আদালত ইনডিপেন়ডেন্ট থট বনাম ইউনিয়ম অব ইন্ডিয়া (২০১৭ ) মামলার রায়কেও উদ্ধৃত করেছে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ১৫-১৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যে যে কোনও যৌন মিলন ধর্ষণের সমান হবে।
বৈবাহিক ধর্ষণ নিয়ে এবার নতুন বার্তা দিল এলাহাবাদ হাইকোর্ট। এলাহাবাদ হাইকোর্ট বলেছে, স্ত্রীর বয়স যদি ১৮ বছরের বেশি হয় তাহলে সেক্ষেত্রে বৈবাহিক ধর্ষণ অব্যাহত থাকে তাহলে সেক্ষেত্রে অভিযুক্ত হওয়া থেকে একজন ব্যক্তিকে সুরাক্ষা দেওয়া যাবে। সেক্ষেত্র সংশ্লিষ্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা যাবে না। আদালত ইনডিপেন়ডেন্ট থট বনাম ইউনিয়ম অব ইন্ডিয়া (২০১৭ ) মামলার রায়কেও উদ্ধৃত করেছে। সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট বলেছে, ১৫-১৮ বছর বয়সী একজন পুরুষ ও স্ত্রীর মধ্যে যে কোনও যৌন মিলন ধর্ষণের সমান হবে।
বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্র, স্ত্রীর সঙ্গে অপ্রাকৃতিক যৌনতা করার অভিযোগে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৭ ধারার অধীনে একজন স্বামীকে খালাস করে দেওযার সময় বলেছেন, 'অপ্রাকৃতিক যৌনতার উপাদনগুলি ৩৭৭ ধারার অধীনে গঠিত ৩৭৫(এ) ধারায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে মধ্যপ্রদেশ হাইকোর্টে।' সেই সময় মধ্য প্রদেশ হাইকোর্টের আদেশে বলা হয়েছে, ধর্ষণ সম্পর্কিত ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৭৫ ধারায় (২০১৩ সালে এই আইন সংশোধন করা হয়েছে) লিঙ্গ প্রবেশের সমস্ত সম্ভাব্য অংশ অন্তর্ভুক্ত করে।
যখন এই ধরনের একটি কাজের জন্য সম্মতি অযৌক্তিক হয়, তখন ৩৭৭ ধারায় অপরাধের সুযোগ নেই। কারণ সেখানে স্বামী-স্ত্রী যৌন ক্রিয়া জড়িত। সুতরাং পূর্বোক্ত রায়ের পর্বেক্ষণের এটাও স্পষ্ট যে বিবাহিত ধর্ষণ থেকে একজন ব্যক্তিকে সুরক্ষা দেওয়ার বিষয়টি এখনও অব্যহত রয়েছে যেখানে স্ত্রীর বয়স ১৮ বছরের বেশি।
বিচারপতি রাম মনোহর নারায়ণ মিশ্র উল্লেখ করেছেন, প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতায়, যা ভারতীয় দণ্ডবিধি প্রতিস্থাপন করতে পারে , ভারতীয় দণ্ডিবিধির ৩৭৭ এর এজাতীয় কোনও বিধান নেই। আদালত অবশ্য ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৯৮(এ) (যৌতুকের জন্য হয়রানি) এবং ৩২৩ ধারার অভিযোগের জন্য তার দোষী সাব্যস্ত ও সাজা নিশ্চিত করেছে। যদিও গাজিয়াবাদের ট্রায়াল কোর্ট প্রথমে স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে এবং আপিল আদালতও ফলাফলগুলিকে বহাল রাখে যার পরে তিনি পুনর্বিবেচনার আবেদন করেন এলাহাবাদ হাইকোর্টে।
আদালত উল্লেখ করেছে যে বৈবাহিক ধর্ষণকে অপরাধী করার জন্য কিছু পিটিশন সুপ্রিম কোর্টের সামনে বিবেচনার জন্য মুলতুবি রয়েছে, তবে সেই আবেদনগুলিতে কোনও সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত। আদালত বলেছে স্ত্রীর বয়স ১৮ বা তার বেশি হলে এই ধরনের কাজের জন্য কোনও ফৌজদারি শাস্তি নেই। এই মামলায় মেডিকেল প্রমাণগুলি অপ্রাকৃতিক যৌনতার অভিযোগের সমর্থন করে না এই বিষয়টি উল্লেখ করার পাশাপাশি গত ৬ ডিসেম্বরের এই রায়ে আদালত বলেছিল, "প্রস্তাবিত ভারতীয় ন্যায় সংহিতাতে যা আইপিসি প্রতিস্থাপন করতে পারে, ৩৭৭ আইপিসি ধারার মতো কোনও বিধান নেই। "