সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, 'যারা মনে করছে ভারত ও ভারতীয়দের ভয় দেখানোর জন্য হিংসার আশ্রয় নেওয়া যাবে- তারা বিভ্রান্তিকর।' তিনি আরও বলেন পিএফআই এমন একটি সংস্থা যারা বারবার প্রমাণ করেছে তারা ভারতের বিরুদ্ধে কিছু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংহিংসা চালিয়ে যাবে। তারা জয়ী হবে না।
কেরল-সহ দেশের প্রায় ১০ রাজ্যে সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান চালায় কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থা। এনআইএ-র মূল টার্গেটই ছিল পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়ার নেতা কর্মী ও তাদের সহযোগীরা। এই ঘটনায় প্রায় ১০০ কে সন্ত্রাসবাদী যোগ, সন্ত্রাসের জন্য অর্থ সাহায্য, প্রশিক্ষণ দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে। শুক্রবার কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার হানার বিরোধিতা করে কেলরে বনধের ডাক দিয়েছেন পপুলার ফ্রন্ট অব ইন্ডিয়া। তবে বনধকে কেন্দ্র করে রীতিমত অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে কেরল। পপুলার ফ্রন্টের নেতা কর্মীদের হিংসার প্রতিবাদে সরব হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা বিজেপি নেতা রাজীব চন্দ্রশেখর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রাজীব চন্দ্রশেখর বলেন, 'যারা মনে করছে ভারত ও ভারতীয়দের ভয় দেখানোর জন্য হিংসার আশ্রয় নেওয়া যাবে- তারা বিভ্রান্তিকর।' তিনি আরও বলেন পিএফআই এমন একটি সংস্থা যারা বারবার প্রমাণ করেছে তারা ভারতের বিরুদ্ধে কিছু সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে সংহিংসা চালিয়ে যাবে। তারা জয়ী হবে না- এতটাই কড়া বার্তা দিয়েছেন তিনি। একই সঙ্গে কেরলের বিজেপি নেতা কে সুরিন্দরমের একটি টুইটও জুড়ে দেন। যেখানে বিজেপি নেতা বলছেন, পিএফআই হরতালের নামে ব্যাপক হিংসার আশ্রয় নিচ্ছে। তারা কেএসআরটিসি বাসে হামলা চালায়।, জোর করে দোকান বন্ধ করে দিয়েছে। তীর্থ যাত্রীদের যাত্রা পথে বাধা তৈরি করছে। কেরল পুলিশ নীরব দর্শকের ভূমিকা নিয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি বলেন কেরলের আইনশৃঙ্খলার পরিস্থিতি সম্পূর্ণরূপে ভেঙে পড়েছে।
দেশের ১০টি রাজ্যে বুধবার ভোর রাত থেকে শুরু হয়েছে তল্লাশি অভিযান। অন্ধ্র প্রদেশ, তেলাঙ্গলা, উত্তর প্রদেশ, তামিলনাড়ু, কর্নাটক, কেরল-সহ একাধিক রাজ্যেই অভিযান শুরু হয়েছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক এই অভিযানের ওপর বিশেষ নজর রাখতে। পপুলার ফ্রন্টের দুই নেতাদের যোগী রাজ্য থেকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। দিল্লির শাহিনবাগ ও গাজিপুর এলাকা থেকেও কয়েক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। কেরল থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে পপুলার ফ্রন্টের শীর্ষ স্থানীয় নেতাদের। অসম এনআইএ-র সঙ্গে তল্লাশি অভিযানে সামিল হয়েছে রাজ্য পুলিশ। ইতিমধ্যেই ৯ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযান চলছে গুয়াহাটির হাতিগাঁও এলাকায়।
কেন্দ্রীয় সংস্থা সূত্রের খবর, সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অর্থ সংগ্রহ, প্রশিক্ষণ শিবির আয়োদন করা, দেশের সাধারণ মানুষকে সন্ত্রাসবাদের আদর্শে প্রচোরিত করার - এই অভিযোগগুলির ভিত্তিতে এখনও পর্যন্ত এটাই দেশের সব থেকে বড় তল্লাশি অভিযান । ২০০ জন এনআইএ আধিকারিক ও অভিযানকারী দলের সদস্যরা তল্লাশি অভিযানে সামিল হয়েছে। কর্নাটক পুলিশ পপুলার ফ্রন্ট ও এসডিপিআই কর্মীদের আটক করেছে। কেন্দ্রীয় তদন্ত সংস্থার এই তল্লাশি অভিযানের বিরুদ্ধে কেরল, কর্নাটক-সহ একাধিক স্থানে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু হয়েছে।
NIA-র সন্ত্রাসবাদ বিরোধী তল্লাশি অভিযান, পপুলার ফ্রন্টের ১০০ নেতা গ্রেফতার
NIA-র তল্লাশি অভিযান কলকাতার পার্ক সার্কাসে, দেশবিরোধী কার্যকলাপের অভিযোগ শেখ মোক্তারের বিরুদ্ধে
'সবুজ উন্নয়ন আর সবুজের চাকরি বাড়ানোই লক্ষ্য', পরিবেশমন্ত্রীদের বৈঠকে বললেন প্রধানমন্ত্রী মোদী