রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া (INDIA)র চতুর্থ বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর।
জল্পনার অবসান। রবিবার কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জানিয়ে দিলেন বিরোধী জোট ইন্ডিয়া (INDIA)র চতুর্থ বৈঠক দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১৯ ডিসেম্বর। আগে যে দিন ঘোষণা করা হয়েছিল তা আবারও স্থগিত করা হয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরেই ইন্ডিয়া জোটের বৈঠক নিয়ে নানান টানাপোড়েন হচ্ছিল। যা নিয়ে রীতিমত আপত্তি জানিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস আরজেডি সহ একাধিক দল।
এর আগে বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার , মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন, ঝাড়খণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী হেমন্ত সোরেন এবং সমাজবাদী পার্টির প্রধান অখিলেশ যাদব সহ জোটের শীর্ষ নেতারা ১৭ ডিসেম্বরের বৈঠকে উপস্থিত থাকলে অসম্মত হয়। তার আগে ৬ ডিসেম্বর বৈঠক ডাকা হয়েছিল। তাও বাতিল হয়ে যায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন না ঘোষণা করার পর। সেই সময় বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন না বলেও জানিয়ে দিয়েছিলেন নীতিশ কুমারও। মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, তেলেঙ্গানা এবং রাজস্থানের ফল ঘোষণার পরই কংগ্রেস তড়িঘড়ি জোটের বৈঠক ডেকেছিল। তিন রাজ্যেই বিজেপি দুর্দান্ত ফল করেছে। তুলনায় অনেকটাই ব্যাকফুটে কংগ্রেস।
জোটের শেষ বৈঠক হয়েছিল মুম্বইতে। সেই সময় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছিল শিবসেনা সভাপতি উদ্ধব ঠাকরের উদ্যোগে। বৈঠকে সোনিয়া , রাহুল-সহ পাঁচ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকে একাধিক সিদ্ধান্ত হয়েছিল।
অন্যদিকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় এই সময় দিল্লিতেই থাকবেন। তিনি ১৮-২০ ডিসেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন। আগেই মমতা জানিয়েছেন, তিনি বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার বৈঠকে যোগ দেবেন। পাশাপাশি এই সময় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করার জন্যও তিনি সময় চেয়েছেন। রাজ্যের পাওয়ানা টাকাও সেই সময় তিনি চাইবেন বলে জানিয়েছেন।
শনিবার বাগডোগরা বিমান বন্দরে দাঁড়িয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ একমাত্র বাংলার সব প্রাপ্য টাকাই বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু তারপরেই বাংলার সরকার সবকটি প্রকল্প চালাচ্ছে। একটা প্রকল্পও বন্ধ করেনি। যেসব প্রকল্পের টাকা কেন্দ্র বন্ধ করে দিয়েছে সেই সব প্রকল্পের টাকার দাবি জানাতেই তিনি প্রধানমন্ত্রীর দেখা করবেন। আর সেই কারণে তিনি ১৮,১৯,২০ ডিসেম্বর এই তিন দিনের মধ্যে যে কোনও একদিন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে চান। মমতা এদিন বলেন, '১০০ দিনের কাজের টাকা আটকে রেখেছে কেন্দ্র। আমাদের প্রাপ্য টাকা দেয়নি। স্বাস্থ্যেক্ষেত্রেও আমাদের শেয়ার বন্ধ করে দিয়েছে। বাংলার বাড়ি প্রকল্পের গল্পও বন্ধ করে দিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এগুলি সবই আমাদের প্রাপ্য।'