঘর্ষের পর এই এলাকায় সামরিক উত্তাপ এখনও কমেনি। প্যাংগং লেক এবং গোগরা হাইটসের অচলাবস্থাও আলোচনায় ছিল। ভারত ডিবিও এলাকা এবং সিএনএন জংশন এলাকার রেজোলিউশনেরও দাবি করে আসছে যা গত বছরের এপ্রিল-মে সময়সীমার আগে ছিল।
উভয় পক্ষই ভারী অস্ত্রশস্ত্রসহ এলাকায় বিপুল সংখ্যক সেনা মোতায়েন করেছে। পরিকাঠামো নির্মাণও শুরু করেছে দুই দেশ। চিন LAC-এর খুব কাছে সেনাদের জন্য বাঙ্কার তৈরি করে লাদাখের উল্টো দিকের এলাকায় গতিবিধি সক্রিয় করেছে। ভারতও সেনাদের জন্য রাস্তা ও বাঙ্কার নির্মাণের ব্যবস্থা করে রেখেছে। মনে করা হচ্ছে এই ব্যবস্থায় দুলক্ষ সেনা প্রচন্ড শীতেও সেখানে থাকতে পারবে।
সেনা বাহিনী স্তরের ১৪ তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল চিনের দিকে। বৈঠক শেষ হয়েছে রাত সাড়ে ১০টা নাগাদ। ভারতের হয়ে এই বৈঠকে প্রতিনিধিত্ব করেছেন লেফটেন্যান্ট জেনারেল অনিন্দ্য সেনগুপ্ত। চিনের তরফে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন জিনজিয়াংএর সামরিক প্রধান মেজর জেনারেল ইয়াং লিন। এই বৈঠকে আলোচনার মূখ্য বিষয় ছিল হটস্প্রিংয় সংলগ্ন ১৫ নম্বর পেট্রোলিং পয়েন্ট থেকে চিনা সেনাদের সরিয়ে দেওয়া।
সম্প্রতি কাংকা লা-র কাছে গোগরা হটস্প্রিং একায়া রীতিমত ঘাঁটি তৈরি করে অবস্থান করেছে চিনা সেনা। সেখান থেকে চিনের পিপিলস লিবারেশন আর্মির সদস্যদের সরিয়ে নিয়ে যাওয়া অন্যতম ইস্যু ছিল ভারতের কাছে। একই সঙ্গে দৌলগবেগ-ওল্ডি সেক্টরের ডোপসাং বুলেজ ও চার্ডিং নল্লায় ভারতীয় সেনাদের টহলের অধীকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে। সূত্রের খবর ডেমচক সেক্টরের জংশন নিয়েও আলোচনা হয়েছে দুই দেশের সেনা বাহিনীর মধ্যে।